আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পৃথিবীর সবচাইতে ব্যয়বহুল ১০ টি মিলিটারী যুদ্ধ বিমান

"" যে দুর্বিনীত, সে ভালো কথা বলতে পারে না" কনফুসিয়াস ।

এফ/এ - ১৮ হর্নেট : $৯৪ মিলিয়ন

ইউএস আর্মির সর্বপ্রথম স্ট্রাইক ফাইটার বিমান। টুইন ইজ্ঞেনর এই যুদ্ধ বিমানটি সার্ভিস শুরু করে ১৯৮০ সনে। গ্রাউন্ড এবং এ্যারিয়াল উভং টার্গেটে এ্যাটাক করতে সক্ষম। বর্তমানে এটি ইউএস আর্মি ছাড়াও কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ফিনল্যান্ড, কুয়েত, মালয়েশিয়া, স্পেন এবং সুইজারল্যান্ড আর্মিতে ও সার্ভ করে যাচ্ছে

EA-১৮G Growler: $102 মিলিয়ন

এটি মূলত এফ/এ - ১৮ হর্নেট ফাইটারের একটি লাইট আর্ম ভার্সন যা ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার এর জন্যে ডেভলাপ করা (মূলত এখন NAVY তে সার্ভ করে যাচ্ছে)।

এটি এ্যান্টি এ্যায়ারক্রাফ্ট রাডার অবজেক্ট কে খুজে বের করে এবং শত্রু পক্ষের কমিউনিকেশান সিস্টেমে নিজের পাঠানো সিগন্যালের মাধ্যমে পুরো জ্যাম করে দিতে সক্ষম।

V-22 অস্প্রে : $118 মিলিয়ন

২০০৭ সনের ইরাক যুদ্ধে প্রথম ব্যবহার করা হয়। টিল্ট রোটরের এই যুদ্ধাবিমান হেলিকপ্টাররে মত উঠা নামা করলেও এটি একটি ফিক্সড উইং প্লেনের চাইতে দ্রুত উড়ে থাকে। ভয়াবহ এই বিমানের ইতিহাস আরেকটু ঘাটলেই যানতে পারবেন এর ধ্বংসযজ্ঞের আরো তথ্য।

এফ-৩৫ লাইটিং II : $১২২ মিলিয়ন

ইউএস মিলিটারির এ যাবৎ কালের সবচেয়ে বড় ডিল সই হয় এই সুপারসনিক ফাইটারের প্রজেক্ট শুরু হওয়ার কালে ২০০১ সনে।

যদিও বর্তমানে এক্সপার্টরা মনে করছেন এই বিমান তাদের আশা পূরণ করতে পারেনি। তাদের মতে এটি খুবই লাইট এবং আন্ডারআর্মড। ২০০৭ এবং ২০০৮ সনে কম্পিউটার হ্যাকার দ্বারা ৭.৫ মিলিয়ন কোডের তথ্য পাচার কালীন সময়ে এই বিমানের তথ্যও পাচার হয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। তাই কোন শত্রু পক্ষের স্কোয়াডে এই বিমানের দেখতে পেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

E 2D - এ্যাডভান্সড হকআই : $২৩২ মিলিয়ন

এর পাওয়ারফুল এবং এ্যাডভান্সড রাডার সিস্টেম এর টেরিটরির ৩০০% এলাকা আরো বেশি কভার করবে।

এটি এখনও আন্ডার ডেভেলাপমেন্ট অবস্থায় আছে। যদিও এর দুটি টেস্ট ভার্সন নেভি কে সাপ্লাই করা হয়েছে। এবং তারা ও এতে পজিটিভ ফিডব্যাক দিয়েছে।

VH-৭১ Kestrel : $২৪১ মিলিয়ন

এই হাইটেক হেলিকপ্টার প্রজেক্ট ইতোমধ্যে President's aging chopper fleet এর স্থলাভিষিক্ত হয়েছে। অর্থাৎ এটি বারাক ওবামার অফিস থেকে বাড়ী ফেরার যান হতে চলেছে।

তবে গত 22 জুলাই এই বাজেট $৪৮৫ মিলিয়নে উন্নীত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

পি - ৮ এ Poseidon : $২৯০ মিলিয়ন

এর ৭৮৭ জেট এর মিলিটারি ভার্সনটি নভি কে ব্যবহার করতে দেয়া হবে যা ব্যবহার হবে মূলত সাবমেরিন ওয়ারফেয়্যার এবং ইন্টেলিজেন্স গ্যাদারিং এর জন্যে। তবে পুরোপুরি সার্ভিস শুরু করতে এটি ২০১৩ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে ডেভেলপাররা বলছেন।

C17A গ্লোবমাষ্টার III : $৩২৮ মিলিয়ন

এয়ারফোর্সের মিলিটারি ট্রান্সপোর্ট প্লেনটি মূলত যুদ্ধক্ষেত্রে মেডিকেল সার্ভিস দিয়ে থাকে এবং এয়ারড্রপ মিশনের সাথে যুক্ত। বর্তমানে ১৯০টি C17A গ্লোবমাষ্টার III সার্ভিসে রানিং অবস্থায় আছে।

১৯৯৩ সন থেকে নিরলস ভাবে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে। ১০২ জন প্যারাট্রুপার একসাথে ডাইভ দিয়ে থাকে এই বিমান থেকে। ইরাক এবং আফগান যুদ্ধেও ব্যবহার করা হয়েছে এই বিমান।

F-22 Raptor : $৩৫০ মিলিয়ন

বিশ্বের সবচাইতে বেষ্ট কমব্যাট প্লেন হিসেবে বিবেচনা করা হয় এই এফ - ২২ রাপ্টারকে। এর মানুফ্যাকচারিং ডিজাইনার হচ্ছেন Lockheed Martin।

শত্রু পক্ষের নিক্ষেপ করা ক্রুজ মিসাইল কে শুট ডাউন করার মত ভয়াবহ কাজ ছাড়াও আছে সুপারসনিক স্পীড। বর্তমানে সিনেট বড় ডিবেট চলছে যে এর আরো সাতটি বানানো হবে কি না তা নিয়ে। যার টেটাল খরচ পরবে $১.৬৭ বিলিয়ন এবং এই প্রোজেক্টে কাজ করবে ২৫০০০ এর ও বেশী আমেরিকান।

B-2 Spirit : $২.৪ বিলিয়ন

আপনারা হয়ত আমার কথা বিশ্বাস করবেন না, তারপরেও পরেও বলি। ছোটবেলায় আমার এটি পছন্দের গেমস ছিল "Aero fighter 2"।

জানিনা আপনাদের কেউ খেলেছেন কিনা। খেলে থাকলে নিশ্চই মনে করতে পারবেন যে এ্যারো ফাইটারের একটি বস ছিল হুবুহু এই বি - ২ স্পিরিট। আমি নিজেও প্রথমে দেখে অবাক হয়েছি। এটি বোমারু বিমান যার বর্তমানে ২০টি ইউএস আর্মির সার্ভিসে আছে। ইনফ্রারেড, এ্যাকুইস্টেক এবং ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রাডার ভিসিউয়াল সিগন্যালেও একে খুজে পাওয়া সম্ভব হয়নি।

আফগান এবং ইরাক যুদ্ধে সমানে বোমা ফেলা হয় এই বিমান দিয়ে।

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.