নোয়াখালী সদর উপজেলার কালাদরাফ ইউনিয়নের মাদারতলী গ্রামের নারকেল বাড়িতে মঙ্গলবার বিকেলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মো: স্বপন (২৫) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এসময় আহত হয়েছেন স্বপনের পিতা আবদুল মালেক (৫০), মা হোসনেয়ারা বেগম (৪৫) ও আবদুল মানিক (৩৭)।
এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এলাকাবাসী পাঁচজনকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে।
আটককৃতরা হলো, জুয়েল (২৩), নুরউদ্দিন(২৪), হাসিনা আক্তার (২৩), আবদুল মান্নান মেস্তরী (৪৭) ও মো: আরজু।
সুধারাম মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন তরফদার জানান, মাদামতলী গ্রামের নারিকেল ব্যাপারী বাড়ির স্বপনের স্ত্রী বিউটির সাথে সোমবার সন্ধ্যায় একই বাড়ির ইসমাইলের স্ত্রী হাসিনা আক্তারের ঝগড়া হয়।
এ ঘটনায় রাতে বাড়ির লোকজন তাঁদের মধ্যে বিবাদ মিমাংসা করে দেয়। কিন্তু হাসিনা তার পিতা আবদুল মন্নান মেস্তরীকে তাকে বিউটি ও তার স্বামী স্বপন মারধর করেছে বলে মিথ্যা তথ্য দেয়।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে আবদুল মন্নান মেস্তরী মঙ্গলবার দুপুর দু’টায় সালেপুর এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী জুয়েল (২৩), নুরউদ্দিন (২৪), হাসিনা আক্তার (২৩), আবদুল মান্নান মেস্তরী (৪৭) ও মো: আরজুকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওই বাড়িতে যায়।
স্বপনকে সামনে পেয়ে তাকে মাথায় লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলে স্বপন মারা যায়।
স্বপনকে বাচাঁতে তার পিতা আবদুল মালেক, মা হোসনেয়ারা বেগম ও পাশবর্তী বাড়ির আবদুল মানিক সন্ত্রাসীরা তাদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। আহতদের নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে এলাকাবাসী পাঁচ সন্ত্রাসী আটক করে গণ ধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও ওসি জানান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।