আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পণ্য পরিবহন নির্বিঘ্ন করতে নিরাপত্তা চান 

টানা অবরোধে আমদানি করা শিল্পের কাঁচামাল কারখানায় আসছে না। তৈরি পণ্য রপ্তানির জন্য বিদেশে পাঠানো বা নিজেদের জন্য কারখানা থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজও সম্ভব হচ্ছে না। নিরুপায় মালিকরা বাধ্য হয়ে বন্ধ রাখছেন কারখানাগুলো। কৃষিপণ্য জমিতে পচে যাচ্ছে। পরিবহন সংকটের কারণে পণ্য পাচ্ছেন না ভোক্তারা। যৎসামান্য যা পাওয়া যাচ্ছে তা কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। আর বেকার হয়ে বসে থাকা লাখো পরিবহন শ্রমিকের সঙ্গে অলস পড়ে আছে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপের পেছনে বিপুল পরিমাণ পুঁজি। জানমালের ঝুঁকি নিয়ে, পুলিশের নিরাপত্তার আশায় অবরোধের মধ্যে পণ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে কোনো কোনোটি রক্ষা পাচ্ছে, আবার কোনোটি পুড়ছে আগুনে। কারণ ১০ ডিসেম্বর থেকে যৌথবাহিনীর যে স্কট রয়েছে, তা কেবলই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। তারপরও সীতাকুণ্ডে পণ্যবাহী কাভার্ড ভ্যান পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। আরেক সমুদ্রবন্দর মংলা, দেশের প্রধান স্থলবন্দর বেনাপোল, ভোমরাসহ অন্য স্থলবন্দর দিয়ে মাল চলাচল বিঘি্নত হচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে এসব বন্দর থেকে রাজধানী ঢাকার পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশজুড়ে পণ্য পরিবহনে এমন স্থবিরতায় দুই দশকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে থাকা দেশের অর্থনীতি এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। পোশাক মালিকদের হিসাবে, গত ২৮ দিনের হরতাল-অবরোধে তাদের সরাসরি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে সাত হাজার কোটি টাকা। ক্ষতির এমন ভয়াবহ চিত্র রয়েছে অন্য সব খাতেও। দেশের এক অঞ্চলে আধিক্যতার কারণে নষ্ট হচ্ছে, অন্য অঞ্চলে দেখা দিচ্ছে খাদ্যপণ্য সংকট। রাজনৈতিক সহিংসতায় অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষয়ক্ষতির ভয়াবহতা বিবেচনা করে অর্থ বিভাগ ইতোমধ্যেই প্রাক্কলন করেছে, গত অর্থবছরের চেয়ে এ অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ কমে যাবে, টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। এ অবস্থায় দেশের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখতে উৎপাদিত পণ্য ভোক্তার কাছে পেঁৗছানো, রপ্তানির উদ্দেশে বন্দরে নেওয়া আর আমদানি করা পণ্য কারখানা পর্যন্ত নির্বিঘ্নে আনা-নেওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য সব সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দরের সঙ্গে ঢাকার সংযোগকারী মহাসড়কগুলোতে প্রয়োজনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করার দাবি করেছেন কোনো কোনো ব্যবসায়ী। তারা বলেছেন, মংলা, বেনাপোলসহ স্থলবন্দরগুলো থেকে মাল আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া গেলে হরতাল-অবরোধ ও রাজনৈতিক সহিংসতার মধ্যেও পতনমুখী অর্থনীতিকে টেনে ধরে রাখতে সক্ষম হবেন ব্যবসায়ীরা।

দেশের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, 'হরতাল-অবরোধে যেভাবে ট্রাক পুড়ছে, গাছ ফেলে রাস্তা অচল করে রাখা হচ্ছে- তাতে ব্যবসায়ীদের পক্ষে কারখানা সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এতে কেবল দেশের অর্থনীতি, বিনিয়োগ ও শিল্পই ধ্বংস হচ্ছে না, বিদেশে ভাবমূর্তিও নষ্ট হচ্ছে। এ অবস্থায় দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে পণ্য আনা-নেওয়ায় ব্যবহৃত ঢাকার সঙ্গে বন্দরগুলোর সংযুক্ত মহাসড়কগুলোতে নির্বিঘ্ন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা যেতে পারে। সরকারের উচিত দেশের স্বার্থে সেনাবাহিনী মোতায়েনের মাধ্যমে পণ্য পরিবহনের বাধা দূর করতে উদ্যোগী হওয়া।'

এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীর সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বৈঠকের সময় বিরোধীদলীয় নেত্রীকে অনুরোধ করেছিলাম, যাতে রাতের বেলায় অবরোধ না রাখেন। এটি হলে রাতে পণ্য পরিবহন করা যেত। সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত দিনে আয় করে রাতে খাওয়া দেশের দুই কোটি মানুষ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। গত কয়েক দশকে গড়ে ওঠা দেশের শিল্প খাত ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কগুলোতে সেনা মোতায়েনের মাধ্যমে পণ্য পরিবহনের সুযোগ করে দেওয়ার উদ্যোগ সরকারকে নিতে হবে। সরকার আগ্রহী হলে সেনাবাহিনী অবশ্যই এ দায়িত্ব পালন করবে। একই সঙ্গে বিরোধী দলকে অনুরোধ করব, যাতে রাতের বেলায় অবরোধ পালন না করতে দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়।'

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, পণ্যবাহী যান চলাচল কমে যাওয়ায় চলমান অবরোধের প্রথম দিনগুলোতে বিদেশি জাহাজগুলো খালি পেটেই বন্দর ছেড়েছে। এখন যৌথবাহিনীর পাহারায় কিছু পণ্য গেলেও তা দেশের মোট রপ্তানি পণ্যের তুলনায় খুবই কম। ট্রাক, ট্রলি ও কাভার্ড ভ্যান সংকটের কারণে আমদানি হওয়া বিভিন্ন পণ্যও বন্দর থেকে বের হচ্ছে না। পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হলেও তাতে ভরসা পাচ্ছেন না অনেক ব্যবসায়ীই। বন্দর কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দর ইয়ার্ডে কন্টেইনার ধারণক্ষমতা রয়েছে ৩০ হাজার ৮৮৬ টিইইউস (২০ ফুট দৈর্ঘ্য) কন্টেইনার। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ইয়ার্ডে কন্টেইনারের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১ হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে পণ্যবাহী কন্টেইনারই বেশি। গত সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার অবরোধ না থাকায় ৫২ হাজার ১৯টি কন্টেইনার বন্দর ছেড়েছে। তার আগের তিন দিনের অবরোধকালীন সময়ে কন্টেইনার ডেলিভারি হয়েছে সাড়ে তিন হাজার। আর ১০ ডিসেম্বর থেকে মহাসড়কে যৌথবাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়া শুরুর পর কন্টেইনার সরবরাহ বেড়েছে। ১৮ ডিসেম্বর বন্দর থেকে মোট ১৫৪০ একক কন্টেইনার সরবরাহ হয়েছে।

দেশের আরেক সমুদ্রবন্দর মংলা বন্দরে পণ্য আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। ফলে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির পাশাপাশি বন্দরটিও লোকসানের মুখে পড়েছে। পণ্যসহ যান জ্বালিয়ে দেওয়ার আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর স্কট ছাড়া পণ্য পরিবহন করছেন না মংলা থেকে। মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর এইচ আর ভুঁইয়া বলেন, হরতাল-অবরোধ হলে মংলা বন্দর থেকে সড়কপথে সব ধরনের পণ্য আনা-নেওয়া বন্ধ হয়ে পড়ে। পণ্য পরিবহন করতে না পারায় ব্যবসায়ীরা বন্দরে জাহাজও আনতে চান না। এতে বন্দরের আয়ও অনেক কমে যায়। নভেম্বর মাসে বন্দরে কম সংখ্যক জাহাজ এসেছে। ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র ১২টি জাহাজ মংলা বন্দরে ভিড়েছে। বন্দরে প্রতি মাসে কমপক্ষে ২৪টি জাহাজ না ভিড়লে নিজস্ব ব্যয় মেটানো সম্ভব নয়। এ অবস্থায় চলতি মাসে বন্দরকে অনেক টাকা লোকসান গুনতে হবে।

বাগেরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি শাহজাহান মিয়া বলেন, সড়কপথে অবরোধকারীদের বিক্ষোভ, বোমা, আগুন ও পেট্রলবোমার কারণে ব্যবসায়ীরা মংলা বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন বন্ধ রেখেছেন। ব্যবসায়ীদের লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতে হলে মংলা বন্দর থেকে পণ্য আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর স্কট থাকা প্রয়োজন। পুলিশের পাশাপাশি প্রয়োজন হলে স্কট হিসেবে সেনা বাহিনীকেও অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারেও বলে জানান তিনি।

খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, মংলা বন্দর সচল রাখার জন্য যে ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সরকার তা নেবে বলে জোর দাবি জানাচ্ছি। এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বন্দরের মতো মংলা বন্দরে পণ্য আনা-নেওয়ার জন্যও স্কট চালুসহ সব ধরনের উদ্যোগ নিতে হবে।

অবরোধে বাড়তি নিরাপত্তা না থাকায় ভয়াবহ খারাপ পরিস্থিতি দেশের প্রধান স্থলবন্দর বেনাপোলের। এ বন্দরটি দিয়ে সাধারণত শিল্পের কাঁচামাল ও পচনশীল নানা পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে। ছয় দিন অবরোধের পর গতকাল ব্যাংক, শুল্ক স্টেশন সব খোলা থাকলেও ট্রাকের অভাব আর নিরাপত্তার শঙ্কায় আমদানি করা পণ্য আনছেন না ব্যবসায়ীরা। ফলে বন্দরের ৩৬টি গুদাম, পাঁচটি ইয়ার্ড, একটি ট্রান্সশিপমেন্ট ও তিনটি টার্মিনালের কোথাও খালি জায়গা নেই।

বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির হিসাব মতে, সারা দেশে পণ্য আনা-নেওয়ার কাজে প্রায় এক লাখ ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ রয়েছে। গত ২৫ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর চারশ থেকে পাঁচশ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান আগুনে পোড়ানো হয়েছে, যার বেশির ভাগই ছিল পণ্যে ভরা। আরও প্রায় এক হাজার ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ভাঙচুর হয়েছে। গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে ছয়টি পণ্যবাহী কাভার্ড ভ্যান আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রুস্তম আলী বলেন, স্বাভাবিক সময়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ১২ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া নেয় ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানগুলো। অবরোধের কারণে সপ্তাহে ছয় দিনই অলস বসে থাকা যানগুলো শুক্রবার ৪০ হাজার থেকে ৮০ হাজার পর্যন্ত ভাড়া নেন। কারণ ব্যবসায়ীদের সবাই ওই দিনই পণ্য পরিবহন করতে চান। গত ৬ ডিসেম্বর ৯০ হাজার টাকার নিচে কোনো ট্রাক ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ভাড়ায় যায়নি। ওইদিন একজন ব্যবসায়ী বাধ্য হয়ে এক লাখ টাকায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত একটি ট্রাক ভাড়া করতে বাধ্য হন।

বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির মো. তোফাজ্জল হোসাইন বলেন, অবরোধের কারণে প্রতিদিন পরিবহন খাতের মালিকদের লোকসান গুনতে হচ্ছে ৪৫০ কোটি টাকা। ধ্বংস হচ্ছে দেশের শিল্প-কারখানা ও অর্থনীতি। এ অবস্থায় দেশের সব বন্দর এলাকা ও শিল্প এলাকায় নির্বিঘ্নে পণ্য পরিবহন নিশ্চিত করতে সরকারের উচিত সংশ্লিষ্ট মহাসড়কগুলোতে পুলিশ, বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনী মোতায়েন করা।

অবরোধে শিল্প-কারখানাগুলোর অবস্থা যে কতটা শোচনীয় তা অনুমান করা যায় চট্টগ্রামে পিএইচপি ফ্লোট প্লাস কারখানা ও কনফিডেন্স সিমেন্ট কারখানার অবস্থা দেখলে। প্রতিদিন ১৫০ টন উৎপাদন ক্ষমতার এ কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের সবই যায় গুদামঘরে। এভাবে জমতে জমতে সাত হাজার টন ধারণ ক্ষমতার গুদামঘর পূর্ণ হয়ে গেছে। কিন্তু যে ভারী মেশিনে গ্লাসশিট উৎপাদন হয়, একবার তা বন্ধ করলে লোকসান হয় ১২০ কোটি টাকা। তাই বাধ্য হয়ে উৎপাদিত গ্লাসশিট ভেঙে, তা আবার নতুন করে উৎপাদন করছে পিএইচপি ফ্লোট গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ। এভাবে গ্লাসশিট ভাঙা-গড়ার খেলায় উৎপাদন ব্যয় হিসেবে প্রতিদিন কারখানাটিকে অর্ধকোটি টাকা লোকসান দিতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কারখানাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর হোসেন সোহেল।

চট্টগ্রামের সিমেন্ট তৈরির কারখানা কনফিডেন্স সিমেন্ট কারখানাটির গুদামে পাঁচ দিনের উৎপাদিত সিমেন্ট মজুদ করার ক্ষমতা রয়েছে। উৎপাদিত সিমেন্ট অবরোধে কারণে সারা দেশে সরবরাহ করতে না পারায় ভরে গেছে ১২ হাজার টন ধারণ ক্ষমতার গুদাম। তাই বাধ্য হয়ে কারখানার উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানালেন কারখানার নির্বাহী পরিচালক জহির উদ্দিন আহমেদ।

পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা অচল হওয়ার কারণে পোশাক খাতসহ দেশের সার্বিক অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, 'এ অবস্থায় দেশ বাঁচাতে হলে অন্তত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ অন্যান্য স্থল ও নদী বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগে ব্যবহৃত মহাসড়কগুলোতে নির্বিঘ্নে পণ্যবাহী যান চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। এখন যে অবস্থা চলছে, তাতে আমদানি করা কাঁচামাল কারখানায় আনা যাচ্ছে না, তৈরি পণ্য রপ্তানি করার জন্য বা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পেঁৗছানো সম্ভব হচ্ছে না। এখন নির্বাচন কমিশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের জন্য সেনা মোতায়েন করার উদ্যোগ নিচ্ছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ায় এবার যেহেতু অর্ধেক আসনে নির্বাচন হবে না, তাই সেসব এলাকায় সেনা মোতায়েনও দরকার হবে না। সেখান থেকে সেনা সদস্যদের একটি অংশকে ঢাকা-চট্টগ্রাম, বেনাপোল, মংলাসহ অন্যান্য স্থলবন্দর ও নদী বন্দর সংযুক্ত মহাসড়কগুলোতে মোতায়েন করে পণ্য পরিবহন নির্বিঘ্ন করার উদ্যোগ নিলে তা মঙ্গলজনক হবে।'

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.