অনুকে আজ দেখতে আসবে। ছেলের বাড়ির লোকেরা ওদের বাসাতেই আসতে চেয়েছিল। কিন্তু ওর মামা এতে কিছুতেই রাজ়ি হননি। ছেলেপক্ষকে উনি প্রস্তাব দিলেন তাঁর নিজের বাসায় দেখতে। বোনের বাসায় এত লোক আসবে,যদি তাদের পছন্দ না হয় তাহলে অনুকে বরাবরের মত পাড়ায় একটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হবে।
শুধুমাত্র শ্যামলা হওয়ার কারণে তাঁর প্রিয় ভাগনীকে বারবার কষ্ট পেতে দেখতে উনার ভাল লাগে না। অনু সকাল সকাল মামার বাসায় চলে আসলো। মামীর আয়োজন দেখে সে লজ্জা পেল। কত নাস্তা বানিয়েছে। তার ভয় হতে লাগলো এরাও যদি পছন্দ না করে? মামী নিজহাতে ওকে সাজাতে বসল।
খুব হাল্কা সাজে যত্ন করে সাজালো মামী। যেন ওকে দেখে মনে না হয় মেকআপ করে সুন্দর করা হয়েছে। মামী মজা করে বললেন ছেলে যদি একবার তোর চোখের দিকে তাকায় চোখ ফেরাতে পারবে না। অনু একটু হাসলো শুধু।
বিকেলবেলা ছেলের বাড়ির লোকেরা আসলো।
মা, চাচী,ছেলেসহ মোট আটজন লোক আসলো। চা নাস্তার পর্ব শেষ হওয়ার পর এবার অনুকে দেখার পালা। দুরুদুরু বুকে অনু গেল। সবাইকে সালাম দিয়ে ঢুকলো ড্রইং রুমে। ছেলের চাচী নিয়ে বসালেন পাশে।
শুরু করলেন যাচাই বাছাই। কি পড়? চাকরী করার ইচ্ছে আছে কিনা? চাকরী করলে শাশুড়ী অসুস্থ হলে সেবা করবে কে? আট জন আট রকমের প্রশ্ন করে যাচ্ছিল। হঠাৎ ছেলের চাচী অনুর মাথার কাপড় ধরে দিলেন এক হ্যাঁচকা টান দেখি তো তোমার গলাটা। কতটা মেকআপ করেছ দেখিত? আজকাল তো সাজিয়ে রাত কে দিন বানানো যায়। হাজার চেষ্টা করেও অনু চোখের পানি ধরে রাখতে পারলো না।
এতপড়াশুনা করে এত ভাল রেজাল্ট করেও তাকে কেন বারবার এভাবে অপমানিত হতে হয়? কেন? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।