আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছাগু ধরা শুরু হইছে। কাঠাল পাতা সরবরাহকারীরা অতি সত্তর যোগাযোগ করুন....... জামায়াত-শিবিরের ২০ জন কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর সড়কে জামায়াতে ইসলামীর ডাকা আজকের সমাবেশকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তাবলয় গড়ে তুলেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত পল্টন এলাকা থেকে জামায়াত-শিবিরের ২০ জন কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের পল্টন থানায় নেওয়া হয়েছে। বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকে পুলিশের মতিঝিল অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের বলেন, অনুমতি না নেওয়ায় এ এলাকায় জামায়াতের সমাবেশ ছিল বেআইনি। এখন পর্যন্ত তা ঠেকানো হয়েছে।

আটক ২০ জনের কাছ থেকে হরতালের সমর্থনে প্রচারপত্র, ব্যানার পাওয়া গেছে। তাঁরা আজকের সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তাঁদের মুঠোফোনের বার্তায় সমাবেশ করার জন্য বিভিন্ন দিক নির্দেশনা পাওয়া গেছে। আগামীকাল মঙ্গলবারের হরতাল প্রসঙ্গে মেহেদী হাসান বলেন, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব পুলিশের। তা করতে সর্বোচ্চ আইন প্রয়োগ করবে পুলিশ।

জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরের সহকারী সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম দুপুরে প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চাই। বাধা দিলে হরতালের মতো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। ’ গতকাল রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর জানিয়েছেন, অনুমতি না নেওয়ায় আজ সোমবার ঢাকাসহ দেশের কোথাও জামায়াতে ইসলামীকে বেআইনি সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। জামায়াতের ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশকে সামনে রেখে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর সড়ক ও আশপাশের এলাকাগুলোতে পুলিশ ও র্যাবের সশস্ত্র সদস্যরা পাহারা দিচ্ছেন। ওই এলাকায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে পুলিশের সাঁজোয়া যান।

জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরের সহকারী সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। জামায়াতে ইসলামী একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। সভা-সমাবেশ করা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। এই অধিকার প্রয়োগ করতে দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু সরকারই এতে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।

’ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে করা সব ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহার, সরকারের ‘দুঃশাসন ও সীমাহীন দুর্নীতির’ প্রতিবাদে আজ বিকেল তিনটায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর সড়কে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াত। গতকাল এক বিবৃতিতে জামায়াতের ঢাকা মহানগর কমিটির আমির রফিকুল ইসলাম খান দাবি করেন, সমাবেশ ও এতে মাইক ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে গত ২৯ নভেম্বর পুলিশ কমিশনারের কাছে আবেদন করেছেন তাঁরা। সমাবেশ করতে না দেওয়ার কারণ হিসেবে গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রচলিত আইনে রাজধানী ঢাকায় সভা-সমাবেশ করতে হলে যেকোনো দলকেই ডিএমপির (ঢাকা মহানগর পুলিশ) অনুমতি নিতে হবে। আমার জানামতে, এখন পর্যন্ত জামায়াত পুলিশ কমিশনারের অনুমতি নেয়নি বা অনুমতির জন্য কোনো আবেদন করেনি। তাই বিনা অনুমতিতে ঢাকা বা দেশের কোনো অঞ্চলে আমরা কোনো বেআইনি সমাবেশ করতে দেব না।

’ ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার মো. মাসুদুর রহমান গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘জামায়াত সমাবেশ করার জন্য আবেদন করেছে। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। ’ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.