আমি উচ্চারিত সত্যের মতো স্বপ্নের কথা বলতে চাই ফেইসবুকে অশালীন মন্তব্যের জের
রাইফেলস পাবলিক কলেজ ও ঢাকা কলেজ এক হয়ে সিটি কলেজের সঙ্গে সংঘর্ষ: আহত ১৫ জন
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত থেমে থেমে সিটি কলেজ ও রাইফেলস কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রদের মধ্যে হাতাহাতি, ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা লাঠিসোটা, হকস্টিক, স্টাম ব্যবহার করেন। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫জন আহত হন। আহতদের পপুলার ও গনস্বাস্থ্য মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সূত্রপাত মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক থেকে।
রোববার রাতে রাইফেলস পাবলিকের ১ম বর্ষের এক ছাত্র সিটি কলেজ পড়–য়া এক মেয়ের স্টাটাস ও ছবিতে অশালিন মন্তব্য করে। ব্যাপারটি সিটি কলেজের ফেইসবুক গ্যাঙদের মধ্যে জানাজানি হলে তারা রাইফেলস এর ঐ ছাত্রকে নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল। ফেসবুক ঝগরার এক পর্যায়ে সিটি কলেজের মেয়েটি রাইফেলস এর ছেলেটিকে সিটি কলেজের সামনে দেখা করতে বলে। সোমবার সকালে ছেলেটি তার কয়েক বন্ধুমিলে মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে আসলে সিটি কলেজের ছাত্ররা তাদের বেশ উত্তম-মাধ্যম প্রহার করে। এসময় রাইফেলস পাবলিকের আরও কিছু ছাত্র এসে তাদেও সঙ্গে যোগ দেয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাইফেলস পাবলিকের এক ছাত্র প্রতিদেককে জানান, সংঘর্ষের সময় ঘটনা স্থলে পুলিশ থাকলেও পুলিশের ভুমিকা ছিল নিরব এবং সিটি কলেজের কতিপয় শিক্ষক ছাত্রদের উস্কে দিয়ে বলেন বেটারা কেউ যেন অক্ষত অবস্থায় ফিরে যেতে না পারে।
এই ঘটনার সূত্র ধরে মঙ্গলবার সকালে রাইফেলস পাবলিকের ছাত্রদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের কিছু ছাত্র এক হয়ে সিটি কলেজের ছাত্রদের সঙ্গে দুই দফায় দ্বন্দে লিপ্ত হয়।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা কলেজের সামনে অবস্থিত গ্লোব শপিং সেন্টারের সংলগ্ন রাস্তায় পূর্বে ঘটিত ঘটনা জের ধরে রাইফেলস পাবলিক ও ঢাকা কলেজের কিছু ছাত্র এক হয়ে সিটি কলেজের কয়েকজন ছাত্রকে মারধর করে। এভাবে একদফা মারামারি পর জিগাতলায় অবস্থিত ন্যাসকফির ফাস্টফুডের দোকানের সামনে আরেক দফায় এ সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রনে আসে।
মঙ্গলবার গাড়ি ভাঙচুরের কোনও ঘটনা ঘটেনি।
তিন কলেজের মধ্যে এমন দ্বিমুখী সংঘর্ষের ব্যাপারে ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ ড. আয়েশা বেগম জানান, আজকের ঘটনায় ঢাকা কলেজের ছাত্রদের কোনও সম্পৃক্ততা নেই। এ ধরনের সাংঘর্ষিক ঘটনাগুলো সাধারনত সকাল ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে ঘটে থাকে তাই আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষ যেকোন সংঘর্ষ এড়াতে ক্লাস শুরু হওয়া থেকে শেষ পর্যন্ত কলাপসিকল গেট বন্ধ রাখা হয়। তারপরও যদি কোনও ছাত্র এধরনের সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তাহলে আমাদের শিক্ষকরা স্পটে গিয়ে তাদের নিয়ে আসেন।
এ ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের কলেজ পড়–য়া ছাত্ররা সাধারনত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।
আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে গড়ে ওঠা রেষ্টুরেন্টগুলোতে খেতে গিয়েও একে অন্যের সঙ্গে ঝগরার সৃষ্টি করে পরবর্তিতে মারামারি-কাটাকাটি পর্যায়ে চলে যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।