আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ট্রাইবুনালের ফাঁস হওয়া স্কাইপিবার্তা নিয়ে ৩টি কথা

আমি ভালবাসি আমার আল্লাহকে, প্রিয় রাসুল এবং আমার দেশকে। খোলামেলা কথা পছন্দ করি। অল্পতে কষ্ট পেয়ে বসি, আবার অল্পতেই ভুলে যাই সব দুখঃ। তবে কারো উপকার-অবদান ভুলতে পারিনা জীবনভর। পছন্দ করি উদার, স্বচ্ছ ও খোলামনের মানুষকে, ঘৃণা করি গোঁড়া ও অহংকারীকে।

ভূমিকা:- গণতন্ত্রের মুখরোচক ইজম আমাদের ভাতৃত্বপ্রিয় দেশটিকে বিএনপি ও আওয়ামীলীগের দু'টি মেরুতে ভাগ করে দিয়েছে। বহুদিন ধরে বিভক্ত করে রেখেছে দেশের মানুষকে। স্বাধীনতার ৪০ বছর পর স্বাধীনতার পক্ষ বিপক্ষ ও রাজনৈতিক স্ট্রাটেজির ভয়ঙ্কর খেলার অংশ হিসেবে যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে জাতিকে নতুন আরো দু'টি মেরুতে বিভক্ত করে দিয়েছে কিছু লোক। এর ফলে গৃহযুদ্ধ না হলেও দেশে যে, দীর্ঘস্থায়ী অঘোষিত স্নায়ুযুদ্ধ চলবে সেকথা অনেকটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। গত কয়েক বছরে মন্ত্রী মহোদয় গণ নিজেদের বক্তৃতায় যতোবার যুদ্ধাপরাধ নিয়ে কথা বলেছেন, তত বার দেশের অন্য কোন উন্নয়ন ইস্যুতেও কথা বলেন নি।

একটি দেশের পিছিয়ে পড়ার জন্য আর কি প্রয়োজন? রাজনৈতিক এই খেলাকে কোন ভাবেই আমি সাময়ীক মনে করি না। নতুন কোন পলেটিক্যল স্ট্রাটেজি পাওয়ার আগ পর্যন্ত এটা চলবে। ইতোমধ্যে অনেক দায়ত্বশীলকে বলতে শোনা গেছে যে, দেশের গ্রামে গ্রামে ট্রাইবুনাল করে সব দালালদের বিচার করা হবে। এমনকি প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই বিচার চলবে!!! ফল: জাতীয় ঐক্য নয়,বরং বিএনপি আওয়ামীলীগের দু'টি মেরুর পর নতুন করে আরো দু'টি মেরুতে ভাগ হয়ে থাকবে এদেশের জনগন। ফলাফল ভোগ করবে রানৈতিক জুয়াড়ীরা।

মুল কথা:- {১} বিচারপতির কথোপকথনগুলো বেআইনি হলে বা তাতে অন্যয্য কিছু থাকলে আসামীর অধিকার, কিংবা বিচারের স্বচ্ছতা রক্ষায় মিডিয়ার ভুমিকা অপরিহার্য ছিল। আর এর বিপরীত হলে দৈনিক আমার দেশের বিরোদ্ধে রিপোর্ট করাও তাদের নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কিন্তু অজানা কারণে মিডিয়া সম্পুর্ণ নিরব। যেদেশে স্বঘোষিত ঘাতকের বিচারে অধিকার রক্ষা হলো কিনা, সেটা নিয়ে মিডিয়ার হৈচৈ য়ের অন্ত থাকে না, সেদেশে এতোবড় হাইপ্রোফাইল বিষয়টি নিয়ে তাদের নিরবতা হয়তো ভয়ের কারণে নয়তো পক্ষপাতিতেত্বের কারণে। এটাই কি সত্য প্রকাশে নির্ভিক হওয়া? সাংবাদিক তো সংবাদই প্রচার করবে, সেটা কার পক্ষে গেল না গেল বিবেচ্য হওয়ার কথা নয়।

এই বিচারের ব্যপারে অতিরিক্ত উৎসাহী সুশীরা তো এসব বিষয়েই সবচে বেশি মাথা ঘামিয়ে থাকে, তাদের মুখেও কুলুপ কেন? {২} কেউ কেউ মুখ খুলে বলেছেন, বিচারপতি কারো সাথে পরামর্শ করতেই পারেন। এতে আশ্চর্যের কিছু নেই। আমি আইনের কিছুই বুঝিনা। তবুও অন্যন্য মামলার নজীর থেকে যেটুকু বুঝি, বিচারাধীন বিষয়ে তিনি কোর্টের বাইরে কারো সাথে ব্যক্তিগতভাবে কোন কথাই বলতে পারেন না। এমনকি কিছুদিন আগে ইকনোমিস্টের সাক্ষাতকারে উঠে এসেছে যে, বিচারকা স্বীয় স্ত্রীর সাথেও কোন কিছু শেয়ার করতে পারেন না।

পরামর্শ নেওয়ার আইনি নিয়ম হলো, প্রকাশ্যে এ্যমিকাশ কিউরি নিয়োগ দিয়ে ওপেন কোর্টে তাদের মতামত নেওয়া। {৩} ভেতরের কথা নিয়ে আজ কিছু না লিখে পুরো আলাপচারিতা প্রকাশের অপেক্ষা করতে চাই। শুধু একটি কথা বলতে চাই। বিচার নিজের গতিতে চলার কথা এদেশে যাদের মুখ থেকে শুনতে শুনতে কান ঝালাফালা, তারাই আজ বলছে, সরকার রায় ঘোষণার জন্য বিচারককে পিড়াপিড়ি করতেই পারে, আমরা সবাই তো বিচারের দ্রুততা চাই। আমার কথা হলো, চাওয়া এক জিনিস, আর বিচারককে চাপ দেওয়া আরেক জিসিন।

একজন মন্ত্রী বিচারাধীন বিষয়ে বিচারপতির বাসায় যাওয়া মানেই চাপ সৃষ্টি। যার কারণে বিচারপতির মুখে ''পাগল হইয়া গেছে সরকার'' কথাটি উঠে এসেছে। বিশ্বের কোন আইনে Executive Boady কখনো Judiciary কে বিচারিক কোন বিষয়ে কিছুই বলতে পারে না। সেখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী লোকচক্ষুর আড়ালে তার বাসায় গিয়ে রায়ের তাগিদ দেওয়া কি প্রভাবিত করা নয়? {১} বিচারপতির কথোপকথনগুলো বেআইনি হলে বা তাতে অন্যয্য কিছু থাকলে আসামীর অধিকার, কিংবা বিচারের স্বচ্ছতা রক্ষায় মিডিয়ার ভুমিকা অপরিহার্য ছিল। আর এর বিপরীত হলে দৈনিক আমার দেশের বিরোদ্ধে রিপোর্ট করাও তাদের নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

কিন্তু অজানা কারণে মিডিয়া সম্পুর্ণ নিরব। যেদেশে স্বঘোষিত ঘাতকের বিচারে অধিকার রক্ষা হলো কিনা, সেটা নিয়ে মিডিয়ার হৈচৈ য়ের অন্ত থাকে না, সেদেশে এতোবড় হাইপ্রোফাইল বিষয়টি নিয়ে তাদের নিরবতা হয়তো ভয়ের কারণে নয়তো পক্ষপাতিতেত্বের কারণে। এটাই কি সত্য প্রকাশে নির্ভিক হওয়া? সাংবাদিক তো সংবাদই প্রচার করবে, সেটা কার পক্ষে গেল না গেল বিবেচ্য হওয়ার কথা নয়। এই বিচারের ব্যপারে অতিরিক্ত উৎসাহী সুশীরা তো এসব বিষয়েই সবচে বেশি মাথা ঘামিয়ে থাকে, তাদের মুখেও কুলুপ কেন? {২} কেউ কেউ মুখ খুলে বলেছেন, বিচারপতি কারো সাথে পরামর্শ করতেই পারেন। এতে আশ্চর্যের কিছু নেই।

আমি আইনের কিছুই বুঝিনা। তবুও অন্যন্য মামলার নজীর থেকে যেটুকু বুঝি, বিচারাধীন বিষয়ে তিনি কোর্টের বাইরে কারো সাথে ব্যক্তিগতভাবে কোন কথাই বলতে পারেন না। এমনকি কিছুদিন আগে ইকনোমিস্টের সাক্ষাতকারে উঠে এসেছে যে, বিচারকা স্বীয় স্ত্রীর সাথেও কোন কিছু শেয়ার করতে পারেন না। পরামর্শ নেওয়ার আইনি নিয়ম হলো, প্রকাশ্যে এ্যমিকাশ কিউরি নিয়োগ দিয়ে ওপেন কোর্টে তাদের মতামত নেওয়া। {৩} ভেতরের কথা নিয়ে আজ কিছু না লিখে পুরো আলাপচারিতা প্রকাশের অপেক্ষা করতে চাই।

শুধু একটি কথা বলতে চাই। বিচার নিজের গতিতে চলার কথা এদেশে যাদের মুখ থেকে শুনতে শুনতে কান ঝালাফালা, তারাই আজ বলছে, সরকার রায় ঘোষণার জন্য বিচারককে পিড়াপিড়ি করতেই পারে, আমরা সবাই তো বিচারের দ্রুততা চাই। আমার কথা হলো, চাওয়া এক জিনিস, আর বিচারককে চাপ দেওয়া আরেক জিসিন। একজন মন্ত্রী বিচারাধীন বিষয়ে বিচারপতির বাসায় যাওয়া মানেই চাপ সৃষ্টি। যার কারণে বিচারপতির মুখে ''পাগল হইয়া গেছে সরকার'' কথাটি উঠে এসেছে।

বিশ্বের কোন আইনে Executive Boady কখনো Judiciary কে বিচারিক কোন বিষয়ে কিছুই বলতে পারে না। সেখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী লোকচক্ষুর আড়ালে তার বাসায় গিয়ে রায়ের তাগিদ দেওয়া কি প্রভাবিত করা নয়? ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.