আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাবাস নিঝুম মজুমদার ,

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা । আজ একটি পত্রিকায় দেখলাম লন্ডন প্রবাসী, ইন্টারন্যশনাল স্ট্রাটেজি ফোরামের কর্মী, অনলাইন এক্টিভিস্ট নিঝুম মজুমদারের একটি লেখা । শিরোনাম “আমরা ৩২ জন আর ৩০ লক্ষ শহীদ” কলামটি প্রকাশ করেছেন – বিডি নিউজ-২৪ । শরীরের প্রতিটি লোমকুপে শিহরন জাগলো, র্গবে ।

হাত-পা কাঁপতে থাকলো ক্রোধে । দেশ স্বাধীন করার পেছনে যে প্রবল আকাঙ্খা আর মুক্তযুদ্ধের প্রতি যে ভালোবাসা নিয়ে সেদিন কোটি কোটি খালি হাত যেভাবে বন্দুকের বিরূদ্ধে র্গজে উঠেছিলো তাকে যদি কেউ সামান্যতমও অনুভব করে থাকেন তবে তার হাত-পা কাঁপতেই থাকবে আমার মতো ক্রোধে । কাঁপা উচিৎ । আর যারা লোক দেখানো “ক্রন্দন” করে থাকেন তাদের অবশ্য এতে কিছুই যাবে আসবেনা । সেকথাও লিখেছেন নিঝুম ।

রাজাকার সাঈদীর মুক্তির দাবীতে লন্ডনে স্বাধীনতা বিরোধীদের যে সমাবেশ হয়েছিলো তারই প্রতিবাদে হাতে গোনা কয়েকজনকে নিয়ে“স্যান্ডি”র মতো তোলপাড় করে ঝাঁপিয়ে পড়া নিঝুম মজুমদার লিখেছেন – “.....আর আমরা ছিলাম শুধু ৩২ জন। আমাদের ছিলো না অর্থের ক্ষমতা, ছিলো না রাজনৈতিক তকমা, ছিলো না বলবার মত কোনো পরিচয়। এরি মধ্যে নানান দেশের লোক জড়ো হয়ে গিয়েছিলো সেখানে। সবাই জানতে চাচ্ছিলেন কী হয়েছে। আস্তে আস্তে সবাই জানলেন কী হয়েছে এবং আজ আমরা কেন এইখানে...” ।

উনি আরো লিখেছেন - “ ....সে কথা মোতাবেক আমরা সেই অনুষ্ঠান স্থলে একে একে দাঁড়িয়ে গেলাম। ফয়সাল ভাই বাংলাদেশের একটা বিশাল পতাকা এনেছিলেন, আরিফ ভাই এনেছিলেন পোস্টার, আমি এনেছিলাম প্ল্যাকার্ড। ব্যাস শুরু হয়ে গেলো আমাদের স্লোগান। আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করে স্লোগান দিচ্ছিলাম, মনে হচ্ছিলো যেন যুদ্ধের ময়দানে আছি। মনে হচ্ছিলো যেন ৩০ লক্ষ স্বজন আমাদের দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসছেন।

আর তাদের সেই হাসির সাথে গড়িয়ে পড়ছে তাদের চোখের অশ্র..” এটুকু পড়তে পড়তে আমার নিজেরই চোখের কোন ভিজে উঠছিলো । আর পাশাপাশি কাঁপছিলো হাত-পা । কারন নিঝুম লিখেছেন – “......আমরা কয়েকজন মিলে ক্রমাগতভাবে লন্ডনের স্থানীয় নেতাদের ফোন দিচ্ছিলাম। প্রথম দফায় তাঁরা ফোন করবার কারন জানতেন না বলে স্বাভাবিকভাবেই ফোন ধরেছিলেন, কিন্তু পরে যখন সাহায্য চাইলাম এই অনুষ্ঠানের কথা বলে তখন তাঁরা এক কথাতেই বলে দিলেন “অবশ্যই আমরা কর্মীদের নিয়ে আসব, কতজন লাগবে বলো?” খুব স্বাভাবিকভাবেই আমরা আন্দোলিত হয়ে উঠি এই কথায়। এরপর আমরা অন্যান্য সংগঠনের নেতাদের ফোন দেই।

কেউ কেউ মুখের উপরেই নানান ধরনের থিওরী আওড়াতে থাকেন। বলেন, সেখানে জামাতের, বি এন পি’র হাজার হাজার সমর্থক যাবে আর আমরা এত শর্ট নোটিশে ওদের মত মানুষ যোগার না করতে পারলে তো বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যাব, কেউ বা আবার বললেন যে, “ধুর, জামাত অনুষ্ঠান করুক। এরা এমন প্রায়ই করে। যাবার দরকার কি ? এভাবে নানা মুনির নানা মতে আমরা শংকিত হতে লাগলাম। একটা পর্যায়ে বুঝলাম যে এই নেতারা মূলত আমাদের কোনো সাহায্যই করবেন না বরং আমাদের এই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে তারা ডিমোরালাইজড করবার পাঁয়তারাই করছেন আদতে।

আর যেই নেতা তার দলবল নিয়ে আসবেন বলে কথা দিয়েছিলেন তিনি অনুষ্ঠানের আগে আমার ফোনটি পর্যন্ত আর ধরেন নি। পাছে না জানি আবার ঝামেলায় পড়তে হয়, এই ভেবে...... যা বুঝবার বুঝে নিয়ে আমরা ক’জন ফেসবুকেই প্রচারণা চালাতে থাকি। উপরের ওই বড় বড় তথাকথিত নেতাদের যে আচরণ পেয়েছিলাম ঠিক তার একই রকম কিছু আচরণ পাই পরিচিত অনেকের কাছ থেকেই। সবারই কাজ, সবারই পরিবার, সবারই পার্টি, সবারই নানান ব্যাস্ততার অজুহাত। নিজেকে মনে হচ্ছিলো চূড়ান্ত রকমের অসহায়....”।

এটুকু পড়েই আমি একাত্ম হয়ে গেছি সেই অসহায় (?) ৩২ জনের সাথে । সেই মুর্হূতে ঐ ৩২ জন হয়ে উঠেছিলেন জগতে আমার পরমাত্মীয় । সাবাস নিঝুম , এগিয়ে যান । এগিয়ে যাক আপনার সর্তীথরা । দেশকে ভালোবাসতে পেরেছেন , একথা জেনে আপনাদের অভিনন্দন ।

র্দীঘজীবি হোন ..... [ প্রিয় পাঠক, যদি সামান্যতম্ ভালোবাসা্ও থাকে দেশের প্রতি তবে এবিষয়ে প্রতিবাদী হোন যার যার অবস্থান থেকে .. নীতিগত ভাবে আমি খবরের কপিপেষ্ট করিনা বা খবরের কথা বলিনি কখোন্ও । দেশ বলে কথা, তাই বিষয়টি সকল নীতি এমোনকি আমার নিজস্ব নীতির ও উর্দ্ধে স্থান পেয়েছে বলে খবরটির উল্লেখ করেছি । ] পাঠকের অনুরোধে লিংক - Click This Link ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.