আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তালাক তালাক হৃতিক রোশন ও সুজান রোশন এর তালাক


গত বেশ কিছুদিন ধরেই হৃতিক রোশন ও সুজান রোশনের দাম্পত্য জীবনের টানাপোড়েনের গুঞ্জন চলছিল। এসব গুঞ্জনকে অস্বীকারও করেছিলেন ‘কৃশ’ তারকা হৃতিক। অবশেষে সম্প্রতি বিচ্ছেদের খবর নিশ্চিত করেছেন ৩৯ বছর বয়সী এ তারকা অভিনেতা। এ প্রসঙ্গে এক বিবৃতির মাধ্যমে হৃতিক জানিয়েছেন, ‘১৭ বছরের সম্পর্কের ইতি টেনে আমার কাছ থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুজান। আমার পুরো পরিবার কঠিন এক সময় পার করছে।

’ হৃতিক আরও জানান, ‘আমি গণমাধ্যমকর্মীসহ সবাইকে অনুরোধ করছি, এই সময়টাতে আমাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন নিয়ে খুব বেশি ঘাঁটাঘাঁটি না করতে। আমি কোনোভাবেই চাই না, আমাদের বিচ্ছেদের খবরে আমার ভক্ত কিংবা মানুষদের মধ্যে বিয়ে প্রথা নিয়ে বিরূপ মনোভাবের সৃষ্টি হোক। বিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ওপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমি এ প্রতিষ্ঠানটিকে সর্বোচ্চ সম্মান ও শ্রদ্ধার চোখে দেখি। ’ ‘ব্যাং ব্যাং’ ছবির শুটিং করতে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন হৃতিক।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। তাঁকে নিয়ে উৎকণ্ঠা ও দ্রুত আরোগ্য কামনা করে প্রার্থনার জন্য ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন বলিউডের জনপ্রিয় এ তারকা অভিনেতা। এ প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য, ‘সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমার চিকিৎসা ঠিকঠাক মতোই চলছে। আশা করছি, খুব দ্রুত পেশা ও ব্যক্তিজীবনের ছন্দ ফিরে পাব আমি।

’ সম্প্রতি এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে জিনিউজ। গত সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে হৃতিকের বাবা রাকেশ রোশনের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে সুজান তাঁর বাবা-মা ও ভাইয়ের সঙ্গে অতিথি হিসেবে হাজির হন। শুধু তা-ই নয়, বেশ দেরিতে অনুষ্ঠানে যোগ দিলেও মাত্র আধঘণ্টা পরেই সেখান থেকে চলে যান সুজান। তাঁর এমন সংক্ষিপ্ত উপস্থিতি ও হঠাৎ চলে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে নানা কানাঘুষা ওঠে। হৃতিক-সুজানের সম্পর্কে টানাপোড়েনের কারণ নিশ্চিত হওয়া না গেলেও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়, সম্ভবত ১৩ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানতে যাচ্ছেন হৃতিক-সুজান।

বেশ কিছুদিন আগেই স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়ি গিয়ে উঠেছেন সুজান। হৃতিক-সুজান দম্পতির দুই ছেলে রিহান ও রিদান। তারা হৃতিকের সঙ্গে দাদুবাড়িতে থাকছে। মায়ের সঙ্গে দেখা করতে তারা মাঝেমধ্যে নানাবাড়িতে গেলেও, সুজান একদমই শ্বশুরবাড়িতে যান না ছেলেদের দেখার জন্য। সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে বিচ্ছেদের গুঞ্জনকে অস্বীকার করেন হৃতিক।

এসব খবরকে ভিত্তিহীন গুজব বলেই দাবি করেন তিনি। অবশ্য একটু ঘুরিয়ে-পেঁচিয়েই বিচ্ছেদের খবরকে অস্বীকার করেন হূতিক। এ প্রসঙ্গে এক টুইটার বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি মনে করি, নিজের জীবনের চেয়ে আমার আশপাশের মানুষ যাঁরা আমায় ভালোবাসেন তাঁদের জীবনই বেশি মূল্যবান। ’ এ ছাড়া ইন্টেরিয়র ডিজাইনার সুজানের সঙ্গে বলিউডের অভিনেতা হৃতিকের বিচ্ছেদের খবরকে গুজব দাবি করেছিলেন সুজানের বোন গয়না নকশাকারী ফারাহ খান আলী। এ প্রসঙ্গে এক টুইটার বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, ‘সবসময় তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা গুজব রটান হয়।

খবরের পাতায় আপনারা যা পড়েন তার সবটা বিশ্বাস করবেন না। এটা খুবই দুঃখজনক যে, তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন ঘাঁটাঘাঁটি করে জীবিকা নির্বাহ করেন এক শ্রেণীর অসাধু সাংবাদিক। ’ ‘ব্যাং ব্যাং’ ছবির শুটিং করার সময় মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন হৃতিক। এ জন্য ছবিটির শুটিং স্থগিত করা হয়েছিল। গত নভেম্বর মাসের শেষের দিকে ছবিটির শুটিং শুরু হওয়ার কথা থাকলেও চিকিৎসার জন্য হৃতিক যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ায় আবারও ছবিটির কাজ পিছিয়ে দেওয়া হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার পাশাপাশি ছুটি কাটানোর পর্বটাও সারছেন তিনি। কিন্তু এমন মুহূর্তে তাঁর পাশে সুজান না থাকায় হৃতিক-সুজান সম্পর্কে চিড় ধরার খবর চাউর হয় বলিউডে। ঘটনার এখানেই শেষ নয়। ১১ ডিসেম্বর নিজের বুটিক হাউস উদ্বোধন করেছেন সুজান। আর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৬ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন হৃতিক।

কাজেই স্ত্রীর বুটিক হাউসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে পরেননি হৃতিক। উদ্বোধনের দিনটিতে হৃতিকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে উদ্বোধনের দিন পিছিয়ে দিতে সুজানকে অনুরোধ করেছিলেন তাঁর বন্ধুরা। কিন্তু বন্ধুদের কথা কানেই তোলেননি সুজান। প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের জানুয়ারিতে ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রেখেছিলেন হৃতিক। একই বছরের ২০ ডিসেম্বর বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা ও নির্মাতা সঞ্জয় খানের মেয়ে সুজানের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি।

কয়েক বছর চুটিয়ে প্রেম করার পরই বিয়ে করেছিলেন হৃতিক-সুজান। ২০০৬ সালে তাঁদের ঘরে আসে প্রথম ছেলে রিহান। দুই বছর পর তাঁদের দ্বিতীয় ছেলে রিদানের জন্ম হয়। Click This Link
 

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।