১. লিখন দ্রুত বাসায় চলে আসলো। কিছু ভাল লাগছিল না। অপেক্ষার সময় যেন যেতে চায় না। যদিও ভাল কিছুর জন্য অপেক্ষা করছে না ও। নতুন কেনা I Phone এ কিছু একটা আছে যা দেখার জন্য ও অস্থির।
আর অন্য সব তরুণের মত ওর Phone এর একটা বড় অংশ জুড়ে আছে pornography. এটা সবার কাছেই থাকে, না থাকাটাই যেন অস্বাভাবিক !!!!!!! বর্তমান যুগ ইন্টারনেট এর যুগ, ক্লিক করলেই সব পাওয়া যায়। গুগল এ সার্চ করলেই হাতের মুঠোয় সব পাওয়া যায়। লিখন তাই নিয়মিত pornography ডাউন লোড করে। দেশি বিদেশি কত সংগ্রহ আছে ওর কাছে। তবে আজকের জিনিস টা ডিফারেন্ট, নিঃসন্দেহে।
২.রোজ সকালের মত সেদিনও চুলে জেল, হাতে অসংখ্য রাবার ব্যান্ড, পায়ে লাল রঙের স্নিকার পরে ইউনিভার্সিটি তে যায় লিখন। ক্যাম্পাস টা গুলশানে। ক্যাফেটেরিয়াতে দেখা হয় ইকবাল এর সাথে। ইকবাল একটি মেয়ের সাথে ফোন এ কথা বলছিলো। ফেসবুক এ পরিচয় ।
নাম কান্তা, থাকে উত্তরাতে। যদিও মেয়ের নাম পরিচয় সব ভুয়া বলে ওর ধারণা কিন্তু তাতে কি আসে যায়!!!! ইকবাল যেতেই বলে দোস্ত ব্লুটুথ টা ওপেন কর। জটিল জিনিস আছে। লিখন ব্লুটুথ টা ওপেন করে, কারণ ও জানে এর কাছ থেকে ভাল জিনিস পাওয়া যায়। ইকবাল একটা অশ্লীল হাসি দেয়।
লিখন এর মানে জানে। খুব ভাল করেই জানে।
৩. রাতে শোবার সময় দরজাটা একটু ভিরিয়ে দেয় লিখন। আর ফোন টা ওপেন করে। যা ভেবেছিল তাই।
বাংলাদেশী কালেকশন। আসলেই ইকবাল এর জুরি নেই। তবে এবার হতবাক হয়ে গেল সে। এটা নরমাল কোন সেক্স কালেকশন না। এটা একটা রেপ অর্থাৎ একটা ধর্ষণ এর ভিডিও।
তাও যাকে বলে গ্যাং রেপ। মেয়েটার বয়স কত হবে? ১৩ বা ১৪। এর বেশি না । স্কুল ড্রেস পরা। একটি রুমের ভেতর আটকে রেখেছে।
মোট ৫ জন ধর্ষক। তাদের বয়স ২০ এর মত। মেয়েটা বাচার জন্য চিৎকার করছে, হাত পা ধরছে। কিন্তু তার চিৎকার চার দেয়ালে আটকা পরে যায়। তাদের একজন মোবাইল ফোনে ভিডিও করার মহান দায়িত্ব পালন করছে।
লিকন এর খারাপ লাগার বদলে বিকৃত আনন্দ পায়। যে আনন্দকে সে উপভোগ করে???
৪. রিয়া কলেজ পৌঁচে একটু অবাক হয়ে যায়। সারা কলেজ একদম ফাকা। কোথাও কোন জনমানব নেই। তার জানার কথা না যে হরতাল এর জন্য আজকের ক্লাস ক্যানসেল করা হয়েছে।
রিয়া তিন তালার দিকে যায়, যেখানে তার ক্লাস হয়। কিছু বহিরাগত ছেলে তখন আড্ডায় মশগুল ছিল। তারা দেখল যে একটা মেয়ে এদিকেই আছেসে। তারা আড্ডা বাদ দিয়ে রিয়ার দিকে এগুতে থাকে, দ্রুত গতিতে। মুখে বিকৃত হাসি, মনে বিকৃত আনন্দ।
........................ রিয়ার আর একটি পরিচয় আছে। সে লিখন এর বোন, বড় আদরের ছোট বোন।
৫. লিখন লাফ দিয়ে বিছানা থেকে উঠে। সারা শরীর ঘেমে একাকার। দ্রত গতিতে শ্বাস প্রশ্বাস চলছে।
দৌড়ে রিয়ার ঘরে যায়। ছোট্ট মেয়েটা তখনো ঘুম। এই মাত্র তার উপলব্ধি হয় যে সে স্বপ্ন দেখছিল। তবু সে স্বাভাবিক হতে পারে না। রিয়ার পাশে গিয়ে বসে।
তার মাথাই হাত রাখে। রিয়া চোখ মেলে তাকায়। উঠে মিষ্টি একটা হাসি দেয়। তারপর লিখন এর কাঁধে মাথা রেখে আবার চোখ বন্ধ করে। একেবারে নিশ্চিন্তে।
৬. লিখন আয়নার সামনে গিয়ে দাড়ায়। আয়না দেখে তার হাত পা কাঁপতে থাকে। কারণ আয়নায় মানুষ নয়, একজন জানোয়ারের ছবি ভেসে আছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।