জীবনের প্রত্যেক প্রবাহ অমৃত চায়।
এক প্রস্ত রোদ্দরের আলো আমার দরজার ফাঁকে উঁকি দেয়।
এপাশ ওপাশ চোখ ঘুরায়;
ওর চটুলতায আমার ঘরের অন্ধকারগুলো ব্যতিব্যস্ত;
লজ্জায় আমি হয়ে পড়ি ম্রিয়মান।
‘ভেতরে এসো’ – আলোকে বলি -
আমার হৃদয়ের সমস্ত অন্ধকার শুষে নাও,
তোমার উষ্ণতা দিয়ে বরফ শীতল প্রবাহে অকস্মাৎ -
আমার অসাড় শিরাগুলো উজ্জীবিত করে তোল,
তোমার স্পর্শের গহীনতায় জাগিয়ে তোল
আমার চেতনার ভেতর অজস্র আলোড়ন।
‘এসো - ভেতরে এসো।
’
চঞ্চলা কিশোরীর মতো অবিন্যস্ত উড়ুনী ওড়ায়ে
দরজার আড়ালে মুখ লুকায়।
আর খিলখিল করে হেসে উঠে বলে আমায় -
‘তোমার ঘরে প্রবেশ নিষেধ। ’
আলোহীন অন্ধকারে আমার প্রাণ শুকিয়ে যাচ্ছে ক্রমান্বয়ে,
আমি কি দিগন্ত বিসারী আলোর পরশ পাবো না?
স্তব্ধ বিস্ময়ে ওর চঞ্চল দেহখানি নিথর হয়ে পড়ে;
দরজার পাশে ভাষাহীন মুখটি লুকায়,
ত্রস্ত চোখের পাপড়ি খুলে প্রশ্ন করে -
‘এতো কষ্ট তোমার ভেতর?’
অভিমান ভরা কণ্ঠস্বর ভেঙে আসে আমার,
বিক্ষুব্ধ বেদনায় হাড়গুলো টন টন করে ওঠে,
চোখের ভেতর নেমে আসে অজস্র রাত্রির ঘুম,
চেতনার মাঝে নিশ্চলতার অবুঝ বাসনা জাগে।
আলো ডাকে আমায –‘ তরে উঠে এসো আমার দিকে -
আরো সামনে – অন্ধকারকে পেছনে ফেলে,
আমার হাত ধরবে – এসো-
এসো ঘরের বাইরে। ’
বললুম আমি -‘ বাইরে যাবার অধিকার তো আমার নেই,
আমার অধিকার নির্ধারিত , সংকুচিত;
অনেকগুলো শাসন দেয়ালের বেড়াজালে –
এ দেযাল ডিঙ্গোবার ক্ষমতা কোথায পাবো?’
প্রচন্ড হাসিতে লুটিযে পড়লো আলো বাইরের প্রাঙ্গনে,
অবিন্যস্ত উড়ুনী উড়িয়ে দিলো বাতাসের মাঝে –
কৌতুক স্বরে বলে আমায় -
এই সকল দেয়ালের চৌকাঠ ডিঙ্গোবার ক্ষমতা নেই –
অথচ, স্বাদ নিতে চাও দিগন্ত বিসারী আলোর ,
এমন অদ্ভুত উচ্চাশার কথা কোনদিন শুনিনি আমি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।