আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বোরকার ব্যাবহার নিয়ে ভাবনা।

সিরাতুল মুস্তাকিম চাই, সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে আল্লাহ নেয়ামত দান করেছেন, তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি আল্লাহের গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে **** দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে হেদায়াত গোমরাহী থেকে পৃথক হয়েগেছে

দেশের যতো শহর, গ্রামে গিয়েছি একটি বিষয় খুব ভাবিয়েছে। আমাদের বয়স্কা মা খালা নানি দাদীরা ভালো ভাবে বোরকা পরে বাইরে বের হচ্ছেন। অথচ অনেক ক্ষেত্রে দেখছি তাঁদের সাথে বের হওয়া সুন্দরি তরুণীরা মডার্ন পোষাকে বের হচ্ছেন। যে মা বোরকায় নাক চোখ ঢেকে বের হলেন তিনিই তাঁর মেয়েকে ছোটো পোষাকে, ওড়না ছাড়া বের করেছেন।



যৌন আবেদন কাদের মধ্যে থাকে ! রাস্তায় ইভটীজিং এর স্বীকার কারা হয় ! দাদি নানি মা খালা আপনার বোরকাটি আপনি না পরে আপনার নাত্নি, মেয়েকে দিন। না হয় তাকেও বোরকা বানিয়ে দিন।

আজ অবধি কেউ শুনেছেন কি যে একজন বয়স্কা রাস্তায় যৌন হয়রানী হয়েছেন !
অথবা ১২-১৫ বছরের কোন ছেলে কোন বয়স্কাকে যৌন হয়রানী করেছে ! না এমনটি হয় না, হবেওনা।

কিন্তু ষাটোর্ধ একজন বুড়ো ১০ বছরের শিশুকে যৌন হয়রানী, ধর্ষণ করছে।
বেশির ভাগ যৌন হয়রানী পুরুষ দ্বারাই হচ্ছে।

এই পুরুষ যৌন হয়রানী করছে এখন তাকে ঘরে বেঁধে রাখলে চলবে কি ! দেশ আগাবে কি করে ?
আবার আধুনিক সমাজে মেয়েকে ঘরে ধরে রাখাও যাবেনা ! তাঁর শিক্ষা জরুরী, পরিবার সমাজ ও দেশের উন্নয়নে তাঁর কাজ ও তেমন জরুরী।
তাকে বের হতে হবেই। ভালো পোশাক পরে বের হবে। ভারতীয় সংস্কৃতির তোয়াক্কা না করে গ্রহণযোগ্য পোশাক পরতে হবে, সেটা যে শুধু বোরকা তাও কিন্তু নয়। যে আর এই কাজটি ৮-৯বছর বয়েস থেকে অভ্যাস করাবে সেই কন্যা সন্তানের মা।



কিছু সুশীল মন্তব্যবাদী স্মার্টরা বলে বেড়ায় দৃষ্টিভঙ্গি বদলালেই হয় !
যেখানে একজন বুড়ো ১০-১২ বছরের শিশুর কাছে যৌনতা আশা করে তাকে ধর্ষণ করে ধ্বংস করে, সেখানে দৃষ্টিভঙ্গি বদলের ছে বেশী গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মেয়েদের, মায়েদের সাবধানী হওয়া। সব বিষয়ে সাবধানী হতে হবে। মেয়ের পোশাক বানানোর ক্ষেত্রে একটু বেশী সাবধানী হউন।

জেল জরিমানা করে এসব অপরাধ থামানো সম্ভব নয়। পুরুষের নারির প্রতি যৌন হয়রানী মুলক কিছু করার আগে তার মা বোন বউ মেয়ের কথা যেমন ভাবতে হবে, তেমনি মেয়েদের নিজেকে বাঁচিয়ে চলতে হবে।

আধুনিকতার নামে বেহায়াপনা ছেড়ে সুস্থ মস্তিস্কের হতে হবে।

( যদি এমন হয় যে আপনি কষ্ট করে পুরো লেখা পড়েছেন, তাহলে আপনাকে থ্যাংকস। কারন আজকাল বড় লেখা তেমন পড়া হয়না। )

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।