আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হুজুগে জাতির আমরা হইলাম হুজুগে ব্লগার।

মাইন্ড খাইলেন? কিছুই করার নাই। কইতাছি ডিটেইলস আমি যখন সামুতে মামুর লগে পিরিত করতে ঢুকসি, তখন তেইক্কায় দেখতাসি খালি ভেজাল আর ভেজাল। ঢুইক্কাই তব্ধা খায়া গেলাম। মনে মনে কই, মনা কই আয়া পরসস? সামনে আগাইসনা, ব্রেক মার। কিন্তু কথা হইলো গিয়া ব্রেক মাইরা মাইরা আপনি আমি কতদুর চলতে পারুম? কেউ আছে ব্রেক না মাইরা সমানে আগাইয়া যায়গা, আবার কেউ আছে ব্রেক মাইরা বেতালে তাল দিয়া খুশি অয়।

এরাই হইলো হুজুগে। হুজুগেদের দলেই আমরা বেশিরভাগ। যা কইতাছিলাম, যখন আইলাম সামুতে ছিলাম আমুদে, তখনি ২০১১ এর শেরেশ্ট ব্লগার ঘুষনা দিছে মামু মামুর কামে খুশি সবাই সমানে । অন্যের শ্রেষ্টত্বে খুশি হমু ক্যান? দিলাম লড়াই চালাইয়া। আর হুজুগে ব্লগাররাও হমানে নাইমা পড়ছে , হে হেরে সাপোর্ট দেয়, ও ওরে।

ক্যান ওরে সেরা দশে রাখছে, ক্যান ওরে রাখেনাই? যারা শেরেষ্ট হইছে তাদের শুভেচ্ছা না জানিয়ে লাইগা গেলাম তাগোরে শেরেষ্ট বানাইছে ক্যান? তাগো কি সেই খেমতা আছে? হুজুগের ব্লগার নাইম গেল কোমড় বাইন্ধা জানার পিছে , তারে শেরেষ্ট করসেন কিলা? কয়দিন পর?? কাউরেই খুঁইজা পাইনা। ১৬ই ডিসেম্বর আইলো, ব্লগার নাইমা পড়লো দৌড়ায়া। আহা সেকি দেশ ভক্তিরে বাবা। কি বোর্ড ফাটাইয়া দাঁত খিড়মিড় কইরা কয়েক লাইন লিখ্যা আমরা দেশ পেরেমিকের ঝান্ডা উড়াই। এর পর?? আর কোন খবরই নাই।

ওইযে কইলাম সব হুজুগে। ২১শে ফেব্রুয়ারী আইলো, আল্লাহরে ভাষার পরতি এমন দরদ উতড়াই যে কি কইতাম আর। রাত দিন ইঙলিশ, হিন্দী মুভি দেইখা, ইংলিশ মিডিয়ামে পইড়া ২১শ ফেব্রুয়ারীতে কি বোর্ডের সামনে বইসা হুজুগে ব্লগার লাইনে লাইনে রস আর দরদ মাখাইয়া ভাষায় ভালোবাসা দেখায়। এর পর? ভাষা আন্দোলনের কথা কইলেই চোখ বড় বড় কইরা চায়, মানে ওইটা আবার কিতা? দাড়িপাল্লার পোষ্ট আইলো, পাক্কা মুসলমান জাইগা খাড়াইলো। নবীর অপমানের বিরুদ্ধে পরতিবাদের ঝড় তুইল্লা সামুরেতো কাপাইছেই, জানারেও ছাড়েনাই।

চটি দিয়ে ইসলামের অপমানের পরতিবাদ হয় এই পরতম দেখলাম হুজুগেদের। এমনিতে কারোও নামায রোযার খবর নাই, দান খয়রাতে খবর নাই, সত্য নিষ্ঠার খবর নাই, মানবতার খবর নাই, মিথ্যাচারের খবর নাই, সহনশীলতার খবর নাই, হিংসা বিদ্ধেষ পরিত্যাগের খবর নাই, স্নেহ/সম্মান ভালোবাসার খবর নাই। মাগার যে এ সবের কথা কইছে যে, তাঁর অপমানে ব্লগে আগুন লাইগা গেছে। ইসলাম ইসলাম আর ইসলাম। ওইদিন কয়জন ফযরের নামায পড়ছে?? এরপর? ইসলামের কোন খবরই নাই।

আমরা হুজুগে নাতো কেডায়?? (এটা নিয়া আবার কেউ ক্যাচাল কইরেন না য্যান আল্লাহর ওয়াস্তে) জাতির কিছু কিছু সময়েই কেবল আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু , মেজর জেনারেল জিয়া, মাওলানা ভাষানীদের স্মরন করি কি বোর্ড ফাটাইয়া। এরপর? নির্দিষ্ট দিন গেছে কই বঙ্গবন্ধু আর কই মাওলানা, কাউরেরই কারো মনের কোণায়ও খুঁইজা পাইনা। হুজুগে ব্লগার দিবস কেন্দ্রিক ভালুবাসা দেখাইতে উস্তাদ। ঈদ আইলে। দেখেন কতো খুশি, ভালোবাসা।

সেকি খুশির জোয়াড়, ভালুবাসার ঠেলারে বাবা। ছাগু ভাদারে ঈদ মোবারক জানায়, নাস্তিক জানায় আস্তিকরে। ছুন্দর ছুন্দর কার্ডে ভইরা উঠে ব্লগের পাতা। এরপর? ঈদ গেসেতো সব শেষ, হুজুগে ব্লগার সব ভালোবাসা মাচায় তুইলা আবার আরাম কইরা মারামারিতে মনযোগ দেয়। আইলো মা দিবস।

আহ, সেকি মায়ের পরতি দরদ। উতলাইয়া ডেকসির বাইরে পড়তাছে ভালুবাসা। ফেবু ষ্টাটাসের ভারে নুইয়া পড়ে, পোষ্টের জোয়ারে সামু সুনামীতে ভাইসা যাওনের কাম। মায়েরে ভালুবাসা জানাইতে নাকি দিবস দরকার, এমন হাসির জিনিস আমি আর জিন্দেগীতেও দেখিনা। কি বোর্ড ফাটাইয়া মায়ে পরতি ভালু বাসা জানাইলাম মাগার ওইদিন মায়ে পা'টাও ছুইয়া দেখিনা।

মায়েরে বৃদ্ধাশ্রমে থুইয়া আইসা কবিতা গল্প লিখি। এরপর?? ওইদিন গেছে মায়ের গুনগানও শেষ। ফেবু আর সামু সোজা হইয়া খাড়াইয়া এবার তাগোরেই সমানে গাইল্লায়, আব্বে মা দিবস গেছে অমনি মায়েরে ভুইল্লা গেলি? সেইম বাবা দিবসেও আমরা এরাম কেনরে ভাই? আমরা ক্যান পারিনা সামুর শেরেষ্ট ব্লগাদের সর্বদা সম্মান দিতে ? কেন পারিনা ইসলামকে সর্বদা মেনে চলতে, কেন পারিনা ইসলামের বিরুদ্ধে নোংরামী পরতিবাদ সর্বদা করতে? কেন পারিনা ঈদের খুশি সবসময় মনে ধইরা রাখতে? কেন পারিনা বঙ্গবন্ধু, শহীদ জিয়া ও মাওলানা ভাষানীর আদর্শ সর্বদা মনে লালন করতে? কেন পারিনা উনাদের মত গুনীদের সবৃদা সম্মান দিতে? কেন পারিনা ৭১কে সর্বদা স্যালুট করতে? কেন পারিনা ভাষাটিকে ২১শে কেন্দ্রিক না করে অন্তরে জায়গা কইরা দিতে সরাটি বছর? কেন জীবনের প্রতিটি মুহুর্ত মায়ের পায়ের নীচে বসে থাকতে? কেন আমরা বাবাকে একমাত্র শেরেষ্ট ব্যক্তি হিসেবে সম্মান দিতে? পারিনা কারণ, আমরা হুজুগে। সামনে কিছু আইলেই আমগো বিবেক জাগ্রত অয়, ভালুবাসা উগলাইয়া বাইর অয়, পরতিবাদ ঠেইলা বাইরয়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।