আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সংস্কৃতির দেশান্তর - জাপনিজ জুডে থেকে ব্রাজিলিয়ান জু-জুৎসু (Brazilian jiu-jitsu)



ফুটবল নিঃসন্দেহে ব্রাজিলিয়ানদের এক উন্মাদনার নাম। এর পরে যে দুটি খলো এদেশে সমধিক জনপ্রয়িতা পেয়েছে তার একটার নাম ব্রাজিলিযান জু-জুৎসু আর অন্যটি হলো কাপোয়রো (Capoeira)। কাপোয়েরার জন্ম এঙ্গোলাতে আর জু-জুৎসুর জন্ম জাপানে।

জু (jiu) অর্থ gentle/soft/pliable আর জুৎসু (jitsu) হলো art/technique; অর্থাৎ কোমল কৌশল। জু-জুৎসু মূলত অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ দেহী ও শক্তিশালী কাউকে প্রতিহত করার অন্যতম জনপ্রিয় কৌশল।

মধ্যযুগীয় বা প্রাক-আধুনিক কালে জাপানি সামরিক সভ্যগণ (যারা সামুরাই নামে পরিচিত) জু-জুৎসুতে সম্যক পারদশী ছিলেন।

ব্রাজিলিয়ান জু-জুৎসুর ইতিহাসের মূলে রয়েছে জুডো (judo)। জুডোর আবিস্কারক ছিলেন Jigoro Kano। Kano
তার শেখা মার্শাল আর্টের দুটি কৌশল (Tenshin Shin’yo ও Kito Ryu) কে একত্রিত করেন এবং তাতে randori নামক মনোঃসংযোগ ও টেকনিক্যাল উৎকর্ষতাকে যুক্ত করে kodokan judo নামে ১৮৮২ সালে জুডো প্রবর্তন করেন। ঔ সময় কিছুকাল এ কোডোকান জুডো অপ্রতিদ্বন্দ্বী এক আত্মরক্ষার কৌশল হিসেবে বিবেচিত ছিল।

পরবর্তীতে Mataemon Tanabe নামে আরেক জাপানি Takeda Motsuge এর প্রবর্তিত Fusen Ryu নামে অন্য এক ধরনের মার্শাল আর্টের কৌশল রপ্ত করে জুডোবিদদেরকে নাস্তানাবুদ করতে আরম্ভ করে। এমতাবস্থায়, কৌশলগত সুবিধার জন্য কোডোকান জুডো ও ফুসেন রিউ যুক্ত নতুন যে কৌশল প্রবর্তিত হয় তার নাম kodokan- Fusen Ryu। এ আর্টের কিংবদন্তির নাম Mitsuyo Maeda যিনি ১০০০ এরও বেশী ফাইটে অংশগ্রহণ করেও অপরাজিত ছিলেন।

মায়িদা আমেরিকা, ব্রিটেন, কিউবা, মেক্সিকো ঘুরে পাড়ি জমান ব্রাজিলে। তিনি এখানে জু-জুৎসু নামে একটি একাডেমিও চালু করেন।

Carlos Gracie ও Helio Gracie ছিলেন ঐ একাডেমির অন্যতম দুই শিষ্য যারা kodokan- Fusen Ryu বিশেষভাবে রপ্ত করেন এবং ব্রাজিলে এটি প্রচার করতে থাকেন। আর কালক্রমে এর নাম হয়ে যায় ব্রাজিলিয়ান জু-জুৎসু।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।