আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফুয়াদ চৌধুরীর ‘চেঞ্জ ইওর নেম ওসামা’ মূলধারায় আলোচনায়

দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম নির্মাতা ফুয়াদ চৌধুরীকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবার কিছু নেই। গুণী এই নির্মাতা এবার নির্মাণ করেছেন ভিন্নধারার তথ্যচিত্র ‘চেঞ্জ ইওর নেম ওসামা’। এই তথ্যচিত্রে তুলে ধরা হয়েছে ৯/১১ এর ঘটনার পর থেকে কানাডার মুসলমানরা কীভাবে অনির্ধারিত ঘটনার শিকার হয়েছে -সে বিষয়টি। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের টুইন-টাওয়ারের ঘটনা সারা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিল। ছোট একটি ধর্মভিত্তিক গোষ্ঠি দ্বারা সংঘটিত এই ঘটনায় প্রায় তিন হাজার মানুষ প্রাণ হারায়।

ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ তার ‘সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধ’ ঘোষণা করেন। টুইন-টাওয়ার সন্ত্রাসি ঘটনার ১১ বছর পূর্ণ হচ্ছে এ বছর। এ উপলক্ষেই তথ্যচিত্র নির্মাতা ফুয়াদ চৌধুরী তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছেন বলে জানান। ‘চেঞ্জ ইওর নেম ওসামা’ নামকরণ করা হয়েছে টরন্টোর ইমাম সায়িদ রাগেশ এর ঘটনার ওপর। রাগেশ তার সাক্ষাৎকারে বলেন, ১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনার পর মুসলিম বয়স্ক নেতারা বুঝতে পারছিলেন না যে কীভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে।

হঠাৎ তাদের সমস্ত সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় কর্মকান্ড সন্দেহযুক্ত হয়ে পড়ে। রাগেশ বলেন, সেসময় অনেক ইমাম পরামর্শ দিতে থাকেন যে যতটা পারা যায় তারা যেন নত হয়ে থাকেন। যেসব মহিলারা হিজাব পড়তেন তাদেরকে বলা হল, নজর এড়ানোর জন্য তারা যেন হেজাব না পরেন। ইমাম রাগিব আরো বলেন যে, তার এক বন্ধুর নাম ছিল ওসামা, তার নাম পরিবর্তন করতে হয়েছিল একজন ইমামের পরামর্শে। এই তথ্যচিত্রের বড় আকর্ষণ মূলধারার শিক্ষাবিদ, টরন্টো স্টারের সম্পাদক, ক্যানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টিলিজেন্স সার্ভিসের (সিসিজ) প্রধান, সংসদ সদস্য এবং নতুন প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদের সাক্ষাৎকার।

টরন্টো স্টার এর সম্পাদক হারুন সিদ্দিকি বলেন, মুসলমানরা সহজেই বর্ণ বৈষম্যের শিকার হয়। টরন্টো ইউনিভার্সিটির প্রফেসর শিরিন রাজ্জাক বলেন, এক সময় ইহুদি বিদ্বেষি প্রচারণা ছিল। এখন মুসলমাদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চলছে। এক তরুণ দম্পতি আশঙ্কা ব্যক্ত করে যে, যেভাবে এ সমাজ তাদের ধর্ম-বিশ্বাসকেই সন্দেহের চোখে দেখছে , সেখানে কেমন করে দ্বিধাহীনভাবে তাঁদের সন্তানদের তারা মানুষ করবেন! ফুয়াদ চৌধুরীর তথ্যচিত্রে দেখানো হয়েছে যে, যে পরিমাণ থ্রেড সমাজে বিরাজ করছে তা শুধু মুষ্টিমেয় কিছু মৌলবাদীর জন্য। মুসলমানরা বিভিন্ন দেশ থেকে এসে কানাডাতে বসবাস করছে।

তাদের ধর্ম এক কিন্তু বর্ণ, সংস্কৃতি, ভাষা এবং আচার-আচরণ এক নয়। ইউরোপ, এশিয়া, এবং আফ্রিকা থেকে ইমিগ্রেশন নিয়ে বহু মুসলমান এদেশে বসবাস করছে কয়েক জেনারেশন ধরে। অনেকের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা এ দেশে এবং এদের প্রধান সংস্কৃতি হলো কানাডার সংস্কৃতি। অথচ তারা এখন প্রত্যেকেই ইসলাম আতংকে ভুগছে। ‘চেঞ্চ ইওর নেম ওসামা’ মন্ট্রিয়লয়ল ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, ওমনি টিভি, ফক্স থিয়েটার সহ কানাডার মূলধারায় এখন প্রদর্শিত হচ্ছে।

সাহসী এই পদক্ষেপের জন্যে নির্মাতা ফুয়াদ চৌধুরীকে অভিনন্দন। তথ্যসূত্র- Click This Link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.