আমিতো মরে যাব চলে যাব রেখে যাব স্মৃতি.................... আপনাদের কাছে আজকে আমার গ্রামের মিডল ইষ্ট প্রবাসী এক চাচাতো ভাইয়ের কাছে থেকে শুনা একটা ঘটনা শেয়ার করবো ।
ঘটানাটি বর্ননা করতেছি হুবুহু যা শুনে ছিলাম আমার চাচাতো ভাইয়ের মুখে : আমার দোকানের পাশের দোকানের মালিক চট্রগামের এক বদ্দা। বদ্দার দোকানে ব্যবসা বানিজ্য খুব ভালো হয়। কিন্তু সমস্যা হলো উনার দোকানে কোন কর্মচারীই বেশীদিন থাকেনা। উনিও ফ্রি ভিসার লোক উনার দোকানে নিয়োগ দেন অবশ্য লোক না বলে নির্ধারিত করে বলা যায় কম বয়েসি, ফর্সা, ভালো স্বাস্থ্যবান ছেলেপেলেদের নিয়োগ দেন।
এমনিতে উনি কর্মচারীদের বেতন নিয়মিত দেন তারপর কর্মচারীদের সাথে উনার ব্যবহার ও খুব ভাল তারপরও কোন কর্মচারী উনার দোকানে থাকতে চায় না, উনার কর্মচারী না থাকার কারণ হিসাবে আকার ইঙ্গিতে যা আমরা বুঝলাম, তা হলো যে উনার ছেলেদের সাথে খারাফ মিলামিশার একটা বদ অভ্যাস আছে। তো উনার কোন কর্মচারী যখন টিকে না তখন সিদ্ধান্ত নিলেন উনার দোকানের ভিসা দিয়ে দেশ থেকে লোক আনবেন, তো উনি উনার দোকানের লাইসেন্সের মালিক (স্থানীয় আরবী) উনাকে বলে একটা ভিসা বের করলেন এবং ভিসা বিক্রি করলেন কুমিল্লার এক লোকের কাছে। নির্ধারিত দিনে উনার ভিসার লোক আসলো, দেখলাম উনার দোকানের ভিসায় আসা চোখে চশমা পড়া কর্মচারীটির বয়স ২২/২৩ হবে, গায়ের রং উজ্জল শ্যামলা। ছেলেটিকে দেখে ভদ্র এবং লেখাপড়া জানা মনে হলো। যে দিন ছেলেটি আসলো উনি সবার সাথে ছেলেটিকে পরিচয় করিয়ে দিলেন এবং রাতে দোকান বন্ধ করার সময় আমাদের দোকানে আসলেন, আমাদের সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন।
আমি তাদেরকে পেপসি খাওয়ালাম। তারপর দোকান বন্ধ করে একসাথে বাসার দিকে রওয়ানা হলাম। একটা কথা বলা হয়নি যে, চট্রগ্রামের এই বদ্দার রুম ও আমার পাশের রুম। যাইহোক বাসায় আসার পর খাওয়াদাওয়ার পর ঘুমিয়ে গেলাম। সকাল আনুমানিক ৪.৩০ হবে তখন চিৎকার চেচামেচি শুনে ঘুম ভাঙ্গল।
কি হইছে দেখার জন্য বাহির হলাম। বের হয়ে দেখি নতুন আসা ছেলেটি চিল্লা চিল্লি করতেছে আর বদ্দা ছেলেটিকে শুধু বুঝিয়ে শুনিয়ে কখনও হুমকি ধামকি দিয়ে রুমের দিকে টানছেন। চিৎকার চেচামেচি শুনে আমাদের বিল্ডিংয়ের অনেক লোকজনই জমায়েত হয়েছে, যেহেতু এই বিল্ডিংয়ে ব্যচলাররা থাকে সে হিসাবে লোকজনের সংখ্যাও কম না। তো জমা হওয়া লোকজনের মধ্যথেকে বয়স্ক একটা লোক সম্ভবত উনার বাড়ী নোয়াখালি উনি বদ্দাকে জিজ্ঞাসা করলেন কি হইছে, তখন চাটগাইয়্যা বদ্দা কিছু বলার আগেই উনার নতুন কর্মচারীটি বলতেছে, চাচা মিঞা কি আর বলব, এতোদিন শুনে আসছি, পত্রিকায় দেখেছি মহিলারা ধর্ষনের শিকার হয়, কিন্তু আজ দেখলাম পুরুষরাও ধর্ষনের শিকার হয়। ঐ ....... পুত আমারে রাতে ধর্ষন করেছে।
এই সব ব্লা ব্লা.....
ওদের কথাবার্তা শুনে আমারতো লজ্জায় মাথা কাটা যাবার অবস্থা কারণ আমার রুমে আমি সহ আমার চাচা, এক বড়ভাই সবাই চিৎকার চেচামেচি শুনে জমায়েত হইছিলাম। ছেলেটা যখন ধর্ষনের বর্ণনা সবার সামনে দেওয়া শুরু করলো তখন আমার চাচা ও আরো কয়েকজন মিলে ছেলেটিকে থামিয়ে বললেন, আপনি এখন চেচামেচি না করে আসুন আমাদের কারও রুমে বসি তারপর আপনার কথা শুনবো, আপনার আত্নীয় স্বজন কেউ থাকলে উনাকেও ডাকবো তারপর আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করবো ন্যায় বিচার করতে। এই সব বলে কোনমতে ছেলেটিকে শান্ত করেন। এবং যতটুকু শুনছি পরে বিচারে বদ্দা ছেলেটির এবং ছেলেটির অভিবাবকদের পায়ে ধরে ক্ষমা চাইছেন এবং এই শর্তে ছেলেটিকে বিদায় দিছেন যে, সে যতদিন পর্যন্ত অন্য কোন যায়গায় চাকরী না পাবে ততদিন পর্যন্ত উনার ভিসায় থাকবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।