বাংলায় কথা বলি,বাংলায় লিখন লিখি, বাংলায় চিন্তা করি, বাংলায় স্বপ্ন দেখি। আমার অস্তিত্ব জুড়ে বাংলা ভাষা, বাংলাদেশ। মহান আল্লাহ পাকের খাস গজব যেন নেমে এসেছে যাত্রাবাড়ীতে!
সকাল বেলা ৬:৫০ এ বেশ ফিটফাট হয়ে বাসা থেকে বের হলাম । লক্ষ্য নির্ধারিত সময়ে কর্মস্থলে পৌছানো। একাজটি অনেক অনেক কঠিন।
শনির আখড়ায় শনি তো অনেক আগে থেকেই । এখানে দৌড় দিয়ে বাংলার এক মহান সংসদ সদস্য বিশেষ খেতাবে ভূষিত হয়েছিলেন। সেই শনির আখড়া থেকে যাত্রা শুরু। আমার স্মার্ট মোবাইল না থাকায় ছবি পোস্টাতে পারছি না।
আমার জুতো আর প্যান্ট কাদায় মেখে গেল।
৬ সিটের ভ্যানে উঠে পড়তে হল। এটা যে কত বড় ঝুকি পূর্ণ বাহন তা যারা এতে উঠেননি তারা বলতে পারবেন না। এক কিলো মিটারেরও কম রাস্তা দ্রুত বেগে পার হয়ে গেলাম ৪০ মিনিটের একটু বেশী সময়ে।
মাথার উপর বিশাল কংক্রিটের উড়াল সেতু। ভেঙে পড়তে ও তো পারে।
সেই ভয় নেই। যাত্রাবাড়ী পৌছানোটাই লক্ষ্য। অনেকেই রাগে গজ গজ করতে লাগলেন। এতো জ্যাম কেন? এর চেয়ে তো হেটে গেলেই ভাল। কিন্তু হেটে যে যাবেন রাস্তা কই পাবেন।
পুরো রাস্তায় ২ ইঞ্চি কাদার স্তর জমে গেছে।
ধৈর্য্যের পরীক্ষায় ফেল করে যখন যাত্রাবাড়ী পৌছালাম তখন ৮টা ১০ বাজে। অফিসের একটা গাড়ী থাকে ৭টা ৪৫ এর মধ্যে। তার মানে আমি গাড়ী ফেল করে ফেলেছি। এখন উপায় পাবলিক বাস।
ভ্যান থেকে নীচে নামতে মন চাইছে না। থক থকে কাদা। আমার যদি কাজের জন্য দফতরে যেতে না হত তাহলে আমাকে ৫০০০ টাকা নগদ দিলেও আমি এই কাদায় জুতা ডুবিয়ে নামতাম না। আমার মতো অনেকেই কেউ পেটের দায়ে , কেউ বসের বকার ভয়ে সানন্দে নতুন চকচকে জুতো পরে কাদায় ঝাপিয়ে পড়ল। কয়েক মিনিটের মধ্যেই পায়ের জুতা আর চিনতে পারলমা না।
চারপাশে শয়ে শয়ে মানুষ দাড়িয়ে আছে। সবাই কাজের উদ্দেশ্যে যাবে। কিন্তু গাড়ী নেই।
মাথার উপর হালকা বৃষ্টি নামতে শুরু করল। নীচে কাদার ছড়াছড়ি।
কি ভাবে যাব কর্মক্ষেত্রে। !!!
(আজ ১০ সেপ্টেম্বর ২০১২, সোম বার আমার সকাল বেলার বাজে অভিজ্ঞতা। বিগত সাড়ে ৫ বছরে এ রকম বাজে অভিজ্ঞতা আর হয়নি। )
"... মনে মনে ভাবি হে মাবুদে এলাহী, তোমার দোযখ কি এর চাইতে আযাবের। শুনছি দোযকের ফেরস্তারা যখন দোযখবাসীদের আর কোন আযাব দেয়ার কলা কৌশল খুইজা পায়না তখন ঢাকার শহরে তারা আইসা দেখে কত রকম নতুন নতুন আযাব আমাদের উপর নাযেল হইছৈ, ফিরে গিয়ে সেইগুলা নতুন করে প্রয়োগ করে....... ঢাকা শহর ছাড়ার অপেক্ষায় আছি প্রতি দিন প্রতি ক্ষন.... " ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।