আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি শ্রীমতি লিপি রাজবংশী,দেশের বিবেকবান সব মানুষের কাছে আপনাদের মাধ্যমে সাহায্যের আবেদন করছি

ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার হুলুদ সাংবাদিক লাল মিয়া ওরফে শামিম খানের অব্যাহত নির্মম অত্যাচারের হাত থেকে গরিব সংখ্যালঘু একটি হিন্দু জেলে পরিবারকে দয়া করে বাঁচান!!! আমাদেরকে আমাদেরও প্রিয় জন্ভূমি বাংলাদেশ থেকে জোর করে বিতাড়িত করে সপরিবারে প্রতিবেশি ভারতে পাঠিয়ে আমাদের সব জমিজমা দখলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে!!! লাল মিয়া এবং তাঁর সন্ত্রাসী লাল বাহিনী আমাদেরকে সপরিবারে হত্যা এবং গুম করার হুমকিও দিচ্ছে!!! তাঁর অশুভ ক্ষমতা এবং কোটি কোটি কালো টাকার কাছে এলাকার সবাই জিম্মি!!! কারন সে হুলুদ সাংবাদিক। আমি শ্রীমতি লিপি রাজবংশী,পিতা শ্রী নিমাই রাজবংশী,গ্রামঃ কাওয়ালীপাড়া,উপজেলাঃ ধামরাই,জেলাঃ ঢাকা,ধামরাই সরকারী কলেজ থেকে এ বছর এইসএসসি পরীক্ষা দিবো। কিন্তু আমি আজ গভীর হতাশা নিয়ে আবেদন করতে বাধ্য হচ্ছি। আমাদের জেলে পরিবারের পেশা হচ্ছে মাছ ধরা। আমার দুই ভাই এবং চার বোন।

আমার পরিবার বংশগত পেশা মাছ ধরেই এবং কিছু জমি চাষ করেই মোটামোটি সুখেই চলছিল। কিন্তু আমাদের বাড়ির পাশেই অনেকটা মরে যাওয়া গাজী খালী নদীর ধারে মাত্র বিশ শতাংশ জমি আমার পরিবার বছরের পর বছর ধরে ভোগদখলে করে চাষাবাদ করে আসছিলো। রামরাবন মৌজায় আমাদের ২০ শতাংশ ভূমি মালিকানা হিসাবে বংশ পরমপরায় এই জমি আমরা ভোগ দখল করে আসছি। সি.এস রেকর্ড অনুযায়ি উক্ত জমির মালিক জল চন্দ্র মাঝি। এস.এ রেকর্ডের সময় একটি প্রতারক চক্র এই জমি স্থানীয় শ্রী ক্ষিতীশ রাজবংশী এবং স্বর্গীয় শ্রী যোগেশ রাজবংশী নামে রেকর্ডভুক্ত করে নেন।

পরবর্তীতে আর.এস রেকর্ডের সময় এই জমি নদী শিস্তি হিসেবে রেকর্ড হয়। বার বার রেকর্ড পরিবর্তন হলেও রেকর্ডভুক্ত হওয়ার যৌক্তিক কোন কারণ না থাকায় ভুল রেকর্ডভুক্ত ইতিপূর্বে এই জমি দখলের চেষ্টা করেননি। তাই অনেকটা আধারে থেকেই আমরা জমিটুকু ভোগ দখল করে আসছিলাম। রেকর্ড সংক্রান্ত জটিলতা প্রকাশ পেলে আমরা রেকর্ড সংশোধনের জন্য বছর দু’য়েক আগে ঢাকার সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করি যা এখনও বিচারাধীন রয়েছে। মামলাটি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় স্থানীয় স্বীকৃত সন্ত্রাসী, প্রতারক, ভূমি দস্যু ইব্রাহিম খলিল, পিতা-নাজিম উদ্দিন, গ্রাম-কাওয়ালীপাড়া, উপজেলা-ধামরাই, জেলা-ঢাকা এই জমির মালিক দাবী করে আমাদেরকে জমির দখল ছেড়ে দিতে হুমকি প্রদান করে।

আমরা অপরাগতা প্রকাশ করিলে ইব্রাহিম খলিলের প্রদান পৃষ্ঠপোষক সাংবাদিক নামধারি ভূমি দস্যু মোঃ শামীম ওরফে লাল মিয়া পিতা-জহির, সাং- খড়িদারপাড়া (কামারপাড়া), থানা-ধামরাই, জেলা-ঢাকা সহ তার পেটুয়া লাল বাহিনীর সদস্য মোঃ লাবু মিয়া, পিতা-মৃত হাকী বেপারী, সাং কাওয়ালীপাড়া, থানা-ধামরাই, জেলা-ঢাকা সহ এলাকার চিহ্নিত খুনী সন্ত্রাসীরা আমাদের পরিবারকে নানা হুমকি প্রদান করছে। আমাদের প্রতিবেশী স্বর্গীয় শ্রী ক্ষিতীশ রাজবংশী এবং স্বর্গীয় শ্রী যোগেশ রাজবংশী দুই জনেই প্রায় দেড় যোগের পূর্বে মারা গিয়েছেন। তাঁরা দুই ভাই মারা যাওয়ার পরে এলাকার কিছু ভুমি জালিয়াত চক্রের কুনজর পরে আমাদের সেই জমিটির উপর। এই চক্রের মুলহোতা হচ্ছে লাল মিয়া ওরফে শামিম খান। পুরাতন রেডিও মেরামতের দোকানদার থেকে বর্তমানে সে অতি ক্ষমতাধর হুলুদ সাংবাদিক।

প্রথমে সে শ্রী ক্ষিতীশ রাজবংশীর ছেলে জগদীশ রাজবংশী ও প্রল্লাদ রাজবংশী এবং শ্রী যোগেশ রাজবংশীর ছেলে তিন্নাথ রাজবংশী ও বিশ্বনাথ রাজবংশীকে ফুসলিয়ে আমাদের সেই জমিতে তাঁদের মালিকানা দাবি করাতে শুরু করেন । এ ব্যাপারে মীমাংসার জন্য এলাকার হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রাদায়ের গণ্যমান্য লোকজন এমনকি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগনও একাদিকবার সালিসে বসেন। এই সব ঘটনার পিছনে মুল ভূমিকায় থাকা উক্ত লাল মিয়া বায়না সূত্রে জমিটি নিজের বলে হঠাৎ দাবি করেন যদিও সে কোন প্রমাণ দেখাতে পারেনি। সে এলাকার এবং ধামরাই থেকে সন্ত্রাসী ভাড়া করে পুলিশের উপস্থিতিতে উক্ত জমিতে ঘর নির্মাণ করে এবং আমাদের বাড়িতেও হামলা করে। তাঁর অশুভ প্রভাবের কারনে এলাকার নিরপেক্ষ লোকজনের সমাধানের সকল প্রচেষ্টাই বিফলে যায়।

শুধু দখল করেই ক্ষান্ত হয়নি,এই সন্ত্রাসী লাল মিয়া নিজে এবং অন্য লোকজনের দিয়ে আমার বাবা নিমাই চন্দ্র রাজবংশী, চাঁচা শচিন চন্দ্র রাজবংশী, আমার মা সানা রানী রাজবংশী, আমার বিধবা দুই বোন- রংমালা রানী রাজবংশী ও ফুলমালা রানী রাজবংশী এবং গর্ভে নয় মাসে সন্তান থাকা শিল্পী রাজবংশীর বিরুদ্ধে একটার পর একটা মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। সর্বশেষ আমার মায়ের উপর হামলা করে উল্টো আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধেই নিজে আড়ালে থেকে এক হিন্দু নারীকে দিয়ে একটি মিথ্যে সাজানো নারী নির্যাতনের মামলা করিয়েছে এবং সেই মামলায়ও আমাকে এবং আমার বাবা নিমাই চন্দ্র রাজবংশী,আমার মা সানা রানী রাজবংশী,আমার বিধবা বোন ফুলমালা রানী রাজবংশী এবং আমার কাকি সন্ধ্যা রানী রাজবংশীকেও আসামি করা হয়েছে। আমরা সবাই পুলিশের হয়রানীর ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। শুধু তাই না সে আমাদের বিরুদ্ধে বেনামে ছিনতাই মামলাও করাচ্ছে। সেই সব মিথ্যা মামলার দুইটিতে ধামরাই থানার পুলিশ মিথ্যা অভিযোগপত্র দিয়েছে।

নারীদেরও রাতের আধারে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কলেজগামী আমার দুই বোন লিপি এবং শিল্পী রাজবংশীকে কলেজে আসা-যাওয়ার পথে সন্ত্রাসী লাল বাহিনীর অন্যতম সহযোগী ইব্রাহিম খলিল ও আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য এবং এলাকার সর্বজন বিদিত লম্পট, নারী ধর্ষনকারী মোঃ লাবু ও তাদের সহযোগী সন্ত্রাসীরা প্রায়ই উত্যক্ত করে চলেছে প্রতিনিয়ত এবং অপহরনেরও হুমকি প্রদান করছে। এখানেই শেষ নয়, উক্ত সন্ত্রাসী লাল বাহিনী গত ০৮/০৫/২০১২ইং তারিখে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র, লাঠি-সোটা এবং আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে উক্ত জায়গা জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা চালায়। আমরা যাতে এই সন্ত্রাসী লাল বাহিনীকে বাধা না দিতে পারি সেজন্য উক্ত সন্ত্রাসী চক্র আমাদের বসত বাড়ির সামনে সশস্ত্র পাহারা বসায়। এরপর থেকে আমরা আরও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

উক্ত জমি দখল করতে ব্যর্থ হয়ে সাংবাদিক নামধারী সন্ত্রাসী মোঃ শামীম ওরফে লাল মিয়া আমার পিতা নিমাই রাজবংশী ও আমার কাকা শচীন্দ্র রাজবংশীর বিরুদ্ধে গত ০৩/০৫/২০১২ তারিখে ধামরাই থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। মামলা দায়ের করার পর থেকেই কোন ধরনের প্রাথমিক তদন্ত ছাড়াই পুলিশ দিন রাত আসামী ধরার জন্য ব্যাপক তৎপরতা চালিয়েছিল। তাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে আমার পিতা ও আমার কাকা গত ১০/০৫/২০১২ইং তারিখে আদালতে আত্মসমার্পণ করলে আদালত তাদেরকে জামিন মঞ্জুর করেন। উক্ত মামলায় জামিন পাওয়ার পরেও প্রতিনিয়ত সাদা পোষাকে পুলিশ পরিচয়ধারী দুই-তিন জন লোক যাদেরকে আমরা দেখিলে চিনতে পারিব আমাদের বসতবাড়ী সহ আশেপাশের বাড়িতে হানা দিচ্ছে। এমনকি তারা পাশ্ববর্তি মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার মোকদমপাড়া গুচ্ছ গ্রামে গিয়েও আমাদের খোঁজাখোজি করে।

উক্ত সাংবাদিক নামধারী সন্ত্রাসী মোঃ শামীম ওরফে লাল মিয়া এলাকার শতশত নিরিহ লোকদেরকেও এভাবে অতীতেও অনেক হয়রানী করেছে এবং বিভিন্ন নিরিহ মানুষকে ব্ল্যাকমেল করে চাঁদা আদায় করেছে। এসব অপকর্ম করে উক্ত সাংবাদিক নামধারী সন্ত্রাসী মোঃ শামীম ওরফে লাল মিয়া রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। অথচ অল্প কিছুদিন আগেও সাংবাদিক নামধারী উক্ত সন্ত্রাসী মোঃ শামীম ওরফে লাল মিয়া কাওয়ালীপাড়া বাজারে ছোট একটি দোকানে রেডিও মেকানিক হিসাবে কাজ করত। বিষয়টি সুষ্ঠ ও নিরপে তদন্ত করলে তার আয়ের সাথে সম্পূর্ণ সংগতিবিহীন প্রচুর অর্থ সম্পদের প্রমাণ পাওয়া যাবে। এক পর্যায়ে আমাদের এলাকার মুসলিম সম্প্রাদয়ের কিছু প্রতিবাদী তরুন আমাদের পাশে এসে দাঁড়ান,সাহয্যের হাত বাড়িয়ে দেন।

গত ২৫ মে,২০১২,শনিবার বিকালে তাঁরা ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার কাওয়ালীপাড়া বাজারে আয়োজন করে এক সম্প্রীতি সমাবেশ। সেখানে উভয় ধর্মের প্রতিবাদী অনেক নারী-পুরুষেরা সাংবাদিক নামধারী ভূমি দস্যু লাল মিয়া ওরফে শামীমের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তরমুলক শাস্তি দাবী করে মানববন্ধন ও মিছিল সমাবেশ করেছিল। সমাবেশে বক্তারা সন্ত্রাসী লাল বাহিনী প্রধান লাল মিয়া ও তাঁর সন্ত্রাসী চক্রকে অবিলম্বে গ্রেফতার না করলে প্রতিবাদ হিসাবে ধামরাই থানা ঘেরাওয়ের হুমকি দিতেও বাধ্য হয়েছিলেন। “হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই, মিলে মিশে থাকতে চাই” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সদ্যগঠিত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষা আন্দোলনের আহবায়ক এবং গনমাধ্যম কর্মী হাবিবুল্লাহ্ মিজানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন পরবর্তী প্রতিবাদ সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রেখেছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি, নেদারল্যান্ড ভিত্তিক ‘গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস্ ডিফেন্সের’ (জিএইচআরডি) বাংলাদেশ প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ মাইনরটি ওয়াচের প্রেসিডেন্ট এডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষ, কাওয়ালীপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ উপ-পরিদর্শক নাছির উদ্দিন, লাল বাহিনীর হাতে নির্যাতন ও হয়রানী স্বীকার কাওয়ালীপাড়া নিমাই চন্দ্র রাজবংশীর পুত্র স্বপন রাজবংশী । এলাকাবাসী এবং ধামরাই ডিগ্রী কলেজের ছাত্র এরশাদ আলী সমাবেশ পরিচালনা করেন কোন ধরনের প্রচারনা ছাড়াই তাৎক্ষণিকভাবে অনুষ্ঠীত ঐ প্রতিবাদ সমাবেশে পাশ্ববর্তী গ্রামগুলো থেকে লাল মিয়ার হাতে নির্যাতিত বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণীর প্রায় অনেক লোক সমাবেশে অংশ গ্রহন করেন।

লাল বাহিনী দ্বারা অসংখ্য মানুষ বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মহিলারাদের অংশগ্রহন ছিল চোখে পড়ার মতো। এডভোকেট রবিন্দ্র ঘোষ ঘটনাস্থল ও বিভিন্ন প্রত্যদর্শী স্ব্যা গ্রহন করে মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে বলেন, “আমরা এখানে এসে জানতে পেরেছি যে, সাংবাদিক নামধারী একজন লোক হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি দখল করার মানসে বিভিন্ন জাল দলিল এবং পুলিশের সামনেই ধরে এনে জোরপূর্বক স্বার নেয় ভূমিদস্যু শামীম ও তার সহযোগীরা। স্বাক্ষর না দিলে তাদের হুমকি দিয়ে বলে অনেক সমস্যা হবে। ” বিখ্যাত ঐ মানবাধিকার নেতা বলেন, এটা একটি ফৌজদারী অপরাধ এবং এর জন্য শাস্তি পেতেই হবে। শামীমের বন্ধু পরিচয়ে বেশ কিছু ব্যক্তি তাকে টেলিফোনে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এস.আই নাসির উদ্দিন তাঁর বক্তব্যে সম্প্রতি সংখ্যালঘু জেলে পরিবারের উপর নিপীড়নের ঘটনা স্বীকার করলেও তিনি দাবী করেন যে, ঘটনার সময় তিনি ঢাকায় ছিলেন। হিন্দু-মুসলিমদের মাঝে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার উপর গুরুত্বরোপ করে তিনি বলেন, “এখানে হিন্দু-মুসলিমরা একই সুতোয় ও একই মালায় গাঁথা এবং সেটা অব্যাহত রাখতে হবে। ” নিজেকে অত্যাচারিত নিমাই রাজবংশীর ছেলে পরিচয় দিয়ে স্বপন রাজবংশী প্রথমেই বলেন, “হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই, মিলে মিশে থাকতে চাই। এরপর তিনি সাংবাদিক নামধারী ভূমিদস্যু শামীম ওরফে লাল মিয়ার লাল বাহিনীর হাতে তাঁদের পরিবার কিভাবে হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন সেটা বর্ণনা করে আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, মিথ্যা মামলায় জামিনের পরেও আমাদের পরিবার দিনের পর দিন বাড়ির বাইরে পালিয়ে থাকতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন মারফত শুনতে পেরেছি আমাদের বিরুদ্ধে নাকি চার-পাঁচটি জেলায় বিভিন্ন থানায় মামলা করে রেখেছে।

শুধু পুলিশের পোশাকেই না, গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়েও আমাদের বাড়িতে এসে শুধুমাত্র পুরুষদেরকেই নয়, তারা মহিলাদেরও আক্রমন করেন। পার্শ্ববর্তী মানিকগঞ্জ জেলায় বিভিন্ন মুসলিম পরিবারে আশ্রয় থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা আমাদের আশ্রয় দাতাদেরকেও প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। সভাপতির বক্তব্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষা আন্দোলনের আহবায়ক হাবিবুল্লাহ মিজান বলেন, “আজকে এখান থেকে যে সামাজিক আন্দোলন শুরু হয়েছে, সাংবাদিক নামধারী সন্ত্রাসী শামীম ওরফে লাল মিয়া ও তাঁর লাল বাহিনীর সবাইকে অবিলম্বে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত আন্দোল চলবেই। নির্যাতিত এলাকাবাসীদের নিয়ে ধামরাই থানা ঘেরাও করে শামীমকে গ্রেফতার করতে প্রশাসনকে বাধ্য করব”। তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে লাল বাহিনীর হাতে নির্যাতিত অসহায় নিমাই রাজবংশীর পরিবারকে নিয়ে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে সব ঘটনা জানাব।

তিনি এলাকায় এলাকার সবাইকে সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষা আন্দোলনে দলমত, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষ সবাইকে এক সাথে কাজ করার আহবান জানান। মানব বন্ধন ও সমাবেশ শেষে প্রায় শ’দুয়েক এলাকাবাসীরা সন্ত্রাসী লাল বাহিনীর প্রধান শামিম ওরফে লাল মিয়া ও তার সব সহযোগীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবী করে লেখা বিভিন্ন ধরনের প্লে-কার্ড ফেষ্টুন এবং ব্যানার বহন করেন এবং মিছিল নিয়ে বাজারের প্রধান সড়ক প্রদর্শন করেন। কিন্ত এই সমাবেশের পর এবং এলাকার গণ্যমান্য লোকজনদের সাথে নিয়ে আমাদের মাননীয় সাংসদের বাসায় গিয়ে তাঁকে জানানোর পর থেকে উক্ত লাল মিয়া আরও বেরোয়া হয়ে উঠেছে। জমির মালিকানার বিষয়ে দেওয়ানী মামলায় নিশ্চিত হেরে যাবে জেনে আমাদেরকে আমাদের প্রিয় জন্ভূমি বাংলাদেশ থেকে জোর করে বিতাড়িত করে সপরিবারে প্রতিবেশি ভারতে পাঠিয়ে আমাদের সব জমিজমা দখলে নেওয়ার কথা বলে বেড়াচ্ছে । মাঝে মাঝে হত্যার হুমকিও দিচ্ছে।

সবাই তাঁর অশুভ ক্ষমতার কাছে জিম্মি। এমতাবস্থায় আমরা নিরীহ অসহায় গরীব সংখ্যালঘু পরিবার হিসাবে আপনার কাছে আমাদের জানমাল ও ইজ্জতের নিরাপত্তা প্রদান ও প্রাণ রার আকুল আবেদন করছি। এমতবস্থায় সরকারের এবং বিবেকবান মানুষের সাহায্য আমাদের বেঁচে থাকার জন্য খুব খুব জরুরী । শান্তি প্রিয় দেশবাসীর কাছে, বিশেষ করে মুসলিম ভাই-বোনদের কাছে আমাদের আবেদন এই অসহায় জেলে পরিবারকে হয় মেরে ফেলেন। আমরা আর পারছি না।

আমরা পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াবো,নাকি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে জেলে পচে মরবো,আপনারাই দয়া করে বলুন? দেশের বিবেকবান সব মানুষের কাছে আপনাদের মাধ্যমে সাহায্যের আবেদন করছি। শ্রীমতি লিপি রাজবংশী বিস্তারিত জানতে- ০১৭১৩১৭১৩৮৫ ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.