আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাহাড়ের রানী

যারা পাহাড়ের সঙ্গে নীল আকাশের মিতালি দেখতে চান তাদের প্রথম পছন্দ দার্জিলিং। শুধু পাহাড় ও আকাশই নয় এখানে শীতকালে দেখা যায় পাহাড় আর বরফের মিতালি। কারণ হিমালয়কন্যা মাউন্ট এভারেস্টের নিকটবর্তী হওয়ায় শীতকালে শহরটির তাপমাত্রা থাকে উপভোগ করার মতো। দিনাজপুরের হিলি-ভারতের জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি হয়ে সড়কপথে যাওয়া যায় দার্জিলিংয়ে। শিলিগুড়ি থেকে নিয়মিত জিপ ও ছোট ছোট গাড়ি যায় দার্জিলিংয়ের উদ্দেশে।

পাশাপাশি শিলিগুড়ি থেকে সরাসরি টয় ট্রেনে করে ওঠা যায় দার্জিলিং শহরে। তবে এতে সময় লাগে প্রায় সাত-আট ঘণ্টা। আর গাড়িতে উঠতে লাগে প্রায় তিন ঘণ্টা। অাঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ বেয়ে গাড়ি চলার বিরতিতে বিভিন্ন ছোট ছোট টি-স্টলে পান করতে পারেন দার্জিলিংয়ের ঐতিহ্যবাহী চা-এর পাশাপাশি বিখ্যাত খাবার 'ম ম'। দার্জিলিং ঘুরতে গেছেন অথচ 'ম ম' খাননি এমন লোক খুব কমই আছেন।

মূল শহরকে স্থানীয়রা 'ম্যালে' নামে ডাকে। এ ম্যালেকে ঘিরেই তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য, হাটবাজার। সবচেয়ে মজার ব্যাপার- সন্ধ্যার আগেই রাস্তাঘাট, হাটবাজার ফাঁকা হয়ে যায়। এখানকার বেশির ভাগ মানুষ আরামপ্রিয়। সন্ধ্যার পরপর ঘরে বসেই কাটাতে চায়।

ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে সন্ধ্যার পর তেমন একটা লোকজন থাকে না। থাকেন শুধু পর্যটকরা। ইচ্ছামতো হাঁটাহাঁটি করেন। ক্রয় করেন তাদের পছন্দমতো জিনিসপত্র। দার্জিলিংয়ে দর্শনীয় স্থানগুলোর অন্যতম হলো- হিমালয়ান মাউন্টেরিয়ান ভিলেজ, চিড়িয়াখানা, স্টেডিয়াম, রক গার্ডেন গঙ্গামাইয়া।

মাঝে রক গার্ডেন ও গঙ্গামাইয়া বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল। সম্প্রতি ফের খুলে দেওয়া হয়েছে এই স্পটগুলো। আরও আছে ব্রিটিশ আমলের কিছু স্কুল-কলেজ, যা আজও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি এলাকায়। সর্বত্রই ব্রিটিশ ঐতিহ্যের ছোঁয়া। দার্জিলিং থেকে তিন হাজার ফুট অর্থাৎ ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ হাজার ফুট উপরে টাইগার হিলের অবস্থান।

এখান থেকে সরাসরি হিমালয় পর্বত দেখা যায়। সারা দিন দূর থেকে হিমালয়কে রুপালি রঙে দেখা গেলেও

ভোরের চিত্র থাকে সম্পূর্ণ অন্যরকম। সূর্য ওঠার সময় হিমালয়কে মনে হয় সম্পূর্ণ সোনার তৈরি। সূর্যের সোনালি কিরণ ছড়িয়ে থাকে হিমালয়ের গায়ে। এ দৃশ্য উপভোগ করার জন্য ভোর রাতেই রওনা দিতে হয় টাইগার হিলের উদ্দেশে।

সত্যিই তখন মনে হবে প্রকৃতিই পারে মানুষকে নির্মল আনন্দ দিতে।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।