যেথায় পড়শী বসত করে, আমি একদিন ও না দেখিলাম তারে।
আগের পর্বে ইউরোপের মেয়েদের সাথে বাংলাদেশের মেয়েদের কিছু পার্থক্য তুলে ধরেছিলাম। সেটি ছিল তাদের রূপ এবং ফিগার সচেতনতা নিয়ে।
এই পর্বে আরো কিছু পার্থক্য আলোচনা করা হলো।
আগের পর্বের লিঙ্ক
View this link
আচার-আচরণঃ
ইউরোপের তরুণীরা সাধারণতঃ খুব উচ্ছল প্রকৃতির হয়ে থাকে।
অসাধারণ সুন্দরী হবার পরেও তাদের মধ্যে ভাব বা অহংকার একদমই নেই (মনে মনে থাকে কি না জানি না। ) রাস্তায় অচেনা এরকম কাউকে কিছু জিজ্ঞাসা করলে, বেশিরভাগ মেয়েই খুব সুন্দর করে মিষ্টি হেসে তার উত্তর দেয়। যতক্ষণ উত্তর পেয়ে সন্তুষ্ট না হয়, ততক্ষণ চেষ্টা করে তাকে বুঝিয়ে বলতে। আর উত্তর না জানা থাকলে, সবিনয়ে অক্ষমতার কথা জানিয়ে দেয়। এ রকম উত্তম আচরন তারা কোথায় শিখে, আল্লাহই জানে।
এদেরকে কিছুটা অলস প্রকৃতির মনে হয়েছে। নিজেকে নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকে। স্বচ্ছ মনের অধিকারী। নিজের টা ছাড়া, অন্যের ব্যাপার নিয়ে তেমন মাথা ঘামায় না। তারা ঘুরতে খুব পছন্দ করে।
সময়-সুযোগ হলেই বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে বের হয়।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ মেয়ের আচরণ ও অনেক ভাল। তবে, গড়ে এদেশের তরুণীরা কিছুটা গম্ভীর প্রকৃতির হয়ে থাকে। এরা ঘরে-বাইরে যথেষ্ট পরিশ্রমী। পরিবার, বন্ধুদের অনেক সময় দেয়।
এরা ঘুরাঘুরিতে কম অভ্যস্ত। অর্থ-কড়ি সঞ্চয়ের দিকে ব্যাপক ঝোঁক লক্ষ্য করা যায়। যারা তুলনামূলক গড়ের থেকে বেশি সুন্দরী, তাদের মধ্যে ব্যাপক অহংকার দেখা যায়। অপরিচিত বা স্বল্প পরিচিত কেউ তাকে কোন প্রশ্ন করলে বা কোন ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে, তাদের ভাব আরো বেড়ে যায়। আচার-আচরণ হয় রুক্ষ প্রকৃতির।
কেউ কেউ আবার প্রচুর আহ্লাদী টাইপেরও হয়। মনের ভেতরে একটু প্যাঁচগোছ বেশী। কোনকিছু সহজ ভাবে চিন্তা করতে পারে না। এদের মধ্যে, অন্যের ব্যাপার নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়।
পারিবারিক মূল্যবোধঃ
ইউরোপের মেয়েরা স্বাধীনচেতা।
তাদের বেশিরভাগ ই ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা করে। অনেকেরই সংসারের প্রতি আগ্রহ আছে, অনেক আবার ঘর বাঁধতে চায় না। সংসার, কাচ্চা-বাচ্চা ঝামেলা মনে করে। তেমন একটা সহনশীল না। বয়-ফ্রেন্ড বা জীবনসঙ্গী পছন্দ না হলে, পাল্টিয়ে ফেলতে তেমন একটা দ্বিধা করে না।
বয়ফ্রেন্ডের/হাজব্যান্ডের মা-বাবা-ভাই-বোন দের সম্মান করে। আর এই সকল সম্পর্কের মধ্যে কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট ও অনেক কম। তাই সুসম্পর্ক বজায় রাখাটা অনেক সহজ হয়।
বাংলাদেশের মেয়েরা সাধারণভাবে সংসারমুখী। ক্যারিয়ার নিয়ে তেমন একটা উদ্বেগ এদের মধ্যে সচরাচর লক্ষ্য করা যায় না।
ইদানিং, দেশের মেয়েদের ভেতর আত্মকেন্দ্রিকতা বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাপকভাবে। এরা নিজের এবং নিজের স্বামী-সন্তান ছাড়া আর কাউকে সহ্য করতে পারে না। স্বামীর বাবা-মা, ভাই-বোন দের কে বোঝা মনে করে এবং তাদের কাছ থেকে স্বামীকে দূরে দূরে রাখার চেষ্টা করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বামীর আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখে না।
বাংলাদেশের মেয়েরা আস্তে আস্তে কর্মমূখী হচ্ছে।
এটা ভাল দিক। তবে এদের সবচেয়ে ভাল যে গুণ, সেটা হচ্ছে, পারিবারিক মূল্যবোধ। এরা পরিবারকে খুব গুরুত্ব দেয়। পরিবার রক্ষার জন্য এরা জীবন-যৌবনের আরাম-আয়েশ ত্যাগ করতে এতটুকুও দ্বিধা করে না। এরা খুবই সহনশীল।
জীবনসঙ্গীর সাথে মানিয়ে চলতে অনেক অন্যায় ও মুখ বুঝে সহ্য করে নেয়। এ দূর্লভ গূণ বা দোষের কারণেই আজো আমাদের দেশে পরিবার প্রথা মাথা উঁচু করে টিকে আছে। এই কারণে তারা স্যালুট পাবার যোগ্য।
----------------চলবে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।