আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তুষারের দেশে আনন্দের এক একটা দিন............(পঞ্চদশ পর্ব)

অপ্রয়োজনে অনেক কথা বলে যাই, কিন্তু বলা হয়না আরো অনেক বেশী কথা- অনেক আপন মানুষদেরকে। তাইতো, এই খোলা চিঠি। হয়তো কারোর চোখে পরবে কোনদিন, যখন আমি থাকবোনা..... আনন্দের তুষারদেশের পাড়া-পরশিরা ........ ছোট বেলা থেকেই লাইটিং জিনিসটা আনন্দের ভালো লাগেনা, বিশেষ করে নিজেদের কোন অনুষ্ঠানে লাইটিং করার ঘোর বিরোধী, বিদ্যুতের অপচয় হবে বলে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বিগত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা থেকে আনন্দ লক্ষ্য করেছে, হিম হয়ে যাওয়া এই তুষারের স্তুপের মাঝেও উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে দিতে, অল্প খরচে আলোক সজ্জার ছোট্ট আয়োজন তার খুবই ভালো লাগে, হয়ে উঠেছে প্রিয় মুহুর্তগুলোর মাঝে একটা। প্রতিবছরই তাই এই অসহ্য কষ্টকর ঠান্ডা উপেক্ষা করে ক্যমেরা হাতে ঘুরে বেড়ায় আর উপভোগ করে - তুষার দেশের এই আলোক সজ্জা।

উন্নতদেশের মানুষদের চিন্তা করতে হয়না বিদ্যুত উৎপাদন নিয়ে, তারপরও তারা অপচয় করেনা খুব একটা। তাইতো তুষারের দেশে স্বল্প আলোর এই আলোক সজ্জা উঠিয়ে আনতে মন চাইলো ব্লগের পাতায়। কেবল বাড়ির সিড়িটাতে ছড়িয়ে দেয়া কিছু লাল মরিচ বাতি। পাল্টে দিয়েছে চির চেনা বাড়িটা এদের সবার মাঝেই কেন জানি , ক্রিসমাস ট্রিটা জানালার ধারে সাজাবার প্রবনতা, তাই তো রাস্তা থেকেই বোঝা যায় ক্রিসমাসের আয়োজন। এই পরশি আবার বাড়ির সামনে বানিয়েছেন হরিন আর খরগোশের মেলা।

আর দোতলার লিভিংয়ের ক্রিসমাস ট্রিটা যেন আলো আধারির খেলায় মত্ত...... আনন্দের সবচেয়ে পচ্ছন্দ হয়েছে , এইটা। ছোট্ট বারান্দায় পাতা চেয়ার আর জ্বালিয়ে দেয়া মশালের মতো বাতিটা যেন অন্য এক ভূবনের কথা বলে। যারা ফ্লেটে থাকে, তারা সাজায় তাদের ঝুল-বারান্দাটা, একজন আবার বানিয়েছেন মেরু ভল্লুক, মাথায় সান্তার টুপী আনন্দের কেন জানি, এই রকম ঘন করে দেয়া এলোমেলো ঝুল করা সাজানোর ধরনটা বেশি পচ্ছন্দ হয়েছে। বাড়ির সামনের গাছটা জড়িয়ে দিয়েছে কিছু বাতি দিয়ে... ছোট্ট বাসার ..ছোট্ট বারান্দা, তাতেই সাজানো আপন আলোয়... কেওবা বানিয়েছে, যিশুর জন্মলগ্নের সেই গোয়ালঘর, সাথে পরী... সাজিয়েছে নিজের দোতলার জানালাটা ....নিজের মতো করে.... কেওবা কেবল ঝুলিয়ে দিয়েছে, একটা আলোকিত তারা জানালায়... অল্প কয়টা বাতি যেন বদলে দিয়েছে পুরো বাড়িটাকে। এটা একটা বড় এপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের, রাস্তা থেকে দেখতো আনন্দ এই বেশ কদিন হলো, আজ তাই ধরে রাখল ক্যমেরায়।

আনন্দের এই পরশি আবার একটু বেশি খচর করেছেন, সাজিয়েছেন পাম্প করা কাপড়ের পুতুলে বাড়ির আঙ্গিনা। [বি.দ্র. -২৯সি তে আধা ঘন্টা ঘুরে ছবি তোলার শখ মোটে গেছে আনন্দের, সাইনাসের ব্যাথায় গাল আর কপাল মনে হচ্ছে ডীপ ডীপ করতেছে। তবু মনে খুশি কারনটা কি জানেন - জীবনে প্রথম সামু মামা আনন্দকে শূভজন্মদিন বলছে...  ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.