আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যে মহিলারা সুঘ্রাণ ছড়িয়ে খোলামেলা পুরুষের মজলিশে কিংবা অনুষ্ঠান অথবা তাদের ক্লাব ও অন্য লোকের ঘরে যায়, তাদের অবস্থা কেমন হবে?

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন: “প্রত্যেক চোখ যেনা করে। মেয়েলোক যখন সুগন্ধি মেখে কোন মজলিশের পাশ অতিক্রম করে, সেও যেনাকারিণী”। (আবু দাউদ ও তিরমিযী)

অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন: “কোন মহিলা সুগন্ধি মেখে কোন সম্প্রদায়ের নিকট দিয়ে যদি এজন্য অতিক্রম করে যে তারা তার কাছ থেকে সুঘ্রাণ লাভ করবে তাহলে সে যেনাকারিণী। আর প্রত্যেক চোখ যেনা করে”। (আবু দাউদ)

এর অর্থ হল, সে যেনার প্রতি আহ্বানকারিণী।

এ প্রকার তৎপরতার জন্য সে গুণাহগার হিসেবে সাব্যস্ত হবে। হাদীসে উল্লেখিত ‘চোখ যেনা করে’ এর অর্থ হল, স্ত্রীদের নিষিদ্ধ সতরের দিকে তাকানো গুণাহ। কেননা, হারাম দৃষ্টি যেনার কারণ এবং যৌন কামনা সৃষ্টির উপায়।

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন: “আল্লাহ সে স্ত্রীলোকের নামায কবুল করেন না, যে সুগন্ধি মেখে তার ঘ্রাণ বাতাসে ছড়িয়ে মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হয়, যে পর্যন্ত না সে ঘরে ফিরে আসে ও গোসল করে। ”(আবু দাউদ, মুসনাদে আহমাদ)

এটা হল, সুগন্ধি নিয়ে মসজিদে যাওয়ার পরিণতি।

কিন্তু যে মহিলারা সুঘ্রাণ ছড়িয়ে খোলামেলা পুরুষের মজলিশে কিংবা অনুষ্ঠান অথবা তাদের ক্লাব ও অন্য লোকের ঘরে যায়, তাদের অবস্খা সহজেই অনুমেয়।

মহিলাদের উগ্র চালচলনের ভয়াবহ আখিরাতের পরিণতি সম্পর্কে হযতর আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহ আনহু) বর্ণিত হাদীসটিও এখানে উল্লেখের দাবী রাখে।

প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম). ইরশাদ করেন: “দোযখের দু’প্রকার লোককে আমি (দুনিয়ায়) দেখেনি। এক: যাদের নিকট গরুর লেজের মত লম্বা লাঠি থাকবে এবং এর দ্বারা তারা লোকদেরকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করবে। দুই: এক প্রকার স্ত্রীলোক যারা কাপড় পরেও উলঙ্গ, গুণাহর প্রতি ঝোঁক প্রবণ এবং অন্যদেরকেও গুণাহর প্রতি আকৃষ্টকারিণী, তাদের মাথা খোঁপা হবে অহংকারী উটের কুব্জের মত উঁচু।

তারা না বেহেশতে যাবে আর না বেহেশতের ঘ্রাণ পাবে। অথচ বেহেশতের ঘ্রাণ এত এত দূরের পথ থেকেও পাওয়া যায়। ” (মুসলিম শরীফ)

উপরোক্ত প্রকারের মহিলারা নিজেরা ইসলাম প্রদত্ত শালীন পোশাকাদি ত্যাগ করত নিজেরা গুণাহে লিপ্ত ও অন্যদেরও তার প্রতি আকৃষ্ট করে। তাই তাদের শাস্তি হল, তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না এবং তারা তা থেকে এত দূরে অবস্খান করবে যে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।

তাদের এ বর্বর আচরণের জন্য তাদের প্রতি অভিশাপ বর্ণনা প্রদান করতে গিয়ে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন: “তাদেরকে অভিশম্পাত দাও কেননা তারা অভিশপ্ত (আল্লাহর রহমত পাওয়ার অধিকার বঞ্চিত)।

” (ইবনে হিব্বান, হাকিম)

উপরোক্ত আলোচনা থেকে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে সৌন্দর্য সর্বমহলে প্রিয়। মহান আল্লাহ সৌন্দর্যকে পছন্দ করেন। মানব সমাজে এ পরম আকর্ষণের প্রতি ইসলাম বিধি-নিষেধ আরোপ করে সৌন্দর্য চর্চার একটি মাপকাঠি রচনা করে দেয় যাতে ভারসাম্যপূর্ণভাবে তার চর্চা হয় ও অশ্লীলতার কারণ না হয়ে যায়। তাই প্রতিটি মুসলিম নর-নারীর কর্তব্য হল, সৌন্দর্য চর্চাকে স্বীয় স্বামী ও মহিলা অঙ্গন পর্যন্ত সীমিত রাখা। মুহরিম ব্যক্তিদের পর্যন্ত তা সম্প্রসারিত করা দোষণীয় নয়।

এছাড়া অন্যদের সামনে সাজ-গোজের কোন মূল্য নেই।

সুত্রঃ

সাজসজ্জা ও রুপচর্চার ইসলামী বিধান

ড. মুহাম্মদ ওয়ালি উল্লাহ  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.