আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভবঘুরের কৈফিয়ত-

আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

নিজের নামেই আমার পরিচয়। আমি মোরতাজা বা তারেক যে কোনো নামেই আপনার, তোমার তোর এবং প্রিয়জনের ডাক শুনি না কেন, আমি কিন্তু খুবই সাধারণের একজন। নানা কারণে বিভিন্ন ধরণের কাজ, পেশা আমাকে বেছে নিতে হয়েছে বা হচ্ছে বা সামনেও হবে।

তবে এ কথা খুবই সত্যি এবং ধ্রুব আমি একজন ভবঘুরে মানুষ। শালীন ভাষায় বললে- পর্যটক। প্রিয় এ দেশের মানুষ, তাদের জীবনাচরণ এবং সংস্কৃতির ভেতর দিয়ে নতুন এক আমাকে আবিষ্কারের নেশায় ছুটি । প্রায় দেড় দশ ধরেই এই একটা কাজেই আমার জীবনের সব আনন্দ-উচ্ছ্বাস এবং উৎসব। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আমি সাংবাদিকতাকে বেছে নিয়েছিলাম।

তাই এখনো আছি। তবে এর পেছনে আরেকটা কারণ -সাংবাদিকরা মানুষকে মানসিকভাবে নিপীড়ন করেন। এর প্রত্যক্ষ সাক্ষী আমি- তাই নিপীড়িতের পক্ষে সব সময় থাকার চেষ্টা করেছি। এখনো করি। আমার যতটা সামর্থ তার ভেথর থেকেই এটা করি।

রাজনৈতিকভাবেও আমি সচেতন। রাজনীতি বিজ্ঞানে আমার পড়াশোনা। জাতীয়তাবাদের প্রতি প্রচণ্ড টান। তবে দলান্ধ-দলকানা মানুষের মত আমি হতে চাইনি কখনো। এখনো চাইনা।

ক্ষমতার হালুয়া রুটির ভাগ আমি চাইন, এখনো চাইনা। ভবিষ্যতেও চাইবার ইচ্ছে নেই। সবার মাঝে আমি তারেক মোরতাজা নামেই পরিচিত এবং প্রিয়-অপ্রিয় হয়ে থাকতে চাই। এটুকুই চাওয়া। আশা করি কম, ভালোবাসি বেশি এবং পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে কাজ করাটাকে নিজের দায় মনে করে ছুটে চলি নিরন্তর ।

আমার সাম্প্রতিক লেখা পড়ে অনেকে অনেক রকম কথা বলছেন- তাই এ লেখা। ক্ষুব্ধ হয়েই লিখছি। আমি আমার, পরিবারের, সমাজ ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তা চাই। ন্যায় বিচার চাই। আমি চাই আমাদের এ দেশটায় সবাই শান্তি-সুখে এবং আনন্দে জীবন যাপন করুক।

অপার সম্ভাবনাময় আগামীর পথে আমাদের সন্তানরা বেড়ে উঠুক নতুন এক আলোক উৎসবের ভেতর দিয়ে। শুভ হোক সবার পথচলা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।