আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সমঝোতার বাংলাদেশ চাই

পৃথিবী সৃষ্টি ও তৎপরবর্তীতে সব জীবের আবির্ভাবের পর মানুষই হলো সর্বোত্তম প্রাণী। এ কারণে বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছে হেমোসেপিয়েন্স। বলা হয়, দুটি গুণের সমন্বয়ে মানুষ। এর প্রথমটি হলো_ জধঃরড়হধষরঃু বা যুক্তিগ্রাহ্যতা। দ্বিতীয়ত ঐঁসধহরঃু বা মানবিকতা।

এর যে কোনো একটা গুণ থেকে বিচ্যুতি ঘটলেই মানুষ আর মানুষ থাকে না। অ্যানিম্যালিটিতে আক্রান্ত হয় সে। কারণ বিবেকবোধ থেকে উৎসারিত বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন চিন্তা-চেতনাগুলোর উন্মেষের মাধ্যমে তা সামগ্রিক কর্মকাণ্ডে সততার সঙ্গে প্রয়োগ করতে সক্ষম কেবল মানুষ, যা অন্য কোনো প্রাণীর ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। এ কারণেই যুগ-যুগ ধরে লড়াই-সংগ্রাম করে নিজেদের চিন্তা, অস্তিত্ব, মতামত ও আদর্শকে টিকিয়ে রাখতে মানুষের চিন্তা এবং বিবেকের স্বাধীনতা বিকাশ লাভ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ও মানবসভ্যতার ধাপে-ধাপে একসময় সৃষ্টি হয়েছে সমাজ, রাষ্ট্র।

আর এ রাষ্ট্র পরিচালিত হওয়ার জন্য উদ্ভব ঘটেছে বিভিন্ন শাসনতান্ত্রিক বিধি-বিধান ও ব্যবস্থা। এ ক্ষেত্রে গণতন্ত্র হলো এখন পর্যন্ত সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা। যার গোড়াপত্তন হয়েছিল প্রাচীন গ্রিসে। আর সেই পদ্ধতিই এখন আধুনিক রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি ও নিয়ামক শক্তি হিসেবে বিবেচিত। সারা পৃথিবীতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কত যে প্রাণের বিনাশ ও রক্তপাত ঘটেছে তার ইয়ত্তা নেই।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র তথা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ও মূল্যবোধ সর্বস্তরে প্রতিষ্ঠা করা। নানা ঘাত-প্রতিঘাত ও চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ১৯৯০ সালে এ দেশে গণতন্ত্রের শুভ সূচনা হলেও বর্তমানে সেই কষ্টার্জিত গণতন্ত্র আবার প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। পিছিয়ে পড়ছে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা। রাজনীতিবিদদের নানা আচরণে গণতন্ত্রের মৌলিক জায়গাগুলো ক্রমান্বয়ে সংকুচিত হয়ে পড়ছে। ব্রিটেনের প্রভাবশালী পত্রিকা ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে গণতন্ত্র এখন মৃত।

একদলীয় রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন হতে চলেছে। ভোটারদের নীরব প্রত্যাখ্যানে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হচ্ছে প্রহসনের, তামাশার ও অপকৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে ভাগ-ভাটোয়ারার। '

রাষ্ট্রের বর্তমান অবস্থা দেখে লুই বোনাপার্টের কথা মনে পড়ে যায়। তিনি বলেছিলেন, 'আমি রাষ্ট্র, আমি যা বলব তাই আইন। ' বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যে বোঝা যায় বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা ঠিক তাই।

গণতন্ত্র রক্ষা ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার নামে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো তা গ্রহণযোগ্য কোনো নির্বাচন নয়। সংবিধানের ৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিক জনগণ এবং ৬৫(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আইনানুযায়ী নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের দ্বারা সংসদ গঠিত হবে_ সেটাও আজ প্রশ্নবিদ্ধ ও উপেক্ষিত। ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টি আসনে কোনো নির্বাচন হয়নি। ১৪৭টি আসনের মধ্যে ৪১টি কেন্দ্রে কোনো ভোট পড়েনি। ৮টি আসনের ৫৪০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।

নির্বাচন আগে ও পরের সহিংসতায় ৩০ জনের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। প্রার্থীবিহীন, ভোটারবিহীন, নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ৯ কোটি ২৯ লাখ ভোটারের মধ্যে ১৪৭টি আসনে প্রত্যক্ষ ভোট হলেও ভোটগ্রহণের আড়াই দিন পর সিইসির দাবি ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। সিইসির মত অনুযায়ী ৪০ শতাংশ ভোট পড়লেও গড়ে মোট ভোটারের মাত্র ১৩.২২ শতাংশ ভোট পেয়েছে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশের ইতিহাসে নির্বাচনের নামে এ ধরনের প্রহসন দেশের মানুষ আগে কখনো দেখেনি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।

তাই তারা যতদ্রুত সম্ভব সবার অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কথা বলছে। এ বিষয়ে জাতিসংঘ, কমনওয়েলথ, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও চীন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ-সমঝোতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষার তাগিদ দিয়েছে। এমনকি সংলাপ ও সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এখনো পরিবর্তন হয়নি বলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মোজেনা উল্লেখ করেছেন।

এটা স্মরণযোগ্য যে, শুধু সংবিধানের কারণে বাংলাদেশের জন্ম হয়নি। ১৯৭০ সালের অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর যখন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী জনমতকে উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে দেয়নি; তখনই আপামর জনগণের সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়।

নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগ সর্বদা নিজেদের গণতান্ত্রিক দল মনে করে এ দেশের নাগরিক আন্দোলন, ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে থাকলেও এবারে অনুষ্ঠিত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি ঐতিহ্যবাহী গণতান্ত্রিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে মোটেই হতাশ করেনি তা কিন্তু নয়! বিবেকের তাড়নায় কলঙ্কের দায়টা সামান্যতম হলেও তাদের গায়ে অাঁচড় কেটেছে। গণতন্ত্রের ইতিহাস চর্চায় কার্যত এটাই প্রতীয়মান হয়, জনগণের ব্যাপক অংশের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচনে বিজয়ীদের দিয়ে সরকার গঠন করা গেলেও প্রকৃত অর্থে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায় না। নতুন প্রজন্মকে গণতান্ত্রিক শিক্ষা ও মূল্যবোধে গড়ে তুলতে হলে তাদের অন্যান্য মৌলিক নাগরিক অধিকারের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার ক্ষমতা দিতে হবে। এ কথা সত্য যে, সরকার কর্তৃক রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের দমন-পীড়ন-নিধন করা যেমন যুক্তিসঙ্গত আচরণ নয়, তেমনিভাবে বিরোধী দল কর্তৃক নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন না করে আন্দোলনের নামে অরাজকতা ও সহিংসতা সৃষ্টিও সমীচীন নয়। দুটি কাজই দেশকে চরম নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেয় এবং তা কারও জন্য নিরাপদ বলে গণ্য হয় না।

ইতোমধ্যে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ও শালীনতা অনুসরণ করে সরকারের বিরুদ্ধে তাদের নেতা-কর্মীদের হত্যা ও গুমের অভিযোগ জাতির সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। তবে সেটা আরও তথ্যবহুল, বাস্তবসম্মত ও সুনির্দিষ্ট হলে সবার কাছে প্রশংসনীয় হতো বলে বিশিষ্টজনরা মনে করেন। বিরোধী দলের ভাষ্য অনুযায়ী তাদের সরকার থেকে সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করা না হলেও বিশ্ব ইজতেমা, একুশে বইমেলা, সরস্বতী পূজা ইত্যাকার জনসম্পৃক্তমূলক অনুষ্ঠান ও সেন্টিমেন্টের কথা যৌক্তিকভাবে বিবেচনা করে বিরোধী দল কালোপতাকা মিছিল বা বিক্ষোভ মিছিলের মতো সাধারণ রাজনৈতিক কর্মসূচিও সীমিত আকারে পালন করার চেষ্টা করেছে। অন্যদিকে বিরোধী দলের আটককৃত শীর্ষনেতাদের জেল থেকে মুক্তিদান সরকারের সদিচ্ছার পরিচয় বহন করে। আসলে এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে রাজনৈতিক সংস্কৃতির ইতিবাচক দিক হিসেবে বিবেচনা করা যায়।

গণতন্ত্রে আলোচনা-সমালোচনা, তর্ক-বিতর্ক ও একে-অপরের প্রতি সহিষ্ণুতার গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখতে পাই, সেই সহিষ্ণুতার জায়গা থেকে পদস্খলন হয়ে বক্তৃতা-বিবৃতিতে প্রতিপক্ষের নেতা-নেত্রীদের ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ না করলে যেন রাজনৈতিক বক্তব্যের পূর্ণতা পায় না। এ ধরনের ব্যক্তিগত আক্রমণ যখন শীর্ষ পর্যায়ের নেতা-নেত্রীদের কাছ থেকে আসতে থাকে এবং মাত্রাতিরিক্ত অশ্লীলভাবে চলতে থাকে, তখন পুরো জাতির লজ্জাবোধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। রাজনৈতিক ভাষা প্রয়োগের ক্ষেত্রে সবার পরিমিতিবোধ ও সংবেদনশীল হওয়া প্রয়োজন। কেননা যে কোনো দেশের শীর্ষনেতা বা নেত্রীরা জাতির জন্য আলোকবর্তিকা স্বরূপ।

তাদের দেখেই তো অন্যরা শিখবে ও অনুসরণ করবে। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করতে গেলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্বের মধ্যে সমঝোতার পরিবেশ সৃষ্টির বিকল্প কোনো পথ নেই। নিকট অতীতে সংঘটিত রক্তপাত-হানাহানির তিক্ত অভিজ্ঞতার আলোকে বর্তমানে বিরোধী দল থেকে যেভাবে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে তেমনিভাবে নৈতিক বাধ্যতাবোধ ও উদার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকেও সমঝোতার উদ্যোগ জাতি প্রত্যাশা করে।

সাংবিধানিক রীতি অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি দশম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের ভাষণে গণতন্ত্র বিকাশে সরকারের সঙ্গে সংলাপে বসতে নির্বাচন বর্জনকারী দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সে সঙ্গে রাজনীতি থেকে হিংসা, হানাহানি ও সংঘাত দূর করার মাধ্যমে একটি সহিষ্ণু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বর্তমান বাস্তবতায় সব রাজনৈতিক দলের উচিত তার এই আহ্বানে সাড়া দেওয়া। এ কথা সর্বজনবিদিত যে, সন্ত্রাস ও প্রতিহিংসার রাজনীতি কোনো দলের জন্য যেমন নিরাপদ নয় তেমনি দেশ, সমাজ ও অর্থনীতির জন্য কল্যাণকর হতে পারে না। দেশের শান্তি-স্থিতি-সমৃদ্ধির জন্য জাতীয় ঐকমত্যের বিকল্প নেই। জাতির সার্বিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত হিসেবেই দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদদের কিছু বিষয়ে ঐকমত্য নিশ্চিত করা দরকার। কেননা দেশের বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর মতামতকে গুরুত্ব ও মূল্যায়ন না করলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কোনো কাঠামোই নিরাপদ থাকবে না।

গ্রহণযোগ্য নতুন নির্বাচনের দাবি উপেক্ষিত হলে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, 'আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য সংলাপ ও সমঝোতার আহ্বান জানিয়ে যাব, এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই'। অনেক জায়গায় ইতিপূর্বে এ আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নিয়েছে, যা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাপকাঠিতে কারও কাম্য নয়। তথাপি বিএনপির আন্দোলন কোনোক্রমেই ব্যর্থ হয়েছে এ কথা বলা যাবে না। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে উত্থান পতন আছে ঠিকই কিন্তু একসময় না একসময় তা অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।

এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, দেশের স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য রাজনৈতিক সমঝোতা অপরিহার্য এবং বিএনপির বর্তমান সমঝোতার আহ্বানকে পরাজিত শক্তির পিছুটান হিসেবে দেখা সরকারের জন্য কোনোক্রমেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় বহন করবে না। কেননা এ মুহূর্তে বিরোধীজোটের আন্দোলনে স্থিতাবস্থা বজায় থাকলেও তা কতদিন থাকবে নিশ্চিত করে বলা কঠিন। আন্দোলন শুরু হলে তা আবার সহিংসতায় রূপ নেবে কি-না সে বিষয়ে জনমনে আশঙ্কা রয়েছে।

পরিশেষে বলা যায়, নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে বিরোধী জোটের যে আপত্তি সেটারও নিষ্পত্তি হওয়া দরকার। বিশেষ করে যৌথ ঘোষণা ও রূপরেখার মাধ্যমে এ বিষয়ে সর্বজনগ্রাহ্য একটা স্থায়ীরূপ দেওয়া প্রয়োজন।

সেক্ষেত্রে সংলাপ-আলোচনা ছাড়া তা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। যার ইঙ্গিত দিয়েছেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে সুশীল সমাজের বিশিষ্টজন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। রাজনীতিতে উভয় বড় দলের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধার ব্যাপারটি সমুন্নত করে বিবেক ও প্রজ্ঞার সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধসমূহ যতদ্রুত সম্ভব মিটিয়ে বর্তমান সংকট উত্তরণে সবাইকে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে হবে এবং গণতন্ত্রের স্বার্থে এক জায়াগায় আসতে হবে। গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্বাচন পদ্ধতি সম্পর্কে সমঝোতায় উপনীত হওয়া দরকার। তাহলেই সমঝোতার ক্ষেত্র তৈরি হয়ে জনমনে শান্তি-স্বস্তি ফিরে আসবে।

লেখক : চেয়ারম্যান, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি

ই-মেইল : শরৎড়হফবনধঃব@মসধরষ.পড়স

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.