আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ট্রাভেল বাংলাদেশঃ হানিমুনে যাচ্ছেন ? চলুন ঘুরে আসি ''মারমেইড ইকো রিসোর্ট '' , সাথে থাকছে কিছু ফ্রি হানিমুন টিপস

কলম চালাই ,এইগুলো লেখার পর্যায়ে পরে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে :) ব্লগের বয়স বছরের উপরে দেখালেও নিয়মিত লিখছি ১৭ আগস্ট ২০১২ থেকে :) হানিমুন দুজন নর-নারী বিয়ের স্বগর্ীয় বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর পরস্পরকে জানতে ও বুঝতে পারার জন্য কিছু সময় লোকচক্ষুর অন্তরালে নিজেদের একান্ত সানি্নধ্যে কাটাতে চায়। এ থেকেই হানিমুনের ধারণার উদ্ভব। পাহাড়ের উষ্ণতায় কিংবা সমুদ্রের গর্জনে স্নাত সৈকতে কিংবা অরণ্যের বিচিত্রতায় রহস্যময় মনের অতলে ডুব দিয়ে মণি-মুক্তা তুলে আনার প্রয়াসে নিজেদের হারিয়ে ফেলার উদ্দেশ্যেই বর কনের হানিমুন যাত্রা। নিজের হানিমুনকে কিভাবে সর্বোত্তমভাবে উপভোগ করা যায়, তার জন্য পস্ন্যান কিন্তু বিয়ের আগে থেকেই সেরে রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে অভিজ্ঞদের কিংবা ট্রাভেল এজেন্টদের সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে।

হানিমুনের ভেনু্য হতে পারে দেশের ভিতরে বা বাইরে। এর প্রকৃতি নির্ভর করে দুজনের পছন্দের উপর। দেশের ভিতরের বিভিন্ন স্পটগুলোর মধ্যে যদি কোনোটাতে যেতে দুজনের আগ্রহ থাকে তাহলে সেখানে ঘুরে আসতে পারেন। কক্সবাজার, কুয়াকাটা, রাঙ্গামাটি, বান্দরবন, কাপ্তাই,সিলেট, সুন্দরবন এ সবের কোনো জায়গার প্রতি যদি দুর্বলতা থেকে থাকে, তবে সেটাই হতে পারে আপনার হানিমুনের আদর্শ ভেনু্য। আবার দেশের বাইরে যেতে চাইলে ভারত, নেপাল, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সাইপ্রাস থেকে ইউরোপ বা আমেরিকার যে কোনো দেশেও ঘুরে আসতে পারেন প্রিয়জনের নিবিড় সানি্নধ্যের পরশে।

কোথায় যাবেন সেটা সিদ্ধান্ত নেয়ার পরের পদক্ষেপ হচ্ছে বাজেট নির্ধারণ করা। নির্দিষ্ট বাজেটের মধ্যে যদি কোনো হানিমুন প্যাকেজে অন্তভর্ুক্ত হওয়া যায়, তবে সেটা হবে সবচেয়ে উপযুক্ত কাজ। কেননা এতে সফরের খুটিনাটি বিষয়গুলো নিয়ে নিজেরা চিন্তিত না হয়ে আয়োজকদের হাতে সেগুলো ছেড়ে দেওয়া যায়। থাকা, খাওয়া, গাড়ি ম্যানেজ করা, এসব বিষয়ে সারাক্ষণ মাথা ঘামাতে হলে হানিমুনের প্রকৃত আনন্দই মাটি হয়ে যায়। হানিমুনকে পরিপূর্ণ আর স্মরণীয় করে রাখতে এর প্রতিটি মুহূর্তই পরস্পরকে একান্ত আপন করে চেনার জন্য, বুঝার জন্য জানার জন্য, উৎসর্গ করতে হবে।

হানিমুনকে আন্তরিকতাপূর্ণ আর সফল করার জন্য কিছু টিপস নিচে দেওয়া হলো_ ট্রাভেলিং ব্যাগে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে ফিল্ম, ব্যাটারি, সানট্যান লোশান ও মাঝারি আকারের ট্রয়লেট্রিজ ভরে নিবেন। হানিমুন স্পটের আকর্ষণীয় জায়গা ও ইভেন্টগুলো সম্পর্কে জেনে নিবেন। ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ট্রাভেলার্স চেক ইত্যাদি গুছিয়ে নেবেন। কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় ঔষধ ও ফাস্ট এইড বক্স সাথে নিবেন। হানিমুন স্পটের ধরন বুঝে তার সাথে মানানসই কাপড় গুছিয়ে নিবেন।

কেননা পাহাড়ে, সাগরে কিংবা বিখ্যাত কোনো শহরে ঘুরতে গেলে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের কাপড় চোপড়ের দরকার পড়বে। ব্যাচেলর জীবনের উদ্বেগ, উৎকণ্ঠাহীন এ্যাডভেঞ্চারস লাইফ স্টাইলের ইতি ঘটিয়ে যখন বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার সময় আসে তখন প্রত্যেকেই তার নিত্যদিনকার রুটিনে কিছু পরিবর্তন আনতে হয়, কেননা বিয়ের কথা পাকাপাকি হয়ে যাওয়ার পর সবার প্রত্যাশা, যাতে পাত্র তার দায়িত্ব পরায়ণতা ও কর্তব্যবোধ সম্পর্কে সচেষ্ট হবে সর্বোপরি তার আচার আচরণেও মার্জিত এবং পরিণত ভাব আসবে। একজন মানুষের ব্যক্তিত্বের স্বরূপ প্রকাশ পায় তার নানা গুণাবলীর বাস্তব উপস্থাপনের মাধ্যমে। মনস্তাত্তি্বক গুণাবলীর কথা আলাদা করে রাখলে বাহ্যিক ভাবে তার পরিচ্ছন্নতা, পোষাক পরিচ্ছদ, প্রসাধন সামগ্রী, জুতো বা স্যান্ডেল এবং অন্যান্য নিত্য ব্যবহার্য সামগ্রীর ধরন তার ব্যক্তিত্বের স্বরূপ প্রকাশ করে। তাই, আপনি যদি পাত্র হন তাহলে এসব ব্যাপারে অবশ্যই মনোযোগী হবেন।

আজকালকার মেট্রোসেক্সুয়াল যুবকরা বিভিন্ন ধরনের ফেসিয়াল ছাড়াও নিজেদেরকে আকর্ষণীয় আর গ্রহণযোগ্য দেখানোর জন্য মেনিকিওর আর সেডিকিওর এর সাথেও নিজেদের আত্মস্থ করে নিচ্ছে। সুতরাং পিছিয়ে থাকলে চলবে না। নিজেকে সর্বোত্তমভাবে উপস্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুতেই হাতেখড়ি নিতে হবে। রিসোর্ট সম্পর্কিত তথ্যঃ মারমেইড ইকো রিসোর্ট-প্যাঁচার দ্বীপ : স্বপ্নিল সৌন্দর্যের এক আবাসভূমি কক্সবাজার এয়ারপোর্ট থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে রেযুখাল নদী। সেই নদীর তীরে জেলেদের এক ছোট্ট গ্রাম প্যাঁচার দ্বীপ।

সে গ্রামের প্রায় সবাই মাছ শিকার করে জীবন চালায়। যেখানে একবেলা ভাত খাওয়ার সুযোগ পেত না তারা, সেখানে খেয়ে-পড়ে বাঁচতে পারছে এখন। কক্সবাজার এয়ারপোর্ট থেকে অটো রিক্সায় মাত্র ২০ মিনিটেই পৌঁছানো যায় সেখানে। সেই জায়গায় কাজ জোটে প্যাঁচার দ্বীপ গ্রামের দরিদ্র-বেকার মানুষের, কারণ এখানেই রয়েছে "মারমেইড ইকো রিসোর্ট" । বদল নান্দনিক এ মারমেইড রিসোর্টটি ইকো-ট্যুরিজমের এক ব্যতিক্রমী উদাহরণ।

বাংলাদেশের ব্যক্তিগত খাতে নির্মিত ইকো রিসোর্টের মধ্যে অন্যতম নাম মারমেইড রিসোর্ট। মূলত ইকো ট্যুরিজমের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে প্রকৃতির কোনোরূপ সম্পদের বিনষ্ট না করে পরিবেশবান্ধবভাবে উপভোগ্য কোনো জায়গা তৈরি করা। এ বিষয়টিকে মাথায় রেখেই মারমেইড ইকো রিসোর্টটি যে নির্মাণ করা হয়েছে তা একবার ঘুরে এলেই অনুধাবন করা যায়। এ রিসোর্টটি তৈরি করার সময় পরিবেশের ভারসাম্যের প্রতি বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখা হয়েছিল। থাকার ঘরগুলোর ছাদ-চালা বাঁশ ও ছন দিয়ে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন তা গাছপালাগুলোর উচ্চতাকে ছাড়িয়ে না যায়।

আশপাশের নৈসর্গিক দৃশ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সব জায়গায় মাটি এবং কাঠ রঙের ব্যবহার করা হয়েছে। অযত্নে বেড়ে ওঠা বুনো লতাগুল্মগুলোও যেন এই রিসোর্টের ভালোবাসার ধন। সেগুলো যেন স্বাভাবিক নিয়মে বেড়ে উঠতে পারে তা নিয়েও ভাবা হয় অনেক। বাংলোর জানালা ও দরজারগুলো বড় বড় যেন আগত অতিথিরা সুনির্মল বাতাস অথবা বৃষ্টির মতো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পুরোপুরি উপভোগ করতে পারে। রাতে চোখ ধাঁধানো নিয়ন আলোর পরিবর্তে তাই খয়েরি ঠোঙার ভেতর মোমের আলো জ্বালিয়ে রাখা হয়।

রিসোর্টটির পাশেই স্থানীয় মন্দির, মাছের বাজার এবং অন্যান্য দেশীয় কৃষ্টির নিদর্শন পাওয়া যায়। নেই জমকালো ভাব, আছে নিরিবিলি পরিবেশ ও নিরাপত্তা। আছে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বাছাইকৃত কর্মী, যাদের আন্তরিক ব্যবহার মুগ্ধ করবে সবাইকে। সেখানে বেড়াতে আসা এক পরিবারের মুখ থেকে শোনা যাক এ রিসোর্ট সম্পর্কেঃ “আমরা এই ইকো রিসোর্টে অন্যান্য পরিবারের সঙ্গে একটি আলাদা ভিলায় তিন রাত ছিলাম । যে আশা নিয়ে এসেছিলাম আমাদের সে আশা পূর্ণ হলো যেন।

এখানকার ঘরগুলো নানারকম উপাদান দিয়ে বেশ সুন্দর করে সাজানো। খোলামেলা পরিবেশ কারণে ঘর থেকেই অনাবিল সমুদ্র দেখা যায়। বিদ্যুতের ব্যবস্থা রয়েছে, তবে তা শুধু সন্ধ্যার পর ব্যবহার করা হয়। এখানে খাবারের মান বেশ ভালো, দামেও সাশ্রয়ী। রয়েছে রিসোর্টের নিজস্ব অপূর্ব সুন্দর সৈকত।

সবশেষে বলতে হয়, রিসোর্টটিতে কেমন যেন এক ভালোলাগা ভাব ছড়িয়ে আছে, যা ভাষায় প্রকাশ করে বোঝানো সম্ভব নয়, কেবল অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়েই তা অনুভব করা যায়। ” রুম এবং ভাড়া কত হতে পারেঃ ১) ১ বেডরুমের ওয়াটার বাংলঃ ৩৫০০ থেকে শুরু ( হাই সিজন ডিসেম্বর - মার্চ ) , ২০০০ থেকে শুরু ( মিড সিজন এপ্রিল - অগাস্ট ) , ১৫০০ ( লো সিজন সেপ্টেম্বর - নভেম্বর ) ২) ওয়ান বেডরুম লিভিং রুম ভিলাঃ ৬০০০ থেকে শুরু ( হাই সিজন ডিসেম্বর - মার্চ ) , ৪০০০ থেকে শুরু ( মিড সিজন এপ্রিল - অগাস্ট ) , ৩০০০ ( লো সিজন সেপ্টেম্বর - নভেম্বর ) ৩) ওয়ান বেডরুম স্টুডিও ভিলাঃ ৬৫০০ থেকে শুরু ( হাই সিজন ডিসেম্বর - মার্চ ) , ৫০০০ থেকে শুরু ( মিড সিজন এপ্রিল - অগাস্ট ) , ৪০০০ ( লো সিজন সেপ্টেম্বর - নভেম্বর ) ৪) দুই বেডরুম ভিলাঃ ৮০০০ থেকে শুরু ( হাই সিজন ডিসেম্বর - মার্চ ) , ৫০০০ থেকে শুরু ( মিড সিজন এপ্রিল - অগাস্ট ) , ৪২৫০ ( লো সিজন সেপ্টেম্বর - নভেম্বর ) ৫) আশ্রাম ভিলাঃভিলার মধ্যে ভিলা (প্রাইভেট বিচ সহ) ১০০০০ থেকে শুরু ( হাই সিজন ডিসেম্বর - মার্চ ) , ৭০০০ থেকে শুরু ( মিড সিজন এপ্রিল - অগাস্ট ) , ৫০০০ ( লো সিজন সেপ্টেম্বর - নভেম্বর ) ***এছাড়াও নতুন সংযোজন আছেঃ ১)মিস মারমেইড বাংল(১০০০০) ২) মারমেইড এন্ড হার সিস্টার ( ১০০০০) ৩) মাড হাইজ (১০০০০/একদিন এক রাত ) , এগুলো সবই সি এবং হিল ভিউ *** অন্যান্য সুযোগ সুবিধাঃ ১)ফিসিং - ৫০০-২০০০ প্রতি ঘণ্টা। ২)বারবিকিউ । ৩)সারফিং - ৫০০/ ঘণ্টা , ১৫০০ / ঘণ্টা ( প্রশিক্ষক সহ ) ৪)বিচ ভলিবল । ৫)মরনিং বিচ ওয়াক ।

৬) গার্ডেন বারবিকিউ । যোগাযোগঃ ১) Reservations & Info +88 01841416464-9 ২) Dhaka Office 2nd floor, house 33, road 11, Baridhara Diplomatic Zone Zip code: 1212, Bangladesh ৩) Resort Address Pechar Dwip, Cox's Bazar +880 01841416464-9 ৪) ওয়েব সাইটঃ http://mermaidecoresort.com/site আগের পোস্টগুলোঃ ১) Click This Link ট্রাভেল বাংলাদেশঃ রিসোর্ট পরিচিতি (চলুন ঘুরে আসি নীলগিরি ) । ২) Click This Link ট্র্যাভেল বাংলাদেশঃ চলুন ঘুরে আসি বগালেক ও তার আশেপাশের পাহাড়ি জনপ.। ৩) Click This Link ট্রাভেল বাংলাদেশঃ চলুন ঘুরে আসি অপার সৌন্দর্যের আধার টাঙ্গুয়ার হাওর ৪) Click This Link ট্রাভেল বাংলাদেশঃ চলুন ঘুরে আসি দ্বীপের রানী ''নিঝুম দ্বীপ'' থেকে । নিচের ছবিগুলো বড় করে দেখতে হবে , উপরের মত বড় করে ছবি আপলোড হচ্ছে না ছবিগুলো বড় করে না দেখলে পস্তাবেন ।

আমাদের দেশ যে কত সুন্দর তা অকল্পনীয় সুত্রঃ ইন্টারনেট ।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।