মারদাঙ্গা ফিল্ম দেখে নায়ক হবার বাসনা জাগে শিশু মনে। আর সুযোগ এসে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গেলে। ইদানিং বেশ ভালোই উপভোগ(!) করছে পেপার আর টিভি দর্শকরা ভার্সিটি’স প্রযোজিত, লীগ কিংবা দল পরিচালিত উদীয়মান তারকাদের এ্যাকশন ধর্মী পারফরম্যান্স!! টিভিতে দেখে (কখনও বা লাইভ) রক্ত ঝরে সন্তানের; আর মা-বাবা নির্বাক পাথর হয়ে যায়, কখনও শরীর নিথর হয়ে পড়ে। আদরের দুলাল- তোমার জন্য মা ভালো শাড়ীটি বেশী দামে কিনতে পারে নাই। বাবা একটা লুঙ্গি আর এক গামছাতেই পার করেছে বছর।
তোমাকে দিয়েছে তাঁর সীমিত উপার্জনের সিংহ ভাগ। তুমি যে মানুষ (!) হবে- তাই। কোন পাপে গ্রেফতার করেছিল মা-বাবাকে? যে তোমার মত হতভাগ্য সন্তানের জনক-জননী- যার লাশ রাস্তায় কুড়াতে হয়, সেফটিক ট্যাংকি থেকে মেথর দিয়ে তুলতে হয়? তোমরা কত মহানায়ক? ৫ তলার ছাদ থেকে ইদুরের বাচ্চার মত ছিটকে ফেলে দাও তোমাদেরই সতীর্থকে। মাঠে সারি সারি নিথর দেহগুলো দেখে পত্রিকার দর্শক বিমোহিত না হয়ে পারে? তোমরা নিজেরা যা-ই কর। শিক্ষক কে মেরোনা।
তাহলে তুমি ও মরবে, বেঁচে থাকলেও মরবে। পুলিশকে মেরোনা। ও বেচারা পেটের দায়ে লাঠি হাতে নেয়। ওর একটা শিশু কন্যা আছে। অপেক্ষায় থাকে বাবা অফিস করে এসে গালে একটা আদর দিবে।
কলম-খাতার বদলে তোমাদের হাতে দা, বটি, ছুরি, চাপাতি, রড, হকিস্টিক, পিস্তল সহ ছবি দেখে সবাই আমরা দোষ দিই তোমাদের। কিন্তু না! তোমাদের কে যারা ব্যবহার করছে তাদের মানসিকতার পরিবর্তন আগে আনতে হবে। তোমাদের বুঝতে হবে অন্যের প্রয়োজনে নিজের মহামূল্যবান জীবনটার কতটুকু ব্যবহার করা যায়? নায্য দাবী আদায়ের ভালো ভালো কৌশল ইতিমধ্যে অনেক আবিস্কৃত হয়েছে। র্আও হবে। তবে মারদাঙ্গাগীরি ছাত্রদের মানায় না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।