আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জয়ের চাচাত ভাই পরিচয়ে কোটি টাকা প্রতারণা

সজীব ওয়াজেদ জয়ের চাচাত ভাই পরিচয়ধারী ফারুক আজম ওরফে আবদুস সোবহান (৩৫) নামে এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে আরও প্রতারণার মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। গতকাল দুপুরে ডিবির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম। মনিরুল ইসলাম জানান, ফারুক পুলিশ হাসপাতালের টেন্ডার শিডিউল কেনার জন্য আসা-যাওয়া করতেন। এর সূত্র ধরে পুলিশ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. জোবায়ের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ফারুক নিজেকে ওই চিকিৎসকের কাছে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের চাচাত ভাই বলে পরিচয় দেন। সম্পর্কের এক পর্যায়ে তিনি ডা. জোবায়েরকে পদোন্নতি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা নেন। পরে ডা. জোবায়ের বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। জানা যায় ফারুকের গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুরে। বিষয়টি তিনি পুলিশকে জানান। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার বিকালে রাজধানীর বাংলামোটর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ফারুক নানা কৌশলে অনেক মানুষকে প্রতারণা করেছেন। বিভিন্ন হাসপাতালে ওষুধের টেন্ডার কেনার জন্য সজীব ওয়াজেদ জয়ের চাচাত ভাই হিসেবে পরিচয় দেন। আর এ পরিচয়ে তিনি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পিয়ন, এমএলএসএস এবং কারারক্ষী পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে লোকজনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে প্রতারণা করে আসছেন। এ ছাড়া বিদেশে পাঠানোর নামে প্রতারণা করে আসছেন। তিনি বিভিন্ন জনসভায় বা মিটিংয়ে এমপি ও মন্ত্রীদের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন। সেই ছবি দেখিয়ে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক আছে মর্মে বিভিন্ন কাজ, চাকরির পোস্টিং, পদোন্নতি ও মিশনে লোক পাঠানোর নাম করে টাকা-পয়সা আত্দসাৎ করে প্রতারণা করে আসছিলেন।

ফারুকের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ : ফারুককে গ্রেফতারের পর পর গোয়েন্দা কার্যালয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জমা হচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য কয়েকটি হলো : ডা. জোবায়েরের কাছ থেকে পদোন্নতির নামে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা গ্রহণ; রেজাউল করিম, রিপন হোসেন, সিজনু মিয়াসহ আরও অনেককে রংপুর মেডিকেল কলেজে সহকারী, এমএলএসএস পদে ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করে ৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া; ফয়সাল হোসেনের কাছ থেকে কারারক্ষীর চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্দসাৎ; রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালকের ভাই পরিচয় দিয়ে অফিস সহকারী/এমএলএসএস/নিরাপত্তা প্রহরীর ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করে চারজনের কাছ থেকে ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা নেওয়া; বিভিন্ন কোম্পানির মালিক পরিচয়ে লাভজনক ব্যবসার নাম করে আনিসুর রহমানের কাছ থেকে ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা নেওয়া; একই সঙ্গে বিভিন্ন ব্যবসা করবেন মর্মে আবদুল গনির কাছ থেকে ৩ লাখ ১০ হাজার এবং আবুল কালামকে বিদেশে পাঠানোর নাম করে ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.