আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিশুদের খেলতে দিন

খেলতে খেলতেই শিশুরা চারপাশকে জানে, উপলব্ধি করে, গুনতে শেখে, বুঝতে শেখে। শিশুর আচরণ, সামাজিক শিক্ষা ও বেড়ে ওঠার পেছনে প্রতিদিনের দলগত বা বিচ্ছিন্ন খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম।
—আর্লি চাইল্ডহুড এডুকেশনাল জার্নাল (২০০৭) বলছে, অনূর্ধ্ব পাঁচ বছর বয়সী শিশুরা খেলার মাধ্যমে একে অপরের অনুভূতি সম্পর্কে সচেতন হয়। নিজের অনুভূতিগুলোও নিয়ন্ত্রণ করতে শেখে।
—জার্নাল পেডিয়াট্রিকস-এর (২০০৯) মতে, যেসব শিশু স্কুলে অন্তত ১৫ মিনিটের বেশি খেলাধুলার সময় পায়, তারা অনেক উন্নত আচরণ করে ভবিষ্যতে।


—ঝগড়ার সমাধান, রাগ দমন শেখায়। দুশ্চিন্তামুক্ত থেকে সমাজে বড় হওয়ার পথ দেখায়।
—সরল ভাবনা থেকে জটিল কল্পনাশক্তি বাড়ায়। যেমন: পুতুলকে বিছানায় শুইয়ে দেওয়া (দু-তিন বছর বয়সে)
—চিড়িয়াখানায় বেড়াতে যাওয়া (তিন-চার বছরে) ইত্যাদি।
—তিন বছর বয়স থেকে সমন্বয়ের খেলাগুলো, যেমন: ব্লক দিয়ে টাওয়ার বানানো বিষয়টি তাকে নিয়মনীতি মেনে সব কাজে অংশগ্রহণে সামর্থ্য এনে দেয়।


—আঁকা-আঁকি, রং করার মতো খেলা শিশুকে সৃজনশীল করে।
—আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন দুই বছরের বেশি বয়সী সব শিশুকে অন্তত দৈনিক এক ঘণ্টা কায়িক শ্রম হয় এমন খেলাধুলা, যেমন: দৌড়াদৌড়ি, কানামাছি, গোল্লাছুট, গাছে ওঠা, বল খেলা ইত্যাদিতে অংশ নিতে পরামর্শ দিচ্ছে। এমন খেলাধুলা ভবিষ্যৎ মুটিয়ে যাওয়া ও হূদেরাগের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দেবে।
জার্নাল পেডিয়াট্রিকস-এর মতে, বিশ্বে ৩০ শতাংশের কম স্কুলগামী শিশু দৈনিক ১৫ মিনিট খেলাধুলার সুযোগ পায়। এক-চতুর্থাংশ শিশু ঘরে টেলিভিশন দেখে সময় কাটায় বা কম্পিউটারে গেম খেলে।

সহিংসতার দৃশ্য বা গেম পরবর্তী সময়ে আচরণগত সমস্যা তৈরি করার সঙ্গে সঙ্গে ওজন বৃদ্ধি ও নানা ধরনের রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাই শিশুকে খেলতে দিন, ওদের খেলতে বারণ করবেন না।  শিশু বিভাগ,
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.