১৭ বছরের মেয়ে ঐশী, দেখতে শুনতে ভালই কিন্তু কি করল সে?
আসুন যেনে নি তার কিছু কার্যকলাপ
ঐশী রহমান ধানমন্ডির অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ও লেভের শিক্ষার্থী। অসৎ সঙ্গ তার জীবনে ডেকে নিয়ে আসে বিপর্যয়। ইংরেজি মাধ্যম পড়ুয়া বন্ধু-বান্ধবদের পাল্লায় পড়ে আসত্ত হয়ে পড়ে ইয়াবায়। অন্যান্য মাদকদ্রব্যও তার নিত্যসঙ্গী। বযফ্রেন্ডের সংখ্যাও বাড়তে থাকে তার।
গভীর রাত পর্যন্ত বাসার বাইরে কাটানোও পরিণত হয় অভ্যাসে। কখনও কখনও রাতে বয়ফ্রেন্ডকেও নিয়ে আসতো বাসায়। একপর্যায়ে বিষয়টি নজরে পড়ে বামা-মায়ের।
ঐশী ছিল বেপরোয়া প্রকৃতির। বখাটে ছেলেদের সঙ্গে মেলামেশা করতো।
তাদের সঙ্গে নিয়মিত ইয়াবা সেবন করতো। ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘ও লেভেল’ পড়ুয়া ঐশীর আচরণে সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধের অভাব ছিল।
মাদকাসক্ত হয়ে পড়ায় তার আচরণ ছিল খিটখিটে। এসব বিষয় নিয়ে মায়ের সঙ্গে প্রায়ই তার দ্বন্দ্ব ও ঝগড়া বাধতো। পিতা পুলিশের পরিদর্শক হওয়ায় বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকতেন।
ছেলেমেয়েদের খোঁজখবর নিতে পারতেন না। কিন্তু মেয়ের এমন আচরণের তথ্য পাওয়ার পর তিনি মেয়ের বাইরে যাওয়া বন্ধ করে দেন। এ নিয়ে পিতা-মাতা উভয়ের সঙ্গে ঐশী ও তার কথিত বন্ধুদের দূরত্ব তৈরি হয়।
না জানিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরাফেরা করা এবং ইয়াবা সেবনের কারণে তাকে বাসায় আটকে রাখা হতো। মা-বাবার এই কড়াকড়ি শাসন তাকে ক্ষিপ্ত করে তোলে।
একপর্যায়ে সে বন্ধুদের নিয়ে মা-বাবাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে। খুনের আগে মা-বাবাকে কফির সঙ্গে চেতনানাশক খাওয়ানো হয়।
Dedicated 2 মিতা হক অদিতি ফাল্গুনী
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।