আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘গণতন্ত্র নিয়ে খেলা আর নয়’

এদের মধ্যে কেউ কেউ বিগত সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ নিয়ে সংবিধানের ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন এবং অনেকেই দায়িত্ব পেয়েও সরকার পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
তাদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, “এভাবে গণতন্ত্র নিয়ে আর খেলা চলবে না। ”
শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের এক অনুষ্ঠানে কারো নাম উল্লেখ না করে শেখ হাসিনা বলেন, “রোজ কেয়ামত পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকতে পারবে- এই পরামর্শ কে দিয়েছিল? আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন, সংবিধান প্রণয়নকারী অনেক হোমড়া-চোমড়া আইনজীবী। ”
নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রায় দুই বছর সরকার পরিচালনা করে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সংবিধান বিশেষজ্ঞ, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবীরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে কী পরামর্শ দিয়েছিলেন? সংবিধান অনুযায়ী এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্ষমতায় থাকতে পারে, যতোদিন পর্যন্ত না কোনো প্রধানমন্ত্রী আসে।


আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সরকারের ধরন কেমন হবে- তা নিয়ে যে ‘সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা’ আলোচনা করছেন, তাদের ২০০৭ ও ২০০৮ সালের পত্রিকা দেখার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
“সংবিধানের ওই বিশ্লেষণ কে দিয়েছিল- তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। পরামর্শটা কার দেওয়া? কারা ব্যখ্যা দিয়েছিল সংবিধানের?”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে কেবল আওয়ামী লীগই লতিফুর রহমান নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল। অন্যদিকে বিএনপি সরকারের মেয়াদ শেষে তখনকার রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ নিজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন।
“তখনকার প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আজিজ সাহেব ছিলেন তাদের (বিএনপি) তল্পিবাহক।

তাদের কথায় উঠতেন। তাদের কথায় বসতেন। ”
ফরিদপুর আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভায় শেখ হাসিনা হাসতে হাসতে বলেন, “উপদেষ্টা যাদের আমরা বানালাম। বেশ মোটা মোটা, গালভরা বুলিওয়ালা, আমলা থেকে শুরু করে অনেক সুশীল সমাজের নেত্রী, অনেক মানবাধিকার আন্দোলনকারী।
“তাদের উপদেষ্টা বানানো হলো।

রেজাল্ট কী? তারা ব্যর্থ হল। নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়ে তারা পদত্যাগ করল। আরেক সেট উপদেষ্ট হল- তারাও ব্যর্থ হয়ে পদত্যাগ করল। ”
“এরপর আসলো তিন উদ্দিন। ইয়াজউদ্দিন, ফখরুদ্দিন আর মইনুদ্দিন”, বলেন শেখ হাসিনা।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.