আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশে হলমার্ক না কে?

বাংলাদেশে বর্তমানে বেশ তোর জোরে শুরু হয়েছে হলমার্ক হলমার্ক রব। কিন্তু বাংলাদেশে কতটা স্থানীয় কোমাম্পানী আছে যে হলমার্ক না সেটা কি কেও বলতে পারবেন? হাতে গোনা কয়েকটা বের হলেও হতে পারে। হলমার্ক এমডির যদি RAB এ ধরে তা হলে বেক্সিমকো পরিচালনা পরিশদকে কারা ধরবে? যেখানে একজন সরকারী (এখন অধিকাংশ বেসরকারী) ব্যাংকের কর্মচারী এলসি বা ঋণপত্র খোলার সময় হাত পেতে থাকে ২০০টাকার জন্য আর ম্যানেজার সর্বচ্চ ৫হাজার টাকার জন্য যখন এমডি কে ফোন করে হায় হ্যালো বলে তেল মারে- স্যার আপনারা মানি মানুষ করে দিলাম আমার দিকটাও দেখবেন- তখন হলমার্ক হতে সমস্যা কোথায়? মিডিয়ার কথা তো!!! তারা আজিব চিজ, হয়তো ব্যাংকে গেছিল ১০লিটার তেলের সিলিপ বা ঘরের বাজার করার টাকা আনতে বিদেয় করেছিল খালি হাতে ওমনি উঠে পরে লেগে গেছে লেখালিখিতে। বাংলাদেশের বাজারে বা ব্যাংক থেকে চরা সুদে ঋণ নিয়ে কি আদৌও ব্যবসা সম্ভব? যারা গার্মেন্টস এ আছেন তারা বুঝবেন, আমরা পারসেজ বা নেগোসিয়েশন করি ১.৭৫%+৪৫ডলার হ্যানডেলিং চার্জ দিয়ে ৬০/৯০/১২০দিনের ডকুমেন্ট গুলি হংকং এর একটি ব্যাংক থেকে। অন্যদিকে বাংলাদেশে এ কাজটি করতে হলে দিতে হত ১৭.৫% তার উপর কত রকমের বাটপারি চার্জ।

বাংলাদেশ এমন একটা দেশ যেখানে সোজা পথে কিছু হয় না। কোন জায়গা থেকে প্রজেক্ট লোন নিতে গেলে আগে সেটেল করতে হয় কত পার্সেন্টজ দিতে হবে বাংকের পরিচালনা পরিষদ সহ সংশ্লিষ্টকে তার পর তারা কাজে হাত দেয়, সেখানে থাকে মিনিমাম ১০%। তো শুরুতেই যখন অতিরিক্ত ১০% লোনের বোঝা তখন নিজে বাঁচার জন্য বা তো কিছু করতেই হবে। কোন ব্যাংকের কর্মচারী যখন ধানমন্ডীতে ফ্লাট কিনে বলে আমার শালা টাকা দিছে তখন কি আমার প্রশাসন শালা কি করে কতটাকা ইনকাম বা আদৌশ শালা আছে কিনা খোজ নিয়েছি? গাছের গোড়া না দেখে মগডালের পাখি তানভির (হলমার্ক এমডি) ধরে লাভ নাই। মাত্র দুইজন অর্থাৎ সোনালী বাংকের পরিচালক এবং ব্যবস্থাপক যদি ভাল হত তা হলে হাজারও তানভীর সৃষ্টি হতো না।

হাজার তানভীর নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব কিন্তু ২জনকে সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আবার অন্যকথায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বা ব্যাংক মনিটরিং সেলে যারা আছে তারা ভাল হলে শত শত ব্যাবস্থাপক ভাল হতে বাধ্য। এভাবে যদি দেখেন শেষে দাঁড়াবে একজন সে হল প্রধানমন্ত্রী। সো এত সেতো দেখার দরকার পরে না যদি ভাল হয় গুরুজন। --এখন কপাল যা পোড়ার পুরবে আমার মত কিছু কামলার যারা মাসের পর মাস বেতন পাবে না।

শ্রমিক যারা আছে তারা অনায়াসে অন্য কোথাও কাজ পাবে সহজে কিন্তু অফিসিয়াল যারা আছেন তারা সহজে না চাকুরী পাবে না পাবে বেতন। কিছু শ্রমিক আছে যাদের হয়তো থাকতে হবে না খেয়ে, কোন নারী শ্রমিককে হয়তো বাবা মাকে খাওয়ানো জন্য বিক্রি করতে হবে দেহ। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.