আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।
গত কয়েকদিন ধরেই মন খারাপ। গাজায় যে হারের শিশুরা জীবন দিচ্ছে, বিশ্ব মানবতা যেভাবে বেহুশ হয়ে আছে, বিশ্ব বিবেক ও নেতারা ভোবে ভান বণিতা করছেন, তাতে মনের আকাশে কালো মেঘ কয়েক দিন ধরেই।
সকালে ফেসবুকে আমাদের এক বন্ধু এক ফটো শেয়ার করলেন।
যেখানে দেখা যাচ্ছে ইসরাইল অস্ত্রের আঘাতে একটা শিশুর পা উড়ে গেছে। না এ শিশুটি ঢিল ছুঁড়তে যায়নি ইসরাইলের সেন্যদের দিকে। যায়নি গুণ্ডাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ করতে ।
শিশু বয়সে আমরা যা করেছি সেও তাই করছিল, সাইকেলে চালাচ্ছিল, মনের আনন্দে, সে আনন্দের মধ্যে ইসরাইলি অস্ত্রের যে আঘাত তার জীবনটাকে পঙ্গু করে দিল, রক্তের ছাপ , দীর্ণ পা নিয়ে যন্ত্রণায় কাতরানো সন্তানের পাশে পিতা যে হতবাক, কিংকর্তব্যবিমূঢ়। সেই শিশু ও তার পিতার মুখ খানা এখন কেবল চোখের সামনে ভাসছে।
জানতে ইচ্ছে করছে এ অসভ্য রকমের বর্বরতার জন্যই এ পৃথিবীর সৃষ্টি। ফিলিস্তিনি এ শিশুর কী দোষ?
ওর তো পা গেছে, আরো অনেক শিশুর অনেক অঙ্গ প্রতঙ্গ গেছে। সবচেয়ে বেশি গেছে জীবন। এমন জীবনের জন্য ওদের জন্ম হয়নি। আরব্য দেশের মরু প্রান্তরে ওরা জন্মেছিল একটি নতুন জীবনের আশায়, নতুন আনন্দ উপভোগ করবার জন্য।
কিন্তু নিয়তি কী নির্মম! তাদের এ ভাবে অসহায়ভাবে মরতে হচ্ছে।
এ মানব শিশুদের জন্য বারাক ওবামার সরকার কিছুই করতে পারেনি। যে সরকার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ব্যস্ত, সে সরকার মানুষের অধিকারের কথা বলে মুখে ফেনা তুলছে , সে সরকার ইয়াহুদি গুটিকতক সন্ত্রাসীর রাষ্ট্যযন্ত্রে ব্যবহার করে করা সন্ত্রাস বন্ধ করতে পারছে না। অথছ ইরাকে দিনের পর দিন ওরা নারীদের হত্যা করেছে। শিশুদের হত্যা করেছে।
আরব্য নারীদের শরীরের স্বাদ নিয়েছে। কি নোংরা ওদের মনোবৃত্তি।
তার কসম, যিনি আমার জীবন ও মৃত্যুর মালিক, যার কাছে আমাকে জীবনের সব হিসাব দিতে হবে, তার কসম- এদের ধ্বংশ অনিবার্য। ধ্বংশ এরা হবেই। হতেই হবে।
এত অত্যাচার, এত অনাচর, এত বর্বরতা, এত নিষ্ঠুরতা, এত নিপীড়ন, এত নির্যাতন সইবার জন্য এ দুনিয়া সৃষ্টি হয়নি।
আমরা যারা বাংলাদেশের প্রান্তর থেকে লিখছি, বা বলছি, তারা খুবই অসহায়। কারণ এখানকার অনেকে স্বীকার করুক আর না করুক আমরা জাতে মুসলিম। তাই আমাদের কথা বলতে ভয়। যদি সন্ত্রাসীর তকমা লেগে যায়।
নেমে আসে আমেরিকার বর্বর সৈন্যরা। ন্যাটোর গুণ্ডারা আকাশে বাতাসে বিচরণ করে, তাহলে আমরা আমাদের রক্ষা করার হিম্মত রাখি না। কারণ আমরা বহু মতে, ক্ষমতার কেন্দ্রের স্বাদ নিতে দ্বিধা বিভক্ত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।