আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিমানটি আকাশে ছিল চার ঘণ্টা

মালয়েশিয়ার নিখোঁজ হওয়া বিমানটি নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরও প্রায় চার ঘণ্টা ধরে আকাশে উড়েছে বলে ধারণা করছেন মার্কিন তদন্ত কর্মকর্তারা। গত শুক্রবার মধ্যরাতে বেইজিংয়ের উদ্দেশে কুয়ালালামপুর থেকে আকাশে উঠার প্রায় এক ঘণ্টা পর ১৪টি দেশের ২৩৯ জন আরোহী নিয়ে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ৩৭০ রাডার থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। বিবিসি, এএফপি।

বিমান নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মার্কিন দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে গতকাল দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিমানটির ইঞ্জিন থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ধারণকৃত তথ্য অনুযায়ী, রাডার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর প্রায় চার ঘণ্টা আকাশে উড়েছে বিমানটি।

তদন্ত ও জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ধারণা, বিমানটি প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে আকাশে ছিল।

তথ্যটি সত্য হলে বিমানটি কেন এতক্ষণ এভাবে আকাশে উড়েছে এবং এই সময়ে কে তা নিয়ন্ত্রণ করেছে, তা নিয়ে নতুন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

উপগ্রহের ছবিতেও পাওয়া যায়নি বিমানের খোঁজ : এখনো পাওয়া যায়নি নিখোঁজ বিমানের হদিস। এমনকি বিভিন্ন উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত ছবিতেও ধ্বংসাবশেষের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এদিকে এমএইচ-৩৭০ এর রহস্যময় নিখোঁজের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে মার্কিন অনুসন্ধানী দল গতকাল জানিয়েছে, বিমানটি খোয়া যাওয়ার পরও চার ঘণ্টা উড়ে বেড়িয়েছে। চীনের এক সংবাদ সংস্থা দেশটির অনুসন্ধানী দলের বরাত দিয়ে এর আগে সংবাদ প্রকাশ করে, নিখোঁজ বিমানটির ধ্বংসাবশেষ তাদের স্যাটেলাইটে ধরা পড়েছে।

সেখানে সন্দেহজনক কিছু ভেসে থাকতে দেখেই এমন ধারণার সৃষ্টি হয়। কিন্তু সন্ধানী দল সেখানে একটি লাল হেরিং মাছ ছাড়া আর কিছুই খুঁজে পায়নি। এছাড়া মার্কিন গোয়েন্দা উপগ্রহগুলো মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের নিখোঁজ হওয়া বিমানটি মধ্যাকাশে বিস্ফোরিত হয়েছে এমন কোনো চিহ্ন পায়নি। কর্মকর্তারা বুধবার একথা বলেন। মার্কিন সরকার চিহ্ন শনাক্ত করতে তাদের উপগ্রহ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, এ ক্ষেত্রে কোনো কিছু খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার ভুল সিগন্যাল পাওয়া গেল। অনুসন্ধানী দল খোয়া যাওয়া বিমানটি খুঁজে পেতে ২৭ হাজার নটিকেল মাইল (৯৩ হাজার বর্গ কিলোমিটার) জুড়ে চিরুনি অনুসন্ধান চালাচ্ছে। চীনা স্যাটেলাইটের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের পর অনুসন্ধান শেষে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, স্যাটেলাইটে যা ধরা পড়েছিল, তা আসলে একটা হেরিং মাছ। এর আগে বেশিরভাগ দেশ নিখোঁজ বিমানটির সন্ধানে যেখানে অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছে তার কাছাকাছি একটি এলাকায় চীন 'সন্দেহজনক বস্তু' শনাক্তের দাবি করায় তা পর্যবেক্ষণে সেখানে বিমান পাঠিয়েছিল মালয়েশিয়া।

দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রধান আজহারউদ্দিন আবদুল রহমান গতকাল বলেন, চীনের উপগ্রহ থেকে পাওয়া তিনটি সন্দেহজনক ভাসমান বস্তুর স্থানে কিছু নেই। আমরা সেখানে বিমান পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু কিছুই পাওয়া যায়নি।

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.