আমরা হেরে যাইনি। এশিয়া কাপ না জিতলেও তোমরা আমাদের হৃদয় জয় করেছ। আমরা গর্বিত ইলিয়াস আলীর ফেইসবুক একাউন্ট বিএনপির নিখোঁজ নেতা ইলিয়াস আলীর মোবাইল ফোন চালু পাওয়ার খবরটিও গুজব হিসেবে প্রমাণিত। র্যাব বলে দিয়েছে ইলিয়াস আলীর মোবাইল ফোনটি তিনি নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই বন্ধ রয়েছে। এদিকে মোবাইল ফোন চালু থাকার গুজবের রেশ কাটার আগেই এসেছে নতুন খবর ‘ইলিয়াস আলী তার ফেসবুকে সক্রিয়!’ অনেকেই দেখেছেন ইলিয়াস আলীর ফেসবুক নিয়মিত আপডেট হচ্ছে।
তার পেজে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন ছবি, খবর।
এই আলোচনা যখন ডালপালা গজাচ্ছে তখন অনুসন্ধানে জানা গেছে এম ইলিয়াস আলীকে ফেসবুকে খুঁজলে পাওয়া যাবে তার নামে একাধিক ফেসবুক আইডি। আর এগুলো চালুও আছে; ছবি, কথাসহ প্রাণবন্ত একাউন্ট। একটি একাউন্টের প্রচ্ছদে প্রোফাইল ফটোতে ইলিয়াস আলীকে দেখা যাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে। এই একাউন্টে বন্ধুর সংখ্যা শুক্রবার পর্যন্ত ২৮৬ জন।
গত ১৩ এপ্রিল এই একাউন্টে সর্বশেষ পোস্ট করা হয় ব্রিটিশ সংসদ সদস্য মাইকেল নেচারের সঙ্গে ইলিয়াস আলীর আলাপচারিতার ছবি। এরপর আর কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি একাউন্ট হোল্ডারের পক্ষ থেকে। অবশ্য এরপর ওই সাইটে ট্যাগ হয়েছে বেশ কিছু ছবি ও পোস্ট। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা জানেন, বন্ধুরাও এ পোস্ট বা ট্যাগ দিতে পারেন। অপর একাউন্টের প্রচ্ছদে প্রোফাইল ফটোতে এম ইলিয়াস আলী বক্তব্য রাখছেন তার একটি ছবি।
এই একাউন্টে বন্ধুর সংখ্যা ২ হাজার ৭৪৭ জন। এর অধিকাংশ তথ্যই লুকানো আছে, যা একাউন্টের মালিকের অনুমতি ছাড়া বা বন্ধু না হলে দেখা সম্ভব নয়। স্বাভাবিকভাবেই ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অনেকেই তাদের তথ্য অনেকের কাছে গোপন রাখেন। নানাদিক বিবেচনায় এই আইডিটি সত্যি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করছেন ফেসবুকের একাধিক নিয়মিত ব্যবহারকারী।
এছাড়া ইলিয়াস আলীর দুটি ফ্যানপেজও পাওয়া গেলো।
একটি পেজে বন্ধু বা তাকে পছন্দকারীর সংখ্যা আট শতাধিক। অপর পেজটি ‘ইলিয়াস আলীর সন্ধান চাই’ নামে আছে। যদিও এই পেজটি তৈরি করা হয় ২০১১ সালে; কিন্তু নাম দেখেই বোঝা যাচ্ছে, বর্তমান নামটি সম্প্রতি দেয়া হয়েছে। অবশ্য ইলিয়াস আলীর ফেসবুক চালু আছে বলে এটা নিয়ে উচ্ছ্বসিত বা চমকিত হওয়ার কিছু যে নেই, তা সহজেই বুঝবেন যারা নিয়মিত ফেসবুক ব্যবহার করেন তারা। যে কেউ অন্যের একাউন্টে কোনো কিছু পোস্ট করতে পারেন বা কোনো ছবিতে অন্যকে ট্যাগ করতে পারেন এবং কোনো মন্তব্যও করতে পারেন, যদি না একাউন্টের মালিক নিজে থেকে কাউকে এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে আগে থেকেই ব্লক করে না রাখেন।
আর সেটাই এখন চলছে ইলিয়াস আলীর ফেসবুকে। তার সঙ্গে যারা এই সাইটে বন্ধু হিসেবে যুক্ত আছেন তারাই কোনো ছবিতে তাকে ট্যাগ করছেন বা কোনো মন্তব্য করছেন। এতোসব আইডির মধ্যে কোনটি ইলিয়াস আলীর নিজের করা জানতে চাইলে ইলিয়াসের বড় ছেলে আবরার ইলিয়াস অর্নব জানায়, তার বাবা একটি মাত্র একাউন্ট ব্যবহার করতেন এবং নিজেই সেটি পরিচালনা করতেন। অন্যগুলো তার ভক্তরা পরিচালনা করতেন বা করেন। স.রষরধংধষর@মসধরষ.পড়স -এ ক্লিক করলেই ইলিয়াসের নিজের করা আইডিতে বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠানো যাবে বলে জানান আবরার অর্নব।
অর্নব জানায়, তার বাবার একাউন্টের পাসওয়ার্ড তার জানা আছে; কিন্তু কখনো সেটি ব্যবহার করা হয়নি।
ইলিয়াস আলীর ভাই আসকির আলী বলেন, যে হারে নানা গুজব আর মিথ্যা রটনা রটছে, তাতে ভয় পাচ্ছি। ভাইয়ার নামে মিথ্যা আইডি খুলে কেউ আবার আজেবাজে কিছু করে কিনা। ফেসবুকে বন্ধু হিসেবে কাউকে পেতে চেয়ে অনুরোধ পাঠানো যায়; কিন্তু অপরপক্ষ যদি রাজি না থাকে তাহলে ইউজার হিসেবে কাক্সিক্ষত মানুষটির কর্মকা- যতোটুকু তিনি সকলের জন্য ওপেন রাখেন তা দেখা যায়। সেই হিসেবে জননেতাদের ফেসবুকের গ্রাহক সংখ্যাও থাকে অনেক।
কেউ কেউ আবার জননেতার নামে নিজেই একটি ফেসবুক চালু করে দেন। যার এডমিন-পাসওয়ার্ড তার কাছেই থাকে। ইলিয়াস আলীর উপরোল্লিখিত প্রথম ফেসবুক একাউন্টটি সেরকমই কিছু একটা। তবে এটিও আসকির আলীর অনুমতি নিয়ে লন্ডন থেকে পরিচালিত একটি সাইট। আসকির আলী জানান, ইলিয়াস আলীর ফেসবুক তৎপরতা দেখে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই।
কারণ এগুলো সকলেরই জানা। তবে সত্যি যদি এমন হতো! ভাইয়া হঠাৎ ফেসবুকে জানিয়ে দিলেন, আমি ভালো আছি, বাড়ির পথে রওনা করেছি! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।