লিখি ড্রাগন এয়ারে শুয়ে আমি একটা অদ্ভুত স্বপ্ন দেখলাম। তখনই রিইমবার্কেশন ফর্ম দিয়ে জাগিয়ে গেল বিমান বালা। চাইনিজ এক্সেন্টে ইংলিশে বলল যে প্লেন নামবে কিছুক্ষণের মধ্যে।
আমার ভাবতেই ভাল লাগছে গতবারের সেই হোটেলটাতে আমি থাকবো। সৈকত থেকে অনতিদূরে ছিম ছাম পরিবেশ।
তবে গতবার যা ঘটেছিল সেটা মনে পড়ল। ঘটনা শুরু হয়েছিল সিম্পল ভাবে। আসলে কি বলবো, এত দেশ ঘুরে এসে বুড়ো বয়সে বাচ্চাদের মত কান্ড করলাম। হোটেলের এসি চলছিল ধীরগতিতে। ঠাণ্ডা বাড়িয়ে দিতে গোল নবটাকে বাম দিকে মোচড় দিয়েছি।
অমনি জোরটা এমন হল, প্লাস্টিকের বোতাম খুলে গেল। এসিটা বিকল হয়ে গেল। নিজের বোকামীতে আমি স্তব্ধ হয়ে যাই। ইলেকট্রনিক্স কি আমার সহ্য হয় না? কেউ না দেখিয়ে দিলে টিভির রিমোটে এখনো গন্ডগোল হয়। হোটেলগুলো দরজার যে ডিজিটাল কি থাকে পুশ করে অপেক্ষা করলেই খুলে যায়, অথচ আমি নিচ থেকে লোক ডেকে এনেছিলাম খুলে দিতে।
তখন রাত আটটা। আমি ডেস্কে ফোন করলাম যে এসি ঠিক করতে হবে। প্রচণ্ড গরম পড়েছে। তিন তারা হোটেল। ইংরেজি জানে।
কিন্তু কি বলে বুঝি না। আমিও বুঝি না উত্তরে কি বলবো। এত টুকু মর্মোদ্ধার করতে পারলাম যে রাত নয় টা থেকে ভোর সাতটা অব্দি ওদের রুম সার্ভিস নেই। এভাবেই রাত কাবার করতে হবে।
ইম্পোসিবল।
বললাম আমি, এ গরমে এসি ছাড়া কি রাত চলা অসম্ভব।
রাত সাড়ে নয়টায় একজন তরুণ বেল বাজালো। বলল, স্যার, আপনাকে উপর তলায় একটা রুমে জায়গা দেয়া হয়েছে।
সে এসিটাও সেট করে দিল। আর বলল পরদিন সকালে আগের রুমে চলে যেতে হবে।
আমি আলস্যে টাওয়েল টুথপেস্ট ছাড়া কিছুই আনি নি। বড় স্যুটকেস দুটো নিচেই রেখে এসেছিলাম। ঘুম আসছিল না। টিভির চ্যানেল ঘুরালাম। অল পেইড প্রোগ্রাম।
মুফতে পাওয়া চ্যানেল ভাল লাগল না। আমার সঙ্গে কিছু পড়ার বই থাকে। নিচের গিয়ে স্যুটকেস খুলে বই আনবো তারও শক্তি নেই। এসব দেশে হোটেলের সব রুমে একটা করে ইঞ্জিল বা বাইবেল রাখা থাকে। বিশেষত: পর্যটনের জন্য যারা হোটেলে আসে তারা নেড়ে চেড়ে পূন্য আর্জন করে।
কিছু না পেয়ে ওয়াল কেস থেকে অগত্যা বাইবেলটাই নামিয়ে আনলাম।
হোটেলের কাচের ওপাশে ক্যাসিনোর বাতি জ্বলছে, অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকে এ এলাকাটা। নৈশকালীন পরিবেশে লাল জোনাকীর ঝাঁকের মত গাড়ি দেখতে মন্দ লাগছিল না ।
সবুজ মলাটের বাইবেলটা সযত্নেই ছিল। ধুলো জমেছে পিছনের কভারে, মনে হল বহুদিন কেউ ধরেনি।
আমি পাতাটা খুলতেই একটা বিস্ময়কর কান্ড হলো। ভিতর থেকে ঝুন করে চাবির মত কিছু মাটিতে পড়লো। আমি ভাবেছিলাম মেটালিক বুকমার্ক। নুয়ে তুলে আনতে গিয়ে দেখি একি! অপূর্ব সুন্দর ঝলমলে এক পাটি কানের রিং! হাতের সামনে ধরে, উল্টে পাল্টে দেখে নিশ্চিত হলাম বেশ দামী অলঙ্কার। উপরে বরফি আকৃতির পোখরাজ মণি, চারদিকে ছোট ছোট হীরে বসানো।
খোলা বাইবেলের পাতাটা অলৌকিক অলৌকিক মনে হল।
আমি পড়লাম, Ephesians 4:2, Be completely humble and gentle; be patient, bearing with one another in love.
আচ্ছা কেউ কি আমাকে পরীক্ষা করছে? একা ঘর। বিজ্ঞান বিশ্বাসী হয়েও ছম ছম করে উঠলো মন। কেন আমি পেলাম? কেনই বা এই এসি নষ্ট হবে, কেনই বা অন্য রুমে বদলী হবো, বইপত্র পাবো না, আর বাইবেল পড়তে ইচ্ছে হবে আমার?
**
হোটেলের লবীতে কল করেছিলাম।
বললাম একটা কানের রিং পেয়েছি।
এই রুমের ক্লেইম বুকটা চেক করে দেখুন তো পূর্ববর্তি কোন গেস্ট কানের রিং হারিয়েছে কিনা । লোকটি বললো বিষয় না, অপেক্ষা করুণ দশ মিনিটের মধ্যে আপনাকে জানাচ্ছি। আমি ঠিক বুঝতে পারি নি আমার কথা এরা বুঝতে পেরেছে কিনা। দশ মিনিট গেল কুড়ি মিনিট গেল, ঘন্টা গেল। কেউ কিছু জানাল না।
চিনা বংশোদ্ভুতদের সঙ্গে ইংরেজিতে বাকচারিতার ইচ্ছেও হয় নি আর। সিদ্ধান্ত নিলাম কানের রিংটা আমার কাছেই রাখবো। কাউকে না পেলে দোকানে বিক্রি করে পয়সাটা নি:স্বদের দিয়ে দেব।
তারপর ঘুম পেল। বহু যোজন দুরে থাকে বৃদ্ধা মাকে স্বপ্ন দেখলাম।
তিনি বলছেন, আল্লাহ যা করেন ভালর জন্য করেন, বান্দার কাজ ধৈর্য ধরে থাকা। ধৈর্য ধরে কি হয়? আমরা ছিলাম দ্বিতীয় পক্ষের। অন্য মায়ের সন্তানদের জন্য বাবা যা করেছেন আমাদের জন্য তা করেন নি। অথচ শেষ বয়সে আব্বা যখন বিছানায় পড়লেন, আম্মাই নিজ হাতে তাকে গোসল করাতেন, বিছানা পরিস্কার করতেন। আব্বাকে আম্মা ভালবাসতেন।
ভালবাসতেন বলেই নিগ্রহ প্রবঞ্চনার ভিতর সুখ কুড়িয়ে পেতেন। আমার মনে হল, বাইবেলের লাইনগুলো আম্মা আগেই জানতেন।
***
পরদিন সাড়ে সাতটা। কর্কশ ফোনের শব্দে ঘুম ভাঙলো।
অথচ সাড়ে আটটায় ওয়েকআপ কলের জন্য বলেছিলাম।
এগারোটায় দু ব্লক দুরে কনফারেন্স সেন্টারে কাজ আছে। তবে ওটা পাঁচ মিনিটের হাঁটা দুরত্ব ।
রিসেপশন থেকে বলা হলো নিচে এক ভদ্রলোক আমার জন্য অপেক্ষা করছে। যে মেয়েটি তখন কথা বলছে তার ইংরেজি বুঝতে পারছিলাম। সে বলল, আপনাকে রাতে কল ব্যাক করা হয়েছিল যে গত বছর একজন ইয়ারিং হারিয়েছিল।
তাকে কনট্যাক্ট করা হয়েছিল। আপনি হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।
কথাটা ডাহা মিথ্যা। কারণ আমি কলার আইডিতে পরেও দেখেছি কোন ফোন আসে নি।
মুখে জল দিয়ে গায়ে একটা জামা চাপিয়ে নিচে নামতেই ভাঙা ইংরেজিতে এক সুপুরুষ জওয়ান পরিচয় দিয়ে বলল, আমি আপনাকে আগে আগে ঘুম থেকে জাগানোর জন্য দু:খিত।
আমি বললাম ঠিক আছে, আপনি কি হারানো জিনিসটির জন্য এসেছেন।
-জি, আমার কানের রিংটা দরকার।
আমার খিদে পেয়েছিল।
বিদেশে সাধারণত: কেউই কাউকে একসঙ্গে খেতে বসার সৌজন্য দেখায় না। আমি বাঙালি, আমি বললাম আপনি কি কিছু খেয়েছেন কিছু মনে না করলে চলুন এ খানে চা খেতে খেতে কথা বলি।
আমার জানতে ইচ্ছে হল কে সেই রমনী? ভদ্রলোকের স্ত্রী? সে কি পূন্যবতী, পর্যটনে এসেও বাইবেল পড়েছিল! লোকটির গায়ে পরিচ্ছন্ন জামা। উঁচু এবং স্বাস্থ্যবান সে । কথায় কথায় এও জানলাম সে হংকং এর কেন্দ্রস্থলে সে ব্যবসা করে। অবশ্য তাকে দেখলে নেটিভ হংকংবাসী মনে হয় নি। ইউরোপিয়ান মনে হয়, পালিশড জুতো, হাতে সোনালী ঘড়ি।
সোনার পছন্দ আছে, বুঝতে পারি। দামী ইয়ারিংটাও এই লোকটিরই হবে।
লোকটি আমাকে হঠাৎ বলল, আমি এসেছি দেড়শ মাইল দুর থেকে। কুইংহাই প্রদেশের তিংজিনা শহরে আমার বাসা। রাত একটায় আমাকে ফোনে জানানো হলে আমি ছুটে এসেছি।
আমার বড় বিপদ। প্রিয়তমাকে পেতে হলে ওটা ছাড়া এ মূহুর্তে এই রিং ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
***
কি এমন বিপদ হবে যার জন্য এই রিংটা কাজে দেবে?
কথা বলতে বলতে লোকটা তার ফোনে একটা বেবীর ছবি দেখালো। বললো আমি আপনাকে কিছু বললে বুঝবেন কেন আমার এটা দরকারী।
ভদ্রলোকের সঙ্গীর নাম প্রিসিলা ।
ওর সঙ্গে তার পরিচয় হয় একটা হংকং স্টেট ফ্রস্টার কেয়ার সেন্টারে কাজ করার সময়। প্রেমের মাত্র আড়াই মাসের মাথায় ভদ্রলোক তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। ওখানে চার্চে বিয়ে জটিল কিছু না। দুজন মানুষ সেখানে গেলে পাদ্রী দ্রুত সেই বিয়ের কাজ সম্পন্ন করে।
প্রিসির সঙ্গে প্রথম যেদিন ডেট করি, আমি এই কানের রিং জোড়া কিনে দেই।
ও বলতো ওটা ওর এনগেজমেন্ট ইয়ারিং। সোনালী প্রজাপতির মত চঞ্চল এক মেয়ে। দু'জন অনেক ঘুরেছি। সে আমার হাত ধরে হেটেছে সমুদ্র সৈকত, পাহাড়, নদী তীর। ওর পূর্ববর্তী কষ্টকর অধ্যায় ছিল।
আমি কখনোই ওসব জিজ্ঞেস করতাম না। ও খালি বলতো আমি ওকে নতুন জীবন দিয়েছি।
মেয়েটি কি খুব গয়না পছন্দ করতো? আমি বোকার মতই কৌতুহল চাপতে না পেরে ইন্টারাপ্ট করি।
না, না, প্রিসি একদম সাদামাটা মেয়ে। ওকে আমি নিজ থেকেই গয়না কিনে দিয়েছি কিন্তু এই একজোড়া রিং পরেই বহুদিন দেখেছি তাকে।
এখন যদি সে পুরো সেরে ওঠে ও নিশ্চয়ই খুব অবাক হবে। বলতে গিয়ে গলা ধরে আসে তার।
আমি বলি কি হয়েছে তাঁর?
লোকটা বলছিল বিয়ের পর ২০১০ এ এই হোটেলে এক সপ্তাহ ছিলাম । স্নান করে কানের একপাটি কানের রিং সে আর খুঁজে পায় নি। ওটা ওর এত প্রিয় ছিল যে হারিয়ে ফেলার পর কেঁদে অস্থির হয়।
আমি ওকে বার বার বলেছিলাম এর চেয়ে ভাল ইয়ারিং দেয়া হবে। কিন্তু রিংটা ছিল ওটা ভালবাসার স্মৃতি।
জানেন, আমি কত খুঁজেছি। হোটেল তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কোথাও পাই নি। অবশেষে হোটেল ডেক্সে হারানো মালামালের রেজিস্টার বইতে লিখে গেছি।
বলেই সে তার পকেট থেকে অন্য একপাটি কানের রিং বের করলো। বের করেই বিগলিত কণ্ঠে বলল, আমার আজকের এই বিপদের দিনে এক জোড়া রিংটাই পারে আমার কাছে ওকে ফিরিয়ে দিতে।
আমি বুঝতে পারছিলাম ইমোশনাল কিছু ঘটেছে দুজনের মধ্যে কিন্তু বুঝি নি কেন এই কানের রিংটাই লাগবে। আর কচি বয়সী ছবিটাই বা সে কেন দেখাচ্ছে আমাকে।
**
আমি অন্যদিনের মত বিকেলে বের হয়েছিলাম।
এপ্রিলের ১৪ তারিখ। একটা স্টেশনারী দোকান থেকে বের হয়ে রাস্তা পার হবার সময় হঠাৎ ভূকম্পন শুরু হলো। থর থর করে কাপতে লাগলো চারদিক। রিক্টর স্কেলে আট। আর আমি ওকে নিয়ে ছুটতে লাগলাম।
ওর পেটে তখন আমার বাচ্চা। কিন্তু জীবন বিপন্ন হয়ে যাচ্ছে। বাড়ি ঘর ভাঙছিল। হঠাৎ এক বড় পাথর মাথায় পড়লো। তার পর আমার আর কিছু মনে নেই।
আমি চোখ মেলে দেখলাম এক অচিনপুরীতে। চারদিকে সব ভেঙে মুচড়ে গেছে। বিধ্বস্ত ভবনের নিচে খেলনা লগোর মত কংক্রিট, লোহার শিক। সৌভাগ্যক্রমে আমার শুধু পায়ের একটা নখ থ্যাতলে যায়। বড় কিছু হয় নি।
কিন্তু আমার স্ত্রী চাপা পড়েছিল ল্যাম্পপোস্টের পিলারের নিচে।
কথা বলতে বলতে চোখ মুছে নিল লোকটি। বলল, আই লাভ হার। এমন অবস্থা যেন কারো না হয়। প্রিসিকে বের করতে পারছি না।
আমি জানি না কি করবো। সে বাঁচতে চাইছে। আমি কি করবো বুঝতে পারছি না। শহরের ম্যাপ মুছে গেছে। দিন রাত্রি সব একাকার।
বুঝতে পারছিলাম কার কাছে সাহায্য চাইবো। ওখানে ওখানে মৃতদেহ বের হয়ে আছে। আর্তচিৎকার ক্ষীনতর হলো। আটঘণ্টা এভাবে ওকে আঁকড়ে পড়ে ছিলাম। প্রার্থনা করছিলাম, হে ঈশ্বর তুমি আমাকে নিয়ে হলে ওকে বাঁচিয়ে রাখ।
কেননা প্রেগনেন্সীর লাস্ট ট্রাইমিস্টারে। কত স্বপ্ন দেখেছি দুজন। সেদিনও কত সুখী ছিলাম।
তারপর কি হলো? আমার বুক ধক করে উঠলো।
কয়টা জানি না, মধ্যরাতে রেসক্যু টিমের উজ্জ্বল আলো এসে পড়লো মুখে।
উদ্ধারকর্মীরা মাইকে ডাকছিল যখন আমি উত্তর দিলাম- ওরা প্রিসিকে উদ্ধার করে হসপিটালে নিয়ে গেল।
আপনার স্ত্রী এখন...?
হসপিটালে। এখনো কোমায়। জরুরী বিভাগে নিয়ে যখন যায়, তার বেঁচে থাকা অনিশ্চিত ছিল কিন্তু ডাক্তার পরীক্ষা করে বলল, বিস্ময়কর ভাবে গর্ভের শিশুটি বেঁচে আছে। বিশেষ কেয়ারে রেখে এই কোমা স্টেটেই ডাক্তার শিশুটিকে বের করে এনেছিল।
পত্রিকায় এ নিয়ে খবর হয়েছে। বলতে বলতে লোকটি নিজেকে সামলাতে পারল না। ভাঙা ইংরেজিতে সে যা বলে তা হলো, আই লাভ মাই ফ্যামিলি বাট...
কি কিন্তু? আমি বলি
প্রায় চৌদ্দ মাস গেছে, প্রিসি কয়েকবার জাগলেও এখনো কোমায় আছে। সে এই সপ্তাহে সে রিকভারী করেছে, তাকে বাড়ি নিয়ে যাবার অনুমতি দেয়া হবে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে মেয়েটিকে বাড়ি নিতে হলে তার সঙ্গে আমার যে গভীর সম্পর্ক ছিল সেটা নিশ্চিত দরকার।
তাদের বিয়েটা যে চার্চে হয় সেখানে কোন তথ্য নেই।
আমি লোকটার চোখের দিকে চেয়ে আছি। সে বলেই চলেছে,
-আমি যখন ভাবছিলাম কি করে আমার সঙ্গে প্রিসির ব্যাপারটা বোঝাবো..
তখন হঠাৎ করেই মাঝ রাতে হোটেল থেকে কল পেলাম। আমি জানি ঈশ্বরই এমন করেছে। আমার হোটেলের ক্লেইম রেকর্ডে লেখা আমরা এক সপ্তাহ বেড়াতে এসে কানের রিঙ হারিয়েছি।
আমি জানি এই কানের রিং নিয়ে যখন যাবো তারা বুঝবে ও আমি ওকে ভালবাসতাম। আমি দেখাবো - এই দেখো হোটেলের তারিখ, এই সময়টা ছিলাম, আর বাইবেলের ঠিক মাঝ খানে আজকের জন্য ঈশ্বর রিংটা আমানত রেখে দিয়েছিল।
আমি শুধু ভাবছিলাম এত ব্যস্ত হোটেল। লোকটির স্ত্রী বাইবেলে ইয়ারিং রেখে দেবার পর সতেরটি মাসে কত শত মানুষ এসেছে। থেকেছে।
রুম ক্লিন হয়েছে, নতুন রঙ দিয়ে চুনকাম হয়েছে। কেউ কখনোই বাইবেল ধরে দেখে নি। আমি নিজেও বাইবেল পড়ার কথা না। কিন্তু সেই দিনটিতেই কেন এমন হয়েছিল!
(আমি শুধু নিজের মত করে লিখেছি, ঘটনাটা একজন বন্ধুর কাছে শোনা একটা সত্য ঘটনা)
--
ড্রাফট ১.০ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।