আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খোকার বিদায় যে কারণে

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

অবশেষে দীর্ঘ ১৭ বছরের রাজত্বকে বিদায় জানাচ্ছেন ঢাকা মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা। মহানগরীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক এই মেয়র।
আন্দোলন চাঙ্গা করতে ব্যর্থতার অভিযোগে দলের ভেতরে তীব্র সমালোচনার মধ্যেই বিএনপির ঢাকা মহানগর কমিটির আহ্বায়কের পদ ছাড়ার ঘোষণা দিলেন সাদেক হোসেন খোকা। তার ঘোষণা অপ্রত্যাশিত না হলেও রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক কৌতুহলের সৃষ্টি করেছে।

গুরুত্বপূর্ণ এই পদ কেনো ছাড়তে চাইছেন খোকা নিতান্তই স্বেচ্ছায়, নাকি বাধ্য হয়ে? তাই নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।

গত বুধবার রাজধানীর নয়া পল্টনে দলের মহানগর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আমি আর এই দায়িত্ব পালন করতে চাই না। মহানগরকে ঢেলে সাজানোর জন্য আমি নেত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছি। তিনি শিগগিরই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।
গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকানোর ঘোষণা দিয়ে বিএনপি লাগাতার কর্মসূচি দিলেও আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর খোকার নেতৃত্বাধীন ঢাকা মহানগর কমিটি নিয়ে দলের ভেতরে ও বাইরে প্রশ্ন ওঠে।

কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাও প্রকাশ্যে এ বিষয়ে বক্তব্য দেন। এমনকি সরকারের একটি প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে তার গভীর সম্পর্ক রয়েছে বলে দলীয় পরিম-লে কথা চালু আছে।

শুধু তাই নয়, খোকা আওয়ামী লীগে যোগদান করছেন এমন গুঞ্জন ছিল গতকাল দিনভর।


এ প্রসঙ্গে খোকা বলেন, সরকারের দখলদার মনোভাবের কারণেই রাজধানীতে আন্দোলন সফল হয়নি। এখন সময় দলকে ঐক্যবদ্ধ করে সবাইকে নিয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন জোরদার করা।

এসময় দলের মধ্যে একে অন্যকে দোষারোপ করলে তা দলের জন্য ক্ষতিকর হবে। আগামী দিনে যার নেতৃত্বেই ঢাকা মহানগর বিএনপির কমিটি গঠন করা হবে তার নেতৃত্বেই আমরা দলকে শক্তিশালী করতে কাজ করবো।
ঢাকার সাবেক এই মেয়র, ১৯৯৬ সাল থেকে বিএনপির ঢাকা মহানগর কমিটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। সর্বশেষ ২০১১ সালের মে মাসে খালেদা জিয়া খোকাকে আহ্বায়ক ও আবদুস সালামকে সদস্য সচিব করে নতুন আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করেন। এরপর ছয় মাসের মধ্যে সর্বস্তরের কাউন্সিলের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার কথা থাকলেও তা আর হয়নি।


রাজনৈতিক অঙ্গনে ‘ম্যানেজ মাস্টার’ হিসেবে পরিচিত বিএনপির এই নেতাকে নিয়ে নানা আলোচনা চলছে অনেক আগে থেকেই। মহাজোট সরকারের শেষ বছরে সরকারবিরোধী বিভিন্ন ‘উত্তপ্ত’ বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন খোকা। একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেপ্তারের জন্য তার গোপীবাগ ও গুলশানের বাসায় তল্লাশি চালালেও তিনি গ্রেপ্তার হননি। রাজপথে না থাকায় তাকে শোকজও করেন দলের হাইকমান্ড।
সরকারের সঙ্গে খোকার গভীর আঁতাতের অভিযোগ থেকে নিস্তার পেতে এবং গ্রেপ্তার এড়াতে একাধিকবার মাসাধিক সময় আত্মগোপনেও থাকেন তিনি।

দলের কঠোর আন্দোলনে রাজপথে না থাকলেও আত্মগোপন থেকে বেরিয়ে তিনি নিজেই যোগ দেন বিগত সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত গত বছরের ২৫ অক্টোবরের সমাবেশে। ঐ সমাবেশেই সর্বোচ্চ জনসমাগম নিশ্চিত করার পাশাপাশি আক্রমণ প্রতিহত করতে প্রয়াজনে দা-কুড়াল নিয়ে জনগণকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েই আবারো গা ঢাকা দেন তিনি। আন্দোলন থেকে নিজেকে সরানোর জন্য আত্মগোপন ও গ্রেপ্তারের উপলক্ষ তৈরিতে তার এই কৌশল দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে সংশয় সৃষ্টি করে।
এমনকি ২৫ অক্টোবরের সমাবেশের পর থেকে তিন দফায় ২০৮ ঘণ্টা হরতাল পালিত হলেও রাজধানীর কোথাও খোকাকে দেখা যায়নি। হরতালে সারা দেশে রাজপথ নেতাকর্মীদের দখলে থাকলেও রাজধানীতে কোনো দায়িত্বশীল নেতার নেতৃত্বে একটি মিছিলও হয়নি।

এতে খোকার ওপর ভীষণ ক্ষুব্ধ ছিলেন খালেদা জিয়া। এজন্য শোকজও করা হয় তাকে। তাই খালেদা জিয়ার রাগ ভাঙাতে ওকালতি করার জন্য দলের সিনিয়র নেতাদের বাসায় গিয়ে তদবিরও করেছেন খোকা।
শুধু তাই নয় গত ৫ মে ঢাকায় হেফাজতে ইসলামী অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিবৃতি দিয়ে হেফাজতের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু তার নির্দেশ আমলে নেয়নি খোকার নেতৃত্বাধীন ঢাকা মহানগর বিএনপি।

তখন থেকেই নেত্রী তার ওপর নাখোশ ছিলেন বলে দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
বিএনপির ভেতরে বাইরে ফলাওভাবে প্রচার হয়ে আসছিল অবিভক্ত ঢাকার এই সাবেক মেয়র এক-এগারোর সময় ছিলেন চরম সংস্কারপন্থী। ঐ সময়ের সেনা সমর্থিত সরকারের সঙ্গে তার দহরম-মহরম ছিল। আর তাই সরকার, মহাজোট সরকার এবং নির্বাচনকালীন ‘সর্বদলীয়’ সরকারের আমলে দলের বাঘা বাঘা রাজনীতিবিদরা গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণ করলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকেছেন খোকা।
জানা যায়, বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে ঢাকার মেয়রের পাশাপাশি সাংসদও নির্বাচিত হন খোকা।

মহানগর সভাপতি ও ঢাকার মেয়র হওয়ার পর খুলে যায় তার উন্নতির দুয়ার। সকল ক্ষেত্রে ১৫-২০% নেয়ার কারণে ঠিকাদার সমাজে তিনি ‘মিঃ টুয়েন্টি পার্সেন্ট’ নামে পরিচিত ছিল। তখন ডিসিসির কমিশনারদের মধ্যেও নিজের প্রভাব প্রতিষ্ঠিত করেন খোকা।
সাদেক হোসেন খোকার পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভোরের কাগজকে বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। তাছাড়া এই বিষয়ে আমি এখনো পুরোপুরি জানি না।

তাই না জেনেবুঝে কোনো মন্তব্য করাও ঠিক না। তিনি আজই পদত্যাগ করেছেন কিনা আগে বিষয়টি জানতে হবে।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এটা তার একান্তই নিজস্ব ইচ্ছার বিষয়। তিনি তার সিদ্ধান্ত প্রকাশ করেছেন এ বিষয়ে দলীয় ফোরামে আলাপ-আলোচনা হওয়ার পর সব কিছু জানা যাবেÑ এখনই নয়।
দলের একজন সিনিয়র নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তিনি সবকিছুই ম্যানেজ করতে পারেন।

অসংখ্য বিতর্কের পরেও তার কৌশলের কারণেই খালেদা জিয়া তাকে আহ্বায়কের দায়িত্ব দিতে বাধ্য হয়েছেন। এক-এগারোর সরকার ও মহাজোট সরকারকে ম্যানেজ করে গ্রেপ্তার ঠেকিয়েছেন। তবে এবার হয়তো ম্যানেজ করতে ব্যর্থ হওয়ায় কারণেই পদত্যাগ করেছেন।
তবে গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর খালেদা জিয়া যখন ঢাকা মহানগর বিএনপি পুনর্গঠনের ঘোষণা দেন, ঠিক তখনই খোকা বুঝতে পেরেছিলেন তার আসন টলে গেছে। তাই তিনি দলের প্রধানের সিদ্ধান্তে অসম্মানের বিদায় চাননি।

নিজে থেকেই সরে যাওয়া সিদ্ধান্ত নেন। আন্দোলন চাঙ্গা করতে ব্যর্থতার অভিযোগে দলের ভেতরে তীব্র সমালোচনার মধ্যেই বিএনপির ঢাকা মহানগর কমিটির আহ্বায়কের পদ ছাড়ার ঘোষণা দিলেন সাদেক হোসেন খোকা। তার ঘোষণা অপ্রত্যাশিত না হলেও রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক কৌতুহলের সৃষ্টি করেছে। গুরুত্বপূর্ণ এই পদ কেনো ছাড়তে চাইছেন খোকাÑ নিতান্তই স্বেচ্ছায়, নাকি বাধ্য হয়ে? তাই নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।
গতকাল বুধবার রাজধানীর নয়া পল্টনে দলের মহানগর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আমি আর এই দায়িত্ব পালন করতে চাই না।

মহানগরকে ঢেলে সাজানোর জন্য আমি নেত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছি। তিনি শিগগিরই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।
গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকানোর ঘোষণা দিয়ে বিএনপি লাগাতার কর্মসূচি দিলেও আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর খোকার নেতৃত্বাধীন ঢাকা মহানগর কমিটি নিয়ে দলের ভেতরে ও বাইরে প্রশ্ন ওঠে। কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাও প্রকাশ্যে এ বিষয়ে বক্তব্য দেন। এমনকি সরকারের একটি প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে তার গভীর সম্পর্ক রয়েছে বলে দলীয় পরিম-লে কথা চালু আছে।

শুধু তাই নয়, খোকা আওয়ামী লীগে যোগদান করছেন এমন গুঞ্জন ছিল গতকাল দিনভর।
এ প্রসঙ্গে খোকা বলেন, সরকারের দখলদার মনোভাবের কারণেই রাজধানীতে আন্দোলন সফল হয়নি। এখন সময় দলকে ঐক্যবদ্ধ করে সবাইকে নিয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন জোরদার করা। এসময় দলের মধ্যে একে অন্যকে দোষারোপ করলে তা দলের জন্য ক্ষতিকর হবে। আগামী দিনে যার নেতৃত্বেই ঢাকা মহানগর বিএনপির কমিটি গঠন করা হবে তার নেতৃত্বেই আমরা দলকে শক্তিশালী করতে কাজ করবো।


ঢাকার সাবেক এই মেয়র, ১৯৯৬ সাল থেকে বিএনপির ঢাকা মহানগর কমিটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। সর্বশেষ ২০১১ সালের মে মাসে খালেদা জিয়া খোকাকে আহ্বায়ক ও আবদুস সালামকে সদস্য সচিব করে নতুন আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করেন। এরপর ছয় মাসের মধ্যে সর্বস্তরের কাউন্সিলের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার কথা থাকলেও তা আর হয়নি।
রাজনৈতিক অঙ্গনে ‘ম্যানেজ মাস্টার’ হিসেবে পরিচিত বিএনপির এই নেতাকে নিয়ে নানা আলোচনা চলছে অনেক আগে থেকেই। মহাজোট সরকারের শেষ বছরে সরকারবিরোধী বিভিন্ন ‘উত্তপ্ত’ বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন খোকা।

একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেপ্তারের জন্য তার গোপীবাগ ও গুলশানের বাসায় তল্লাশি চালালেও তিনি গ্রেপ্তার হননি। রাজপথে না থাকায় তাকে শোকজও করেন দলের হাইকমান্ড।
সরকারের সঙ্গে খোকার গভীর আঁতাতের অভিযোগ থেকে নিস্তার পেতে এবং গ্রেপ্তার এড়াতে একাধিকবার মাসাধিক সময় আত্মগোপনেও থাকেন তিনি। দলের কঠোর আন্দোলনে রাজপথে না থাকলেও আত্মগোপন থেকে বেরিয়ে তিনি নিজেই যোগ দেন বিগত সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত গত বছরের ২৫ অক্টোবরের সমাবেশে। ঐ সমাবেশেই সর্বোচ্চ জনসমাগম নিশ্চিত করার পাশাপাশি আক্রমণ প্রতিহত করতে প্রয়াজনে দা-কুড়াল নিয়ে জনগণকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েই আবারো গা ঢাকা দেন তিনি।

আন্দোলন থেকে নিজেকে সরানোর জন্য আত্মগোপন ও গ্রেপ্তারের উপলক্ষ তৈরিতে তার এই কৌশল দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে সংশয় সৃষ্টি করে।
এমনকি ২৫ অক্টোবরের সমাবেশের পর থেকে তিন দফায় ২০৮ ঘণ্টা হরতাল পালিত হলেও রাজধানীর কোথাও খোকাকে দেখা যায়নি। হরতালে সারা দেশে রাজপথ নেতাকর্মীদের দখলে থাকলেও রাজধানীতে কোনো দায়িত্বশীল নেতার নেতৃত্বে একটি মিছিলও হয়নি। এতে খোকার ওপর ভীষণ ক্ষুব্ধ ছিলেন খালেদা জিয়া। এজন্য শোকজও করা হয় তাকে।

তাই খালেদা জিয়ার রাগ ভাঙাতে ওকালতি করার জন্য দলের সিনিয়র নেতাদের বাসায় গিয়ে তদবিরও করেছেন খোকা।
শুধু তাই নয় গত ৫ মে ঢাকায় হেফাজতে ইসলামী অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিবৃতি দিয়ে হেফাজতের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু তার নির্দেশ আমলে নেয়নি খোকার নেতৃত্বাধীন ঢাকা মহানগর বিএনপি। তখন থেকেই নেত্রী তার ওপর নাখোশ ছিলেন বলে দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
বিএনপির ভেতরে বাইরে ফলাওভাবে প্রচার হয়ে আসছিল অবিভক্ত ঢাকার এই সাবেক মেয়র এক-এগারোর সময় ছিলেন চরম সংস্কারপন্থী।

ঐ সময়ের সেনা সমর্থিত সরকারের সঙ্গে তার দহরম-মহরম ছিল। আর তাই সরকার, মহাজোট সরকার এবং নির্বাচনকালীন ‘সর্বদলীয়’ সরকারের আমলে দলের বাঘা বাঘা রাজনীতিবিদরা গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণ করলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকেছেন খোকা।
জানা যায়, বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে ঢাকার মেয়রের পাশাপাশি সাংসদও নির্বাচিত হন খোকা। মহানগর সভাপতি ও ঢাকার মেয়র হওয়ার পর খুলে যায় তার উন্নতির দুয়ার। সকল ক্ষেত্রে ১৫-২০% নেয়ার কারণে ঠিকাদার সমাজে তিনি ‘মিঃ টুয়েন্টি পার্সেন্ট’ নামে পরিচিত ছিল।

তখন ডিসিসির কমিশনারদের মধ্যেও নিজের প্রভাব প্রতিষ্ঠিত করেন খোকা।
সাদেক হোসেন খোকার পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভোরের কাগজকে বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। তাছাড়া এই বিষয়ে আমি এখনো পুরোপুরি জানি না। তাই না জেনেবুঝে কোনো মন্তব্য করাও ঠিক না। তিনি আজই পদত্যাগ করেছেন কিনা আগে বিষয়টি জানতে হবে।


দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এটা তার একান্তই নিজস্ব ইচ্ছার বিষয়। তিনি তার সিদ্ধান্ত প্রকাশ করেছেন এ বিষয়ে দলীয় ফোরামে আলাপ-আলোচনা হওয়ার পর সব কিছু জানা যাবেÑ এখনই নয়।
দলের একজন সিনিয়র নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তিনি সবকিছুই ম্যানেজ করতে পারেন। অসংখ্য বিতর্কের পরেও তার কৌশলের কারণেই খালেদা জিয়া তাকে আহ্বায়কের দায়িত্ব দিতে বাধ্য হয়েছেন। এক-এগারোর সরকার ও মহাজোট সরকারকে ম্যানেজ করে গ্রেপ্তার ঠেকিয়েছেন।

তবে এবার হয়তো ম্যানেজ করতে ব্যর্থ হওয়ায় কারণেই পদত্যাগ করেছেন।
তবে গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর খালেদা জিয়া যখন ঢাকা মহানগর বিএনপি পুনর্গঠনের ঘোষণা দেন, ঠিক তখনই খোকা বুঝতে পেরেছিলেন তার আসন টলে গেছে। তাই তিনি দলের প্রধানের সিদ্ধান্তে অসম্মানের বিদায় চাননি। নিজে থেকেই সরে যাওয়া সিদ্ধান্ত নেন। সুত্র
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।