প্রবল ঘৃনাই মানুষকে ধ্বংস করে আবার প্রবল ঘৃনাই মানুষকে বাঁচায় আজকাল পত্রিকার পাতা খুললে্ই দেখি, 'অমুক জায়গায় স্কুলছাত্রী ধর্ষিত: ধর্ষক প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে'; 'তমুক জায়গায় গৃহবধূ ধর্ষিত: ধর্ষক ছাত্রনতো'; কৃষক কন্যাকে এলাকার মাস্তানরা তুলে নিয়ে গেছে: পুলিশ মামলা নিচ্ছে না', 'অপরাধী ক্ষমতাসীন দলের লোক। এসব খবরে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, এ ধরনের ঘটনা সমাজে অপ্রত্যাশিত, সবাই এ ঘটনাগুলোকে ঘৃনা করে, কেউ চায় না আর কোনো স্কুলছাত্রী, কলেজছাত্রী, গৃহবধূ, কৃষককন্যা ধর্ষিত হোক এবং সবাই ধর্ষকদের কঠোর শাস্তি প্রত্যাশা করে। কিন্তু আমি তা মনে করি না। কেন ধর্ষকের বিচার চাইব? তার ধর্ষন করার ক্ষমতা আছে বলেই তো করেছে। ধর্ষক যখন তার কামনা চরিতার্থ করছিল তখন কি ধর্ষিতা চরম সুখ লাভ থেকে বঞ্চিত ছিল ? নিশ্চয়ই ছিল না।
সেও নিশ্চয়ই তার চরম সূখ লাভের সময় ধর্ষককে জড়িয়ে ধরেছিল। যদি তাই হয় তাহলে একই ধরনের সূখলাভের জন্য একজনের কেন শাস্তি হবে? কেন একজনকে অপরাধের বোঝা বইতে হবে? যারা বিচার চান তারা এসব ভাবেন না, চট করে বিচার চেয়ে বসেন। আর যদি তারা বলেন যে, চরমসূখ পাওয়া না পাওয়া কোনো কথা নয়, একজনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ভোগ করার মাধ্যমে তাকে অপমান করা হয়েছে, যতবার ধর্ষনের কথা আলোচনায় এসেছে ততবার সে অপমানিতা হয়েছে এবং এ অপমানের জন্যই ধর্ষকের শাস্তি হওয়া উচিত অর্থাৎ অপমানটাকেই যদি বড় করে দেখেন তাহলে বলব নারীর দুই ঊরুর মিলনস্থলে পুরুষের উদ্যত লিঙ্গ প্রবেশ করালেই কেবল ধর্ষন হয় না, কোনো নারীকে কেউ প্রকাশ্য দিবালোকে ধর্ষনের ইচ্ছা পোষন করলেই সেটা গনধর্ষনের সমতুল্য। কাউকে চরমভাবে অপমান করা ধর্ষনের চেয়েও বড় অপরাধ। ধর্ষনের ক্ষেত্রে ধর্ষিতার সুখলাভের সম্ভাবনা হলেও আছে কিন্তু অপমানের বেলায় তাও নেই।
তারপরও যদি আপনি ধর্ষনের বিচার চান তাহলে বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল যে গত বিশ বছর ধরে আমাদের দেশকে পালাক্রমে সম্ব্রমহানি করে চলেছে আমার চোখে ধর্ষন করে চলেছে তার বিচার চাইছেন না কেন? দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতিরা যে অহরহ ব্যাংকগুলোকে ধর্ষন করে চলেছে তার বিচারের কি প্রয়োজন নেইু? শেয়ারবাজারের লাখো উদ্যোক্তা যে গনধর্ষিত হচ্ছে তার বিচার কি ছাবেকুন নাহার সনির মত হারিয়ে যাবে? ছাত্ররাজনীতি অনবরত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ধর্ষন করে চলেছে। আমাদের বিচারপতিরাও সুযোগ পেলেই আমাদের বিচার ব্যবস্থাকে ধর্ষন করেন। চাইলে এমন লাখো প্রমান দেয়া যায়। এসব বিচার কি আমরা চাইতে পারিনা?
কিসের আবার ধর্ষনের বিচার? আমাদের জন্মই হয়েছে যৌবনবতি হয়ে ধর্ষনোদ্যত ধর্ষককে দু'পা ফাঁক করে দিয়ে ধর্ষনে সাহায়্য করার জন্য। আর ধর্ষনের শিকার হওয়ার সময় কাংখিত সুখ লাভ থেকেও বঞ্চিত না থেকে দু'পা দিয়ে ধর্ষককে জড়িয়ে ধরার জন্য।
আমাদের ভোটাধিকারের চরম সম্ভ্রমহানি ঘটানোর পরও নইলে কেন আমরা গত বিশ বছর ধরে নির্বাচনের সময় এই দুই রাজনৈতিক দলকেই জড়িয়ে ধরছি? ধর্ষনের সময় সুখলাভ থেকে বঞ্চিত না থেকে ধর্ষককে জড়িয়ে ধরা আর নির্বাচনের সময় নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য এই দুই দলকে জড়িয়ে ধরা তো একই কথা। আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য কাংখিত সুখ লাভ থেকেও বঞ্চিত না থাকা আবার ধর্ষনের বিচার ও চাওয়া। এজন্যই আমরা সুশাসন ও প্রত্যাশা করি আবার নির্বাচনের সময় এলে টু-পাইস কামানোর আশায় এই দুই দলকেই জড়িয়ে ধরি। এই আমাদের চরিত্র।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।