প্রতিটি ব্যর্থ প্রেমই আমাকে নতুন অহঙ্কার দেয়, আমি মানুষ হিসেবে একটু একটু জ্ঞানী হয়ে উঠি, দুঃখ আমার মাথার চুল থেকে পায়ের আঙুল পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়, আমি সমস্ত মানুষ থেকে আলাদা হয়ে এক অচেনা রাস্তা দিয়ে ধীরে ধীরে হেঁটে যাই গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯:০০ টা । অফিস থেকে নীলক্ষেতে গিয়ে গাড়ি থেকে নামলাম। বিজিবি হেডকোয়াটারে যাবো। নীলক্ষেতে দাড়িয়ে রইলাম । কোন টেম্পু আসে না ।
যা আসে মাঝপথে লোক ভরে যায়। এভাবে আধাঘন্টা পার হয়ে গেল। কোন উপায় নাই। আমার সাথেও এক তরুনী টেম্পুতে উঠার চেষ্টা করল । সেও দুইবার ব্যর্থ হলো।
মন খারাপ করে দাড়িয়ে রইলাম। ক্লান্ত শরীর মেয়েটি জিজ্ঞেস করলো , ভাইয়া টেম্পু কি আর আসবে না । আমি বললাম , আসবে , তবে রাস্তা জ্যাম লেইট হবে। আমি আর তরুনীটি দাড়িয়ে গাড়ির জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষা করছি । গাড়ি আসে না।
পরে মেয়েটি জিজ্ঞেস করল , ভাইয়া আপনি কি ছাত্র। আমি বললাম, না ,পড়শোনা শেষ । এখন চাকুরীজীবী। জিজ্ঞেস করল কোথায় চাকুরী করি। সেটাও বললাম।
তারপর দুজনে চুপচাপ দাড়িয়ে টেম্পুর অপেক্ষা করলাম। টেম্পু আসে না । কিছুক্ষণ পর মেয়েটি বলল, ভাইয়া চলেন দুজনে শেয়ার করে রিকশা নেই । আমি চুপ করে রইলাম । মেয়েটির দিকে কয়েকবার তাকিয়ে দেখলাম ।
অনুমান করলাম ভাল মেয়ে না খারাপ মেয়ে । না, দেখলাম হাতে বই ,কলেজ ব্যাগ। একটু সাহস পেলাম। তারপর বললাম চলেন, এরপর অনেক কষ্টে একটা রিকশা নিলাম। এরপর নানা কথা হলো রিকশায়, মেয়েটি বদরুন্নেছায় তৃতীয় বর্ষে পড়ে আবার চাকুরী করে ।
পাশাপাশি একটি ইংরেজি কোর্স করে নীলক্ষেতে। অনেক বিষয়ে নিয়ে কথা । সেও নানা বিষয়ে প্রশ্ন করল। মেয়েটি রিকশায় আমার নাম্বার চেয়েছিল, না বলতে পারলাম না । দিয়ে দিলাম ।
আবার মনে ভয় হচ্ছিল , আজকাল অনেক নারীরা ব্লাক মেইল করে । নাকি তেমন কিছু হতে পারে। জিজ্ঞেস করল ফেসবুক ব্যবহার করি কিনা । বললাম করি , তবে এখন তেমন আর বসিনা । এবার গন্ত্যবে এসে পৌছলাম ।
আমি আগে নেমে মানিব্যাগ থেকে টাকা বের করার আগেই মেয়েটি টাকা বের করে রিকশাওয়ালাকে দিয়ে দিল। আমি বারবার নিষেধ করলাম । রিকশা ওয়ালাকে নিতে না বললাম । তবু্ও মেয়েটি টাকা দিতে দিল না । এরপর দুজনে টাটা বলে দু দিকে চলে গেলাম ।
রাতে বাসায় গেলাম , ১১টার মেয়েটি কল দিল । দু মিনিট কথা বলে, ব্যস্ত আছি বলে কেটে দিলাম । আজ বিকালে আবার দুইবার কল দিল , এক মিনিট কথা বলার আগেই বললাম আমি একটা অনুষ্ঠানে আছি..। পরে কথা বলবো। বুঝতে পারছিনা, শালার কোন বিপদে পড়লাম..আমার সরল মনে নাকি আবার গরল ঢালবে সে...
হায় রে নারী ....তোদের আসল রুপ চেনা বড় দায়..কাউকে ধোকা দেও আবার কারো ধোকায় পড়ে সর্বস্ব হারাও ????
ব্লগার ভাইয়েরা ,,,আমাকে একটা বুদ্ধি দেন, কি করা যায়.।
জীবনে এই প্রথম এরকম ঘটনার মুখোমুখি হলাম .....। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।