আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।
আল্লাহর সৃষ্টি সূর্য - যা আল্লাহর অপরিসীম জ্ঞান ও ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ।
আল-কুরআনে আল্লাহ বলেন,
"আল্লাহ সূর্যকে একটি সমুজ্জ্বল প্রদীপরূপে সৃষ্টি করেছেন । "
(সূরা নূহঃআয়াত-১৬)
সূর্য ও পৃথিবীর আবর্তনে দিন ও রাতের সৃষ্টি হয় ।
সূর্য-ই হলো পৃথিবীর আলো ও তাপের উৎস । সূর্য না থাকলে পৃথিবীতে জীবনের বিকাশ হতো না । শুধু রাতই থাকতো এবং পৃথিবী একটি চরম ঠান্ডা গ্রহ হতো ।
আবার সূর্য ও পৃথিবী যদি আর্বতিত না হতো তাহলে পৃথিবীর এক পাশ সব সময় অন্ধকার এবং আরেকপাশ সব সময় আলো থাকত । যা মানুষের বসবাসের উপযোগী হতো না ।
আর যদি মানুষ থাকতোও তবু তাদের অনেক সমস্যার সৃষ্টি হতো । রাত্রিতে মানুষ বিশ্রাম করে দিনের কাজের জন্য নতুন করে শক্তি সন্চয় করে । যদি রাত্রি না আসতো মানুষ বিশ্রামের অভাবে অসুস্হ হয়ে যেত এবং শরীরে কর্ম উদ্দীপনা থাকত না । মানুষের জীবনে আনন্দ থাকত না । সব সময় এক অপরিসীম ক্লান্তি বয়ে বেড়াত ।
সৃষ্টির এরূপ সব কিছুর সুন্দর ভাবে চলা আল্লাহর অপরিসীম জ্ঞান ও প্রজ্ঞার ই প্রকাশ । আল্লাহ সৃষ্টি করেই ক্ষান্ত হন নি তিনি তা সুন্দর করে নিয়ন্ত্রণও করছেন । যেমনঃ যে কোন সিস্টেম তৈরী করলেই হলো না তা চালূ রাখতে হয় এবং মেইনটেইনও করতে হয় । না হয় তা টিকে থাকেনা ।
এর প্রতি ইঙ্গিত করে কুরআনে আল্লাহপাক বলেন,
"(হে মুহাম্মদ) তুমি লোকদেরকে বলে দাও ! যদি আল্লাহ তোমাদের প্রতি কেয়ামত পর্যন্ত অন্ধকার রাত করে দিতেন তবে কে ছিলো তোমাদের এক আল্লাহ ছাড়া অন্য প্রভূ, যে তোমাদের জন্য আলোর ব্যবস্হা করতো ? (সূরা কাসাসঃআয়াত-৭)
এখানে আল্লাহ মানব জাতিকে প্রশ্ন করছেন, আল্লাহ যদি মানুষের আলোর ব্যবস্হা না করতেন তবে অন্য কোন প্রভু আছে কি যে তা করতে পারত ? কেউ নেই ।
এখানে একটি বিষয় লক্ষ্যনীয় যে, আল্লাহ বলেছেন যে এই আলোর ব্যবস্হা করতে মানুষকে অন্য একজন প্রভুর সন্ধান করতে হতো । মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় যে সে নিজেই তা করবে । এটা মানুষের সাধ্যের বাইরে এরূপ সূর্যের মতো একটি আলোর উৎস তৈরী করা । আল্লাহ কিন্তু বলেন নি যে - তোমরা কি তা করতে পারতে ? বরং তিনি বলেছেন যে অন্য প্রভূ । প্রশ্নের ধরণ দেখেও দিয়েও কিন্তু আপনি একজনের জ্ঞানের বহর আচ করতে পারবেন ।
প্রশ্ন বোকার মত হতে পারে আবার জ্ঞানীর মতও হতে পারে । কোরআনে এরকম অনেক প্রশ্ন আছে । এসব প্রশ্ন বিশ্লেষণ করেও যে কেউ আল্লাহর সন্ধান পেয়ে যেতে পারে ।
আল-কুরআনে আল্লাহ বলেন,
"সেই আল্লাহ মহা মহিমাময়, যিনি আসমানে কক্ষপথ সৃষ্টি করেছেন আর বড় বড় নক্ষত্র ও উজ্জ্বল চন্দ্র সৃষ্টি করেছেন । " (সূরা ফোরকানঃ৬১)
নিম্নের ভিডিওতে দেখতে পারবেন মহাবিশ্বে আল্লাহ কত বড় বড় নক্ষত্র সৃষ্টি করেছেন ।
কুরআন যখন নাযিল হয় তখন মানুষ জানতই না যে সূর্যের থেকে বড় কোন নক্ষত্র আছে । মানুষ আল্লাহকে না দেখে বিশ্বাস করতে চায় না অথচ আল্লাহ মানুষকে তার সৃষ্টি দেখে চিনতে বলেছেন । মানুষের পক্ষে তো আল্লাহর সৃষ্টিকে-ই ঠিক মত বুঝা সম্ভব না তারা কি করে আল্লাহকে দেখতে চায় ?
পৃথিবীর বাইরে যে মহাবিশ্ব এত বড় তা বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন বেশী দিন হয় নি । আগে মানুষের ধারণাও ছিলোনা মহাবিশ্ব কত বড় । কিন্তু কুরআন ও হাদিসে এরকম কোন বৈপরীত্য পাবেন না যে তখনকার মানুষের ধারণা অনুযায়ী কোন কথা বলা হয়েছে ।
যেমন হাদীসে আছে, একজন সাধারণ বেহেশ্তী যে স্হান লাভ করবে , তা সমগ্র দুনিয়া ও দুনিয়ার দশগুন স্হানের সমান হবে । -মুসলিম, মেশকাত ।
একটু চিন্তুা করে দেখুন কত বিশাল - কত মানুষ জান্নাতী হবে । সে তুলনায় এত জায়গা কোথায় । এবার মহাবিশ্বের দিকে তাকান ।
জায়াগার কোন অভাব নেই ।
সুতরাং প্রতিটি কথা বর্তমান আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে মিলে যায় । কোন সাংঘর্ষিক কথা নেই । অথচ কুরআন নাযিল হয়েছে একজন নিরক্ষর নবী এবং একটি এমন এলাকায় যেখানে শিক্ষার কোন পরিবেশই ছিলোনা । না মহানবী (সাঃ) শিক্ষিত ছিলেন না ওনার সাহাবীরা শিক্ষিত ছিলো ।
এটাই আল্লাহর নিদর্শন তারপরও মানুষ যদি বিশ্বাস না করে , যুক্তি না খাটায় সেজন্য হাশরের ময়দানে আল্লাহকে দোষারোপ করে মুক্তি পাওয়া যাবেনা । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।