আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সালমা হায়েক



আমার খুব প্রিয় একজন অভিনেত্রী হচ্ছেন- সালমা হায়েক। জীবনের প্রথম ক্যামেরার সামনে নগ্ন হতে গিয়ে অনেকক্ষণ কেঁদেছিলেন সালমা হায়েক। বেশ কিছু দাতব্য কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত এবং বেশ কিছু মানবিক বিষয়ে গণসচেতনতাবৃদ্ধিমূলক কাজে সোচ্চার। এর মধ্যে আছে নারীর প্রতি সহিংসতা এবং অভিবাসীদের প্রতি বৈষম্য। সালমা হায়েক ১৯৬৬ সালের সেপ্টেম্বরের ২ তারিখে পৃথিবীতে আসেন।

গুজব রটেছিল মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টের সঙ্গে গোপন সম্পর্ক ছিল সালমার! 'ব্যবসায়ী বাবা আর সংগীতশিল্পী মায়ের আহ্লাদে একেবারে বিগড়ে গেছে'_পাড়া-প্রতিবেশী, আত্দীয়স্বজনের এমন ধারণা ছিল সালমা হায়েক সম্পর্কে।

'ডেসপারেডো’ মুভি দেখে একবার হলেও সালমা হায়েকের প্রেমে পড়েননি, এমন দর্শক তো পাওয়া দুষ্কর। সুপার-ডুপার হিট ব্যবসা করে ছবিটি। এন্টারটেইনমেন্ট উইকলি “টেলিভিশনের ২৫ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন শিল্পী” তালিকায় হায়েকের অবস্থান ১৭তম বলে ঘোষণা করে। মেক্সিকোর ওয়েল বুম টাউনে জন্ম নেওয়া সালমার পাঁচ বছর বয়সে প্রথম নায়িকা হওয়ার স্বাদ জেগেছিল।

'৭১-এর দিকের কথা, স্থানীয় একটি সিনেমা হলে 'উইলি ওঙ্কা অ্যান্ড দ্য চকোলেট ফ্যাক্টরি' ছবিটি না দেখলে হয়তো সালমা হায়েক থেকে যেতেন আর দশজন মেক্সিকান সুন্দরীর তালিকায়। 'উইলি ওঙ্কা অ্যান্ড দ্য চকোলেট ফ্যাক্টরি' দেখার পরই 'নায়িকাই হব' ভাবনাটি চেপে বসে তাঁর মাথায়।

হলিউড সুপারস্টার সালমা হায়েক ২০০৯ সালে বিয়ে করেন ফরাসি বিলিয়নিয়ার অঁরি পিনোকে। স্বামী ও চার বছরের মেয়ে ভ্যালেন্টিনাকে নিয়ে তিনি বর্তমানে প্যারিসে বসবাস করছেন। জীবনের এই পর্যায়ে এসে একটি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৪৬ বছর বয়স্কা এই হলিউডি তারকা।

প্রথম ক্যামেরার সামনে নগ্ন হয়ে দাঁড়ানোর যে বাজে অভিজ্ঞতা, সেই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন যাতে তার মেয়েকে না হতে হয়, এমনই শিক্ষায় বড় করছেন মেয়েকে। ২০০৩ সালে 'দ্য মেলাডোনাডো মিরাক্যাল' পরিচালনা করে ডে টাইম অ্যামি অ্যাওয়ার্ডে অনবদ্য পরিচালকের বিভাগে মনোনীত হন।

ডেসপেরাডো', 'ফ্রিদা', 'ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন মেক্সিকো' তিনটি ছবিতে গানে গলাও দিয়েছেন হায়েক। ভালো পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে '৯৬-তে রডরিগুয়েজের আরেকটি ছবি 'ফ্রম ডাস্ক টিল ডাউন'-এ অভিনয়ের সুযোগ পান তিনি। এরপর আর পেছন ফিরতে হয়নি তাঁকে।

একে একে উপহার দেন 'ফুলস রাশ ইন', 'ওয়াইল্ড ওয়াইল্ড ওয়েস্ট', '৫৪', 'ফ্যাকাল্টি' 'ডগমা', 'টাইম কোড', 'ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন মেক্সিকো'র মতো ছবি। ২০০১ সালে একটি তাইওয়ান ম্যাগাজিনের করা জরিপে বিশ্বে ১০০ আবেদনময়ী নারীর তালিকায় অষ্টম হওয়া এই তারকা। '

সালমা হায়েক বলেন, 'আমি অনেক কাজের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে দিয়েছি। কিন্তু এর জন্য আমার কোনো অনুশোচনা নেই। পরিবারের সঙ্গে থাকতে এবং পারিবারিক জীবন উপভোগ করতে ভালোবাসি আমি।

' ২৪ বছর বয়সে লস অ্যাঞ্জেলেসে 'স্ট্রিট জাসটিস, দ্য সিনবাদ শো, নার্সেস, ড্রিম অন'-এর মতো সিরিজে কাজ করেন সালমা হায়েক। বাঘ পুষতেন মেক্সিকান অভিনেত্রী সালমা হায়েক। এ পর্যন্ত তিনি তিনটি বাঘ পুষেছেন। তবে কোনোটিকেই খুব বেশিদিন বাঁচিয়ে রাখতে পারেননি। সর্বশেষ তিনি র‌্যাম্বো নামের একটি বাঘ পুষেছেন।

বাঘটিকে তিনি তিন বছর যত্নসহকারে লালন-পালন করেছিলেন। র‌্যাম্বোর সঙ্গে খেলাধূলা করেই অবসর সময়টা কাটিয়ে দিতেন। কিন্তু র‌্যাম্বোও খুব বেশিদিন বাঁচেনি। শৈশব থেকেই সালমা ভীষণ পশুপ্রেমী। বাঘ, বানর, কুকুর, বিড়াল- সবই পুষতেন তিনি।



সালমা হায়েকের দাদি ছিলেন সে সময়ের একজন সফল বিজ্ঞানী। তখন কোনো নারীর জন্য এটা ছিল এক বিশাল অর্জন। সে যুগে তিনি রূপচর্চার ক্রিম আবিষ্কার করে সাড়া তুলেছিলেন। কিন্তু তার দিনের অধিকাংশ সময় কাটত রান্নাঘরে। রান্নাঘরের এক কোণেই ছিল তার গবেষণাগার।

কারণ কাজ করতে গিয়ে যেন পরিবারের সময়ের কোনো কমতি না হয়। তার কাছে পরিবারই ছিল প্রধান। মা-বাবা ও দাদির সেই গুণ ও মানসিকতা বড় প্রেরণা হয়ে আছে সালমা হায়েকের জীবনে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।