নোয়াখালীর উপকূলীয় এলাকার জলদস্যু সেলিম বাহিনীর প্রধান ভাটাজাইল্যা সেলিমসহ ছয় জলদস্যু গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন সেলিমের আরও চার সহযোগী। আজ শুক্রবার সুবর্ণচরের পূর্বচরবাটা ইউনিয়নের সেলিমবাজার ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ডাকাতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন সুবর্ণচরের পূর্বচরবাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমজিদ গ্রামের ছায়েদুল হকের ছেলে ভাটাজাইল্যা সেলিম (৩৮), চট্টগ্রামের কালা শংকর (২৮) ও দেলোয়ার (৩২)।
নিহত অপর তিনজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতদের মধ্যে রুবেল (২৮) ও হান্নানের (২৯) পরিচয় জানা গেছে। বাকিদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সেলিম গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর সদস্যদের নিয়ে সেলিমবাজার ও পার্শ্ববর্তী কাজির দোকান এলাকায় মহড়া দেন এবং জেলেদের নদীতে নামার আগে তাঁর কাছ থেকে টোকেন সংগ্রহ করতে বলেন।
আজ বেলা ১১টার দিকে দলবল নিয়ে সেলিম আবার ওই বাজারে যান। এ খবরে সেলিমবাজার ও আশেপাশের ভূমিহীন এবং জেলেরা চারদিক থেকে তাঁদের ঘেরাও করেন। একপর্যায়ে জনতা সেলিমসহ ছয়জনকে ধরে পিটুনি দিলে ঘটনাস্থলে তাঁরা মারা যান। একই সময় পার্শ্ববর্তী কাজির দোকানের কাছে জনতা সেলিমের চার সহযোগীকে ধরে পিটুনি দেয়।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, জলদস্যুদের ঘেরাওয়ের খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
কিন্তু পুলিশ পৌঁছার আগেই উত্তেজিত জনতা ছয় জলদস্যুকে পিটিয়ে মেরে ফেলে এবং চারজনকে আহত করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নিষ্কৃতি চাকমা প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, নিহত ও আহতদের উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি অস্ত্র ও বেশকিছু গুলি এবং জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের পাঁচ শতাধিক টোকেন উদ্ধার করেছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।