আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পরোয়ানা প্রত্যাহার হচ্ছে

অর্থ পাচারের অভিযোগ থেকে খালাস পাওয়ার পর ওই মামলায় তারেক রহমানকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলের মাধ্যমে পরোয়ানা জারির আদেশও প্রত্যাহার করা হচ্ছে।

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা ফেরতের নির্দেশ দিয়েছেন বিশেষ জজ আদালত। এই গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নিতে গতকাল ঢাকা মহানগর জজ আদালত থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আদেশ গেছে বলে ওই আদালতের পেশকার আরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একটি পরোয়ানা ফেরতের আদেশ পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকের কাছে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনারের মাধ্যমে বনানী ও গুলশান থানায় এর অনুলিপি পাঠানো হয়েছে বলে জানান পেশকার।

তারেক রহমানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, যদি কোনো বিচারক মামলার আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন তাহলে স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী ওই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা বাতিল হয়ে যায়। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অর্থ পাচার মামলাটি ছিল ভুয়া, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিকভাবে হেয় করার উদ্দেশ্যে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দুটি মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আশা প্রকাশ করেন, ওই মামলাগুলোতেও তারেক রহমান বেকসুর খালাস পাবেন। কারণ, এগুলোও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। ১৭ নভেম্বর ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. মোতাহার হোসেন মানি লন্ডারিং মামলায় তারেক রহমান কোনো অর্থ পাচার করেননি মর্মে রায় ঘোষণা করে তাকে বেকসুর খালাস দেন।

একই সঙ্গে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা ফেরতের নির্দেশ দেন। জারি হওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা ফেরত আনার জন্য আদালত এরই মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের সচিব, ডিসি প্রসিকিউশন, বনানী ও ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন। বিগত ওয়ান-ইলেভেনের সরকারের সময় অর্থ পাচারসহ সব মামলায় তারেক রহমান উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। চিকিৎসাধীন থাকাকালে সরকার পক্ষের আবেদনে তার জামিন বাতিল করা হয়। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

পরে চিকিৎসাধীন তারেক রহমানকে গ্রেফতার করে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে লন্ডনেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। চলতি বছরের ১৭ নভেম্বর ওই মামলার রায়ে আদালত তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেন।

তারেকের বিরুদ্ধে আরও ১৬ মামলা : অর্থ পাচার মামলায় খালাস পেলেও এখনো ১৬টি মামলা রয়েছে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দুটি মামলা করে পুলিশ। এ দুটি মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্রে তারেক রহমানকে আসামি করা হয়।

তাকে পলাতক দেখিয়েই ২১ আগস্ট-সংক্রান্ত দুটি মামলার বিচারকাজ চলছে। এ ছাড়া বর্তমান সরকারের আমলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সর্বশেষ মামলা হয় গত বছরের ২ অক্টোবর। ড্যান্ডি ডাইংয়ের ঋণখেলাপির অভিযোগে মামলাটি করে সোনালী ব্যাংক। এটা এখন সমন জারির প্রতিবেদন দাখিলের অপেক্ষায় আছে। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গ্রেফতারের পর তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মোট ১২টি মামলা হয়।

উচ্চ আদালতের নির্দেশে এসব মামলার কার্যক্রম স্থগিত আছে। এ ছাড়া কাফরুল থানার পুলিশ বাদী হয়ে জরুরি ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করে। তারেকের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জানান, এ মামলাগুলোর মধ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দুই মামলা, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা ও ড্যান্ডি ডাইংয়ের ঋণখেলাপির মামলাসহ বর্তমানে চারটি মামলা সচল আছে। - আদালত প্রতিবেদক।

 

 




এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.