আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্ষতিগ্রস্ত ৪৭৫ বিদ্যালয় সংস্কারে অগ্রগতি নেই

টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সংস্কারে অগ্রগতি নেই ভোটের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ৪৭৫ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। কে কাজ করবে, কে টেন্ডার নেবে, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কাজ করাবে কি-না তা নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে খোলা আকাশের নিচে মাটিতে বসে ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। সংস্কারে স্কুল কমিটির সভাপতি এবং অভিভাবকরা তোড়জোড় করলেও কোনো উত্তর মিলছে না। জানা গেছে, ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত ৪৭৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় দুর্বৃত্তরা পুড়িয়ে দেয়।

নির্বাচন শেষ হলেও ভোগান্তিতে পড়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর লাখ লাখ খুদে শিক্ষার্থী। সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলে স্কুল ভবন সংস্কারের বিষয়েও ব্যাপক হৈচৈ পড়ে। শিক্ষাবর্ষ শুরু থেকে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পিইডিপি-৩ এর আওতায় ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এডুকেশন ইন ইমারজেন্সি খাতে ২ কোটি টাকা সংস্থান আছে। এ টাকা থেকে ১১টি বিদ্যালয় সংস্কারে ৩৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এগুলো সংস্কার শেষ পর্যায়ে।

ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুল সংস্কারে টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শ্যামল কান্তি ঘোষ বলেন, বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসবাব তথা চেয়ার-টেবিল ও বেঞ্চের ক্ষতি হয়েছে। তা ছাড়া কাঁচাঘরের শ্রেণীকক্ষ পুড়ে গেছে, যদিও এ সংখ্যা খুব বেশি নয়। তবে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংস্কারে আমরা তোড়জোড় করছি। বেশকিছু সংস্কার হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মাঠপর্যায় থেকে ৪৭৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্তের তথ্য পাওয়া গেছে এক মাস আগে। এ বিদ্যালয়গুলো সংস্কারে ও মেরামতের জন্য ছয় কোটি ৮৭ লাখ ১৭ হাজার ৪৭৪ টাকা প্রয়োজন বলে একটি প্রস্তাব পাওয়া গেছে। টাকাও বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে কাজটি কীভাবে, কাদের মাধ্যমে করা হবে তা নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দ্রুতগতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারের তদারকি করতে। আমরা খোঁজ রাখছি সংস্কার কাজের অগ্রগতির। জানা গেছে, ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুধু রংপুর বিভাগেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিন শতাধিক।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) হিসাব অনুযায়ী, ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১২৫টি। এগুলো মেরামতে খরচ হবে দুই কোটি ৩৮ লাখ ৮৫ হাজার ৪২০ টাকা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাউশির আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক স্কুলের সংখ্যা ৮৭টি, মাদ্রাসা ২৬ এবং কলেজ ১২টি। মাধ্যমিক স্কুলগুলো মেরামত করতে এক কোটি ৭৬ লাখ, মাদ্রাসাগুলো মেরামতে ২২ লাখ এবং কলেজগুলো মেরামতে ৪১ লাখ টাকা খরচ হবে।

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.