“রিঙ্কু, আমার মনে হচ্ছে আমি প্রেগন্যান্ট!” অদিতার ভয়ার্ত কণ্ঠ মোবাইলের এ প্রান্তে থাকা রিঙ্কুর মনে কোনো প্রতিক্রিয়া জাগালো না। কিন্তু কণ্ঠে বেশ সিরিয়াস ভাব এনে ও জিজ্ঞেস করলো, “কী করবো এখন?”
অদিতা কাঁদো কাঁদো হয়ে বললো, “কিছু একটা বলো! একটা বুদ্ধি দাও। ”
“বুদ্ধি তো একটাই। ফেলে দাও। ” এবার আর নির্লিপ্ত ভাবটা চেপে রাখতে পারলো না রিঙ্কু।
হতভম্ব অদিতার সামলে নিতে বেশ কয়েক মুহূর্ত লেগে গেলো। “ফেলে দাও মানে? এভাবে বলছো কেনো? আমি কোথায় গিয়ে ফেলবো?”
“আরি! ক্ষেপে যাচ্ছো কেনো? তোমার কোন কাজিন যেনো ডাক্তার? তার কাছ থেকে সাজেশন নাও!” পাশ কাটাতে চাইলো রিঙ্কু।
“এই কথা আমি আমার কাজিনকে বলবো?” বিস্মিত হলো অদিতা।
“আরি! যাকে বললে কাজে দেবে, তাকেই তো বলবে। আমি কি অ্যাবরশনের উপর পিএইচডি করেছি নাকি যে কোথায়, কীভাবে করায়, কতো টাকা লাগে এসব বলতে পারবো? বি প্র্যাক্টিক্যাল ইয়ার!”
“ইয়ার? ডার্লিং থেকে এখন ইয়ার হয়ে গেলাম?”
অদিতার প্রশ্নে মেজাজ খিঁচড়ে গেলো রিঙ্কুর।
“কোত্থেকে কোথায় যাচ্ছো বলো তো? রাগ লাগছে কিন্তু। কয়েকমাসের পরিচয়ে তোমার সাথে করাই ঠিক হয় নি। ভীতুর ডিম একটা। যখন করেছিলে তখন কি মনে ছিলো না এমন হতে পারে?”
আসলে অদিতার সাথে ক্যাচাল করতে ভালো লাগছে না ওর। পাশের রুমে বসিয়ে রেখেছে মোহসিনাকে।
দ্রুত ফোনটা রাখতে হবে। সময় আর সুযোগ কারো জন্য অপেক্ষা করে না। মোহসিনাকে পটিয়ে বাসা পর্যন্ত আনতে পেরেছে। এখন বাকীটুকুর জন্য পটাতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন।
এদিকে অদিতা বসে রইলো হতভম্ব হয়ে।
রিঙ্কু ওকে পাগলের মতো ভালোবাসে না, ঠিক। কিন্তু আদৌ বাসে কিনা, এখন সেটা নিয়েই সন্দেহ হচ্ছে। প্রেগ্ন্যান্সির অভিনয়টা করতে না পারলে ব্যাপারটা বুঝতে আরো দেরী হয়ে যেতো।
ভাগ্যিস ডাক্তারি পড়ুয়া কাজিন বুদ্ধিটা দিয়েছিলো!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।