আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পৃথিবীর সবচেয়ে বিলাসবহুল যাত্রী হতে যাচ্ছে বাংলাদেশীরা.।!!!

পৃথিবীর সবচেয়ে বিলাসবহুল যাত্রী হতে যাচ্ছে বাংলাদেশীরা
বলা চলে, একটিমাত্র প্রতিষ্ঠানের দান!

বিশ্বাস হচ্ছে না কথাটা! কথাটা একেবারেই সত্যি। বিলাসবহুল যাত্রীর পাশাপাশি ব্যয়বহুল যাত্রীও হতে যাচ্ছি আমরা। আর এই মহান(!) কাজটি আমাদের জন্য করে দিয়েছেন, বিআরটিসি'র কিছু পকেট ভারি করা কর্মকর্তা, মন্ত্রীর কথা বলবো না, আর কিছু সুবিধাভোগী ব্যবসায়ী।
এবার মূল বিষয়ে আসুন। পহেলা বৈশাখ মানে ১৪ এপ্রিল থেকে ১৮ থেকে ২৬ লাখ টাকা মূল্যের ৪৭টি নতুন গাড়ি রাজধানীতে নামানো হচ্ছে।

এ সব গাড়িতে মতিঝিল-আব্দুল্লাহপুর ২২ কিলোমিটারের ভাড়া হবে প্রায় ১ হাজার টাকা! মিরপুর থেকে মতিঝিল ১৬ কিলোমিটার রাস্তার জন্য ভাড়া গুনতে হবে প্রায় ৭শ’ টাকা!
আরো আছে, শুনুন!
নতুন এসব এসি ট্যাক্সিতে উঠলেই দুই কিলোমিটারের জন্য গুনতে হবে ১০০ টাকা। প্রথম পর্যায়ে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ টাকা! প্রতি মিনিটের জন্য অপেক্ষমাণ বিল ৮ টাকা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভাড়ায় নামছে এসব ট্যাক্সি, যা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের পক্ষে ব্যবহার সম্ভব হবে না। মূলত উচ্চবিত্তের স্বার্থরক্ষায় নামছে নতুন ট্যাক্সিক্যাব।
আর এ বিষয়ে আমাদের মহামান্য যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজধানীবাসীর নববর্ষের উপহার হিসেবে পহেলা বৈশাখ থেকে নতুন ৪৭টি ট্যাক্সিক্যাব নামানো হবে।



বিআরটিএর অনুমোদন নিয়ে এসব ট্যাক্সিক্যাব রাস্তায় নামাচ্ছে দুটি বেসরকারী সংস্থা। এর মধ্যে ২৮টি নামাবে সেনাকল্যাণ সংস্থা এবং ১৯টি তমা কনস্ট্রাকশন।
সেনাকল্যাণ সংস্থা নিয়ে কিছু বলার নেই। কিন্তু আলোচনার বিষয় হচ্ছে তমা কনস্ট্রাকশন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর হঠাৎ গজিয়ে উঠেছে এই প্রতিষ্ঠানটি।

আর সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হচ্ছে, সরকারের দুই আমলে হাতে নেয়া বড় বড় বেশির ভাগ কাজই করছে এই সংস্থাটি। এদের জনবল, সক্ষমতা সর্ম্পকে কোনো প্রোফাইল শতকরা ৯৯ ভাগ মানুষের জানা নেই। কাজের অভিজ্ঞতাও মাত্র কয়েক বছরের। তাহলে কেমনে কী?

আসলে বিষয়টা অন্য কোথাও! তমা কনস্ট্রাকশনের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মির্জা আজম কাকরাইলে তমা কনস্ট্রাকশনের কার্যালয়ে নিয়মিত বসতেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রেলওয়ে ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বেশ কয়েকটি বড় ঠিকাদারি কাজ পায় তমা কনস্ট্রাকশন। রেলের সবচেয়ে বড় প্রকল্প টঙ্গী-ভৈরব বাজার পথে নতুন রেললাইনের কাজ করছে তমা। মৌচাক-মগবাজার-সাতরাস্তা উড়ালসড়কের একটা অংশের কাজও পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সবকিছু ভুলে তমা কনস্ট্রাকশনকে আমরা ধন্যবাদ দিতে পারি, আমাদের পৃথিবীর সবচেয়ে বিলাসবহুল যাত্রী বানাতে যাচ্ছেন তারা, তাই। এর বিনিময়ে কিছু লাভ তো উনাদের দরকার।

সেই আলোচনায় আমাদের যাওয়া ঠিক হবে কি? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.