তরল মৃত্যু পান করে সক্রেটিস যে'দিন অমর হলেন, সে'দিন থেকে আমি দার্শনিক ! চ্যানেলটির নাম দিগন্ত টিভি ! আবার ব্লগের অনেকে ডাকে ছাগু টিভি নামে। শুরুতে দেখতাম এই টিভিতে কোনো মোউজিক্যাল ব্যাপার-স্যাপার নাই। ভাবসিলাম ছাগু হইলেও 'ছাগলে কী না খায়' তত্ব এই টিভির জন্য প্রযোজ্য নহে। এই টিভির পরহেজগার মা-বোনদের পর্দানশীন উপস্থিতি দেখেও ভাল লাগত। মধ্যবিত্তিয়, ধর্মমনষ্ক মন নিয়ে বেড়ে উঠা অনেকের প্রিয় চ্যনেল হয়ে উঠে এই দিগন্ত টিভি।
আস্তে আস্তে দিগন্ত টিভির চেহারায় পরিবর্তন আসতে থাকে। বিজ্ঞাপনের রূপে ঢুকে পড়ে মিউজিক। আস্তাগফিরুল্লা। তাও তারা ক্ষমা চেয়ে নিতেন, বলতেন অনিবার্য কারণবশত: বিজ্ঞপণ নিতিতে শিথিলতা আনা হয়েছে। বলেন নাউজুবিল্লাহ।
আমাদের পেয়ারা নবী হাজারো অত্যআচারে মাথা নত করেননি, তেনারা ইসলামী ভাবগাম্ভীর্য আর ধর্মীয় চেতনার নাম দিয়ে ব্যবসা শুরু করেই শিথিলতা নিয়ে আসলেন? এই তাদের ঈমানের জোর? এতদিন তাও নাহয় মেনে নিয়েছিলাম । কিন্তু ইদানীং দেখছি শুধু বিজ্ঞাপন নয়, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে এই টিভিতে চলছে নানা মিউজিক্যাল শো, বেগানা নারী-পুরুষের বেলাজ উপস্থিতি। তেনাদের ঈমানী জোশে আমি মুগ্ধ।
তারচেয়ে বেশী মুগ্ধ আমার ছোট চাচা। এলাকায় কট্টর জামাতী বলে পরিচিত আমার এই চাচা আগে টিভিই দেখতো না।
দিগন্ত আসার পরে ঊনার মতবাদে খানিক পরিবর্তন আসে। তিনি দিগন্ত দেখতে শুরু করলেন, দিগন্ততে যা দেখায় তা'ই হালাল। সেদিন দেখি দিগন্ত টিভির গানের অনিষ্ঠান দেখতে দেখতে পা নাচাচ্ছেন। ভালই হল মনে হয়, এখন ছোট চাচা 'মডারেট মুসলিম' হয়ে উঠেছেন দিগন্ত টিভির বদৌলতে।
দিগন্ত টিভির ধর্মব্যবসা কী ভাল যাচ্ছে না?ধর্ম বেচে ব্যাবসায় সুবিধা করতে না পেরে এখন তারা বিবর্তিত, অধর্ম বেচে যদি ব্যবসা হয় মন্দ কী? এখন দিগন্ত টিভির মোটো: ধর্মের চাইতে ব্যবসা উত্তম ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।