আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পারিবারিক সমস্যার স্বরূপ

মমমমমম আমাদের দেশটা বড়ই অদ্ভুত এক জায়গা। এখানে রাজনৈতিক সামাজিক অস্থিরতার জন্য সব কিছুই ক্ষনে ক্ষনে পাল্টে যাচ্ছে। এই অস্থিরতার জন্য আমরা অন্য কোন সামাজিক সমস্যার কথা ভাবতে ভুলে গেছি। ভুলে গেছি প্রতিদিনকার জীবনে ঘটে চলা সমস্যার কথা। আমাদের সমাজের অন্যতম বড় সমস্যা হল পারিবারিক সমস্যা।

বর্তমানে আমাদের দেশে একক পরিবার প্রথা দারুন ভাবে এগিয়ে চলেছে আগের সেই যৌথ পরিবার প্রথা দিন কে দিন অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। আজকালকার মেয়েরা বিয়েরপর ছেলেদের বাড়ীতে তার বাবা-মা ভাই বোনদের সাথে থাকতে চাই না। কেন থাকতে চাই না তারাই জানে? একটা ছেলের পক্ষে এটা খুবই কঠিন তার বাবা-মা কে ছেড়ে নতুন বাসাতে সংসার পাতা। বউ সংসারের কথা চিন্তা করে হয়ত অনেকে মেনে নেই কিন্তু ভিতরে কষ্ট থাকেই। কেন মেয়েরা আজকাল আলাদাথাক্তে চাই তার জবাব কেউ কি দিতে পারবেন? এটা যে শুধু মেয়েদের দোষ ব্যপারাটা এমন না।

অনেক ছেলে আছে যারা বাবা-মা কে দেখেন না এমনকি তারা অনেক আগেই ভেবে রাখে বউ নিয়ে আলাদা থাকতে হবে। এটা কেমন ভাবনা? আজকাল আমাদের সমাজের ছেলেমেয়েরা নাকি আধুনিক হয়েছে, শিক্ষা-দীক্ষায় অনেক উপরে গেছে। তাদের নাকি রুচি বোধ, মুল্যবোধ, মানবিকতা বেড়েছে, দায়িতব্বোধ নিয়ে তারা অনেক সচেতন। আসলে প্রাপ্তির খাতার অনেক বড় অংশই শূন্য। যারা মা-বাবা কে আলাদা রাখতে চান তাদের কথা আলাদা।

আমি এর কারন খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। কারন আমার ও তো বিয়ে করা লাগবে! বিয়ের আগে সব প্রেমিকায় বলে আমি অনেক ভাল বউ হব তোমার মা-বাবা কে আলাদা করে দেখব না, কিন্তু বিয়ের পর সব আলাদা, একবার ভেবে দেখা উচিত কেন এমন হয়। আমি কিছু কারন খুজে পেয়েছি যেগুলো নিয়ে বউ শাশুড়ির মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। বিয়ের পর বউ ভাবে স্বামীর পুরো অধিকার আমার, এতে কেউ ভাগ বসাতে পারবে না, আর ছেলের মা ভাবেন যে নতুন বউ এসে বুঝি ছেলেকে জাদু করে নিল রে। এখানে ছেলের বাবা-মার মনে রাখা উচিত যে মেয়েটা তার বাড়িতে নতুন এবং মেয়েটিকে আলাদা ভাবে না দেখে তাকে নিজের বাড়ির মত মানিয়ে নিতে সাহায্য করা একই সাথে বউদের নিজ নিজ স্বামীদের কে তাদের দায়িত্ব পালনে সাহায্য করা উচিত।

আর এর মাধ্যমে কিছু না হোক অন্তত নতুন বউ ও ছেলের পরিবারের মধ্যে যে বিভেদ থাকে তা কিছুটা হলেও দূর হয়। পারিবারিক কলহে মেয়েদের ভুমিকা সম্যসা ছেলেদের না মেয়েদের এটা একটা বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সমস্যা মেয়েদের থাকে হিসাবটা এমন যে পারিবারিক গোলযোগের ক্ষেত্রে মেয়েরা দায়ী ৭০% আর ছেলেরা দায়ী৩০%। কিছু লোক আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন কেন মেয়েরা বেশি দায়ী? এর কারন আমাদের নিজেদের কাছেই আছে। আপনি, আমি কেন বেশি টাকা আয় করতে চাই, কেন ঘুষ ও অবৈধ পথে যায় ? যায় নিজের স্ত্রীকে খুশি রাখার জন্য।

কেউ বলতে পারবে না যে বাপ মা কে সুখী করার জন্য সুদ,ঘুষ খাই ও দুর্নীতি করে। কারন রাত হলে বউ উল্টা ফিরে শুয়ে থাকবে দামি শাড়ি, কাপড় ও আরো কিছু না হলে। একটা মেয়ে খুব সহজেই একটা ছেলেকে কুপথে চালিত করতে পারে আবার খুব সহজেই ভালো করে দিতে পারে। এটা তাদের একটা গুন বটে। ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে।

এমন অনেক মেয়ে আছে যারা স্বামীর বৈধ আয়ের ডাল-ভাতেই সন্তুষ্ট। মেয়েরা অনেক লোভী হয় বলেই তাকে অনেক স্বার্থপর হতে হয় আর নিজের স্বার্থ বেশি দেখতে গিয়ে পারিবারিক কলহ তৈরি করে। মেয়েদের মন ভরে তো চোখ ভরে না। পাশের বাড়ির ভাবি কি কিনল, অমুকের বউ কি শাড়ী পরেছে, কত দাম? এই সব চিন্তা বাদে আর কোন চিন্তা মেয়েদের মাথায় আছে কিনা বলা মুশকিল। আপনি যত ভাল জিনিস কিনে দেন না কেন সব থেকে আগে দেখবে দামের ট্যাগ।

বিশ্বাস না হয় কোন মেয়েকে কিছু দিয়ে দেখুন। আমার বলতে দ্বিধা নেই আমার পরিচিতা পর্যন্ত দামের ব্যাপারটা নিয়ে খুব ই উদ্বিগ্ন? মেয়েরা খুবই তুলনা প্রিয় আপনি আপনার বোনকে কোন কিছু দিলেন তার দাম অবশ্যই কম হতে হবে আর বউয়ের বোনকে দিলে দাম বেশি হওয়া বাধ্যতামূলক। এর থেকে বেশি সহজে বলা যায় না। মেয়েরা যদি দায়িতব-কর্তব্য নিয়ে তুলনা করত তাহলে কতই না ভালো হত। আর আজকালকার মেয়েরা যারা চাকরি করে না তারা তো বাড়িতে বসে সারাদিন রাত স্টার জলসা ও নানা সিরিয়াল নিয়ে ব্যস্ত।

এসব সিরিয়ালের কাহিনির মুল হল পারিবারিক কলহ । এখানে মাসী থাকে বেশির ভাগ সময় ভাল ও পিসিরা থাকে খারাপ ছেলের বোন খারাপ আরো কত কি? এই সব দেখে দেখে বউ দের মাথা নষ্ট। তারা এসব দেখে আর চিন্তা করে আমার ঘরেও তো এই সব ঘটে তাহলে এ খারাপ ও খারাপ। আসলে কখনো বুঝতে চাই না যে এগুলো নাটক বাস্তব আলাদা। আর কিছু বললেই বলবে নাটক তো বাস্তব থেকেই আসছে।

আপনি আমি কিছু বললেই বলবে তুমি আমাকে ভালবাস না ইত্যাদি। পারিবারিক কলহে ছেলেদের ভুমিকাঃ পারিবারিক কলহে যে কেবল মেয়েরা দায়ী তা নয় ছেলেরাও দায়ী। ছেলেদের দুর্বল আচারন ও অবস্থান পারিবারিক জামেলার অন্যতম কারন। ছেলেরা যদি মেয়েদের বোঝাতে ব্যার্থ হয় তার দায়দায়িত্ব বোঝাতে তাহলে সংসার এ ঝামেলা হবেই। ছেলেরা কোনকিছু বাছবিচার না করেই হুংকার দেই আর এর ফলে কলহ আরো বেশি হয়।

যেমন ছেলের মা ছেলের কাছে বউয়ের নামে দুর্নাম দিল আর ছেলে ঘরে গিয়ে বউ পেটাল বা বউ ছেলের কাছে তার মা সম্পর্কে কথা বলল আর ছেলে গিয়ে মাকে অপমান করল এটা সিনেমার ঘটনা না বাস্তবে হাজার হাজার পরিবারে নিরবে ঘটে চলেছে। ছেলেরা যদি কৌশলী না হয় তাহলে তাদের সংসারে গোলমাল নিশ্চিত কিছু বিড়ালের মত পুরুষ আছে যারা নিজেদের অবস্থানকে ধ্রে রাখতে পারে না। তাকে সবার প্রতি দায়িত্ব পালন করতে হবে। কারো প্রতি বেশি কারো প্রতি কম করলে ঝামেলা হবেই। অনেক ছেলে আছে যে নিজের বাড়ি থেকে শশুর বাড়ি বেশি ভালবাসে এতে স্বাভাবিক ভাবে গোলমাল একটা হবেই।

মা-বাবা সব সময় মা-বাবা এদের একবার হারালে আর কোনদিন পাওয়া যাবে না কিছু উল্লুক এটা বোঝে না তাই তো সমস্যার সূচনা হয়। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.