আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমেরিকার শিকার আরও এক দেবযানী

দেবযানী ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ভারতীয় নাগরিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে ফের কাঠগড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। ঘটনাটি ঘটেছে নয়াদিল্লিতে। সেখানকার মার্কিন দূতাবাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন এক ভারতীয় নারী। দূতাবাসের ভারতীয় রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ পদ থেকে তাকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। আবেদনে তিনি বলেছেন, মার্কিন দূতাবাসের কর্মীরা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন।

তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

২০১২ সালের ২ জুলাই অপর্ণা শ্রীবাস্তব নামে ওই নারী মার্কিন দূতাবাসের ভারতীয় রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিযুক্ত হন। শুরু থেকেই দূতাবাসের মার্কিন কর্মীদের সঙ্গে তার বনিবনা হচ্ছিল না। ওই বছরেরই ৯ অক্টোবর দূতাবাসের ডেপুটি মিনিস্টার কাউন্সিলর (রাজনৈতিক) গৌতম রানা অপর্ণাকে মানব সম্পদ কর্মকর্তার কাছে নিয়ে যান।

অপর্ণার অভিযোগ, মানব সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা তার মোবাইল ফোনটি কেড়ে নিয়ে জানান, তাকে এখনই বরখাস্ত করা হল।

এরপর বেশ কিছুক্ষণ একটি ঘরে বসিয়ে রাখা হয় অপর্ণাকে। জোর করে ইস্তফা পত্রে সাক্ষর করিয়ে একরকম ঘাড় ধাক্কা দিয়ে দূতাবাস থেকে বের করে দেওয়া হয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে, ঘটনার কথা অস্বীকার করে মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র পিটার ভ্রুম্যান জানিয়েছেন, অপর্ণাকে শিক্ষানবিশ হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। তিনি ঠিকমতো কাজ করতে পারছিলেন না বলে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে৷ অপর্ণার বহিষ্কার দূতাবাসের নিয়ম মেনে হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। কিন্তু সাত বছর ধরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উচ্চপদে থাকা অপর্ণার পাল্টা দাবি, তার নিয়োগ পত্রে শিক্ষানবিশ কথাটির উল্লেখ ছিল না।

এর কারণ হিসেবে দূতাবাসের কর্মী স্ট্যাসি পার্সের সঙ্গে বনিবনা না হওয়াকেই দায়ী করেছেন তিনি।

অপর্ণা বলেছেন,স্ট্যাসির অভিযোগ, আমি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও ভারত সরকারে নিয়মের বাইরে কোনও কাজ করি না। এমনকি দূতাবাসের গোপন তথ্য ফাঁস করেছি বলেও আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। এবিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে চিঠিও লিখেছিলেন অপর্ণা। কিন্তু কোনও জবাব মেলেনি।

তাই এবার কেন্দ্রের কাছে তার আর্জি, বিষয়টি তারা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করুক।  

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.