বিশ্বের উচ্চতম শৃঙ্গকে পরিচ্ছন্ন করার প্রয়াসে এই আইন করা হচ্ছে বলে নেপালের এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে।
নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মধুসুদন বারলাকোতি বলেছেন, আগামী এপ্রিলে হিমালয়ের বেস ক্যাম্প থেকে যাত্রা করা পর্বতারোহীদের দিয়েই আইনটি বাস্তবায়ন শুরু হবে।
আইনটি মানতে ব্যর্থদের মুখোমুখি হতে হবে আইনি ব্যবস্থার, বলেন বারলাকোতি। তবে সাজার ধরন কেমন হবে, সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
অনেকদিন ধরেই এভারেস্ট চূড়ায় জমছে অভিযাত্রীদের ফেলে রেখে আসা বিভিন্ন জিনিসপত্র।
এর মধ্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার, মানববর্জ্য এমনকি অভিযানে গিয়ে মারা যাওয়া অভিযাত্রীদের মৃতদেহও রয়েছে।
বারলাকোতি বলেন, “এভারেস্ট পরিচ্ছন্ন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে প্রত্যেক অভিযাত্রীকে এভারেস্ট থেকে ৮ কেজি করে আবর্জনা নিয়ে নামতে হবে। ”
নামার পর এসব আবর্জনা বেস ক্যাম্পে স্থাপন করা কার্যালয়ে জমা দিতে হবে।
আগামী মাসেই বেস ক্যাম্পে এই কার্যালয় চালু করা হবে।
এমনিতে অভিযাত্রীদের এভারেস্টে ওঠার আগে ৪ হাজার ডলার জমা দিতে হয়। অভিযান শেষে যদি তারা দেখাতে পারেন, তারা বয়ে নিয়ে যাওয়া সব জিনিস ফেরত এনেছেন, তাহলে ওই অর্থ ফেরত দেয়া হয়।
এভারেস্ট দূষণের বিষয়ে অনেকদিন ধরেই সোচ্চার পরিবেশবাদী ও পর্বতারোহী বিভিন্ন সংগঠন। বিভিন্ন সময় এভারেস্টে পরিচ্ছন্নতা অভিযানও চালানো হয়।
বিশ্বের সর্বোচ্চ স্থানটির দূষণের ভয়াবহতা তুলে ধরতে ২০১২ সালে কাঠমান্ডুতে এভারেস্ট থেকে সংগৃহিত রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার, দড়ি, তাঁবু, কাচ, বিয়ারের কৌটা, প্লাস্টিক দ্রব্য এমনকি হেলিকপ্টারের অংশ বিশেষ দিয়ে তৈরি ৭৫টি শিল্পকর্মের প্রদর্শনী হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।