আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিচারপতি খায়রুলের পাপা মোচনে আর রক্ত লাগবে?

আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

সব কিছুর নাকি ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া আছে। থাকতে পারে এবং থাকাটাই সঙ্গত। তবে বিচারপতি (!) খায়রুল যে পাপ করেছে, তা মোচনের জন্য দেশজুড়ে যে অনিশ্চয়তা তা নিয়ে কেউ কথা বলছে না।

সবাই দুষছে হাসিনা খালেদা, এরশাদ-জমাতকে। কিন্তু সঙ্ঘাতের মুলে কিন্তু বিচারপতি খায়রুল। তার একখান রায় । ভারত-আম্রিকা এবং জাতিসঙ্ঘ, থেমে থেমে চীন- পাপিস্তান আমাদের দেশের রাজনীতি নিয়ে গুটিবাজি করছে। করবে, এটাই স্বাভাবিক।

কারণ বঙ্গপোসাগরের কোল আলো করে বাংলাদেশের অভ্যুদয়। ভূ রাজনৈতিক কারণে এ দেশ নিয়ে সবারই স্বার্থ এবং আগ্রহ দুটোই আছে। বিগত বিম্পি-জমাত জোটের মেয়াদের শেষে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেছিলেন, বিচারপতি কেমএম হাসানের অবসরে যাওয়ার আগে চাকরীর বয়স বাড়ানোয় নির্বাচনে কারচুপির ষড়যন্ত্র এবং মিস্টার হাসানের অধীনে তারা নির্বাচনে যাবেন না, সেই একই আপা, শান্তির থিওরি দিয়ে বিশ্বজুড়ে শান্তির স্বপ্নদ্রষ্টা নেত্রী নিজেই এখন স্টেয়ারিং সিটে থেকে নির্বাচন করতে চান। গত আমলে বিম্পি বলেছিল সংবিধান মোতাবেক দেশ চলবে, এখনো আম্লীগ একই কথা বলছে। সে সময় কালো বিড়াল বলেছিল- ডকটিন অব নেসেসিটি।

বিড়াল এখন শীতে কাবু । তাই সংবিধানের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা বৃথা মনে করছেন। আসল কথা- যে লোকটার জন্য দশের এত ক্ষতি, বার্ণ উইনটে কাতরায় আমার বোন-মা এবং ভাই -বাবা। রাস্তার মুড়ি মুড়কির মত ককটেল ফোটে, পুলিশের বুলেটের মূল্য হ্রাস পেয়েছে। সেই খায়রুল কিন্তু আলোচনার বাইরে ।

সেই গানের মতই খবরের কাগজ আমাদের -‌ 'প্রতিদিন কত খবর আসে যে কাগজের পাতা ভরে/ জীবন পাতার অনেক খবর রয়ে যায় অগোচরে। ' খায়রুলের মত বিচারপতিরা বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার অবশিষ্ট আস্থা ও সম্মান হানিই করেননি, দেশজুড়ে সঙ্ঘাত সহিংসা ছড়িয়ে দেয়ার বীজ বপন করে সেখানে পানি ঢেলেছেন। আর অ্যাক্টিভিস্ট-জার্নালিজম দিনের পর দিন অন্যায়কে প্রশ্রয় দিয়েছেন নানা উছিলায়। দুঃখিত প্রিয় স্বদেশ- এখন আর নূর হোসেনের মত 'গণতন্ত্র মুক্তিপাক' লিখে পুলিশের গুলি খেয়ে মরে লাভ নাই। কারণ পাখির মত মানুষের মৃত্যু রাজনীতিকদের বিবেককে জাগায় না।

বরং রসিকতা চলে। নির্মম রসিকতা। স্বৈরাচার বিরোধি আন্দোলনে নূর হোসেন শহীদ হয়েছেন- কিন্তু তার ঘাতকদের বিচার হয়নি। বিচার হয়নি ডা. মিলন কিম্বা শহীদ জেহাদ হত্যার। বরং তাদের মৃত্যুকে উপেক্ষা করেছি।

আমরা তাদের আত্মার প্রতি অসম্মান করেছি। আবার তাদের কবরে ফুল দিয়ে রসিকতা করছি। কত নিষ্ঠুর-বর্বরতা আমাদের স্পর্শ করেছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.